ঢাকা সাভার, নবীনগর ফ্লাইওভার এরিয়া ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে এসেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ সারাদিন ভ্রমণ করেছি স্মৃতিসৌধের এরিয়ার মধ্যে। ভ্রমণ শেষে জানতে পারলাম ফ্লাইওভারের পাশে রয়েছে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু মৃৎশিল্প ও হস্তশিল্পের দোকান আর তার আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন জিনিস বিক্রেতা। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ শেষে তখন ভাবলাম এখনো যে সময় রয়েছে এই মুহূর্তটুকু এই সমস্ত জিনিস গুলো দেখি আর ফটো ধারণ করে, তারপর বাসায় ফেরা যাক। যেহেতু জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে বিকেল পাঁচ ঘটিকার পূর্বেই সবাইকে বের করে দেয়া হয়েছিল। এদিকে সন্ধ্যা লাগতে এখনো দেড় ঘন্টা বাকি। দেড় ঘন্টা চেষ্টা করলে আরো অনেক কিছু দেখা সুযোগ মিলে এই জায়গায়। তাই আর সোজাসুজি বাসে না উঠে নবীনগরের ফ্লাইওভারে উঠতাম। সেখান থেকে কিছুটা শীতল বাতাস অনুভব করেছিলাম কারণ ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর পূর্বের দিনে বিকেল খুব মনমুগ্ধকর ছিল। ছিল ঠান্ডা শীতল বাতাস। আর ফ্লাইওভার এর উপর কিছুটা সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে সেভেন আপ খাওয়ার মজা আলাদা,যেন জানে প্রশান্তি মিলল।
বেশ কিছুটা সময়ের জন্য উপভোগ করলাম ঢাকা শহরের এই সুন্দর দৃশ্য। যেখানে ফ্লাইওভার থেকে দেখতে পারলাম একদিকে ঢাকা গাজীপুরে যাওয়ার রাস্তা সেখানকার ফ্লাইওভার এর নিচে যান চলাচলের সুন্দর দৃশ্যগুলো। এখানে নবীনগর বাস স্ট্যান্ড। আরেক দিকে লক্ষ্য করলাম অনেক মানুষের রাস্তা ক্রসিং এর চিত্র। যারা ফ্লাইওভারের আশেপাশে রয়েছে তাদের জন্য সুবিধা আর যারা রয়েছে ফ্লাইওভারের থেকে অনেকটা দূরে এবং গাজীপুরের রাস্তায় যাওয়া, এদিকে নবীনগরের ফ্লাইওভার, ওদিকে 20 মাইলের দিকে যাওয়ার ক্রসিং এর সম্মুখে তারা কিন্তু বেশ এপার ওপার হচ্ছে গাড়ির জন্য। তবে ফ্লাইওভার ক্রস করতে হলে বেশ ঝামেলা রয়েছে এখানে কিছু মানুষের জন্য যারা নতুন এসেছে প্রথম এসেছে তাদের জন্য একটু ঝামেলা স্বরূপ আমি যা বুঝলাম। কারণ রাস্তার উপর দিয়ে বেরিকেট দেওয়া হয়েছে। তার প্রথম অবস্থায় অনেক মানুষ হিমশিম খেয়ে যাবে এই জায়গা পার হতে। যদি গাজীপুরের দিকে আসতে হয় অবশ্যই রাস্তা ক্রস করা লাগবে। সে ক্ষেত্রে কেউ ফ্লাইওভারে চলে গেলে আবার নেমে আসতে হবে। দেখি আমাদের কিছু বিষয় লক্ষ্য করেছি।
এরপর ফ্লাইওভার থেকে নেমে পড়লাম কিছুটা এগিয়ে এগিয়ে জয় রেস্টুরেন্টের পাশে অবস্থান করলাম। বেশ ইচ্ছে ছিল রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করব কিছু খাওয়া দাওয়া করবো কিন্তু একদম সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে খাওয়ার কোন ইচ্ছে আমার ছিল না। যেহেতু দুপুর টাইমে বেশ অনেক খেয়েছিলাম। এরপরেও ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তে খাওয়া দাওয়া করেছি, স্মৃতিসৌধের এরিয়ার মধ্যে থাকাকালীন মুহূর্তে অনেক খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। তাই শুধু মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল ছোটখাটো সে পার্ক আর মৃৎশিল্প হস্তশিল্পের দোকান গুলো দেখার। খুঁজতে থাকলাম কোন দিকে রয়েছে সে ছোট পার্ক। তবে প্রথমে আমি ভুল করেছিলাম, ফ্লাইওভার থেকে নেমেই যদি ঢুকে পড়তাম বাম পাশে, সামনেই ছিল পার্কটা কিন্তু আমি বিভিন্ন গাড়ি আর ফটো ধারণের চিন্তায় গাড়ির সাইড দিতে বুঝতে না পেরে সোজাসুজি তাকিয়ে হাঁটা শুরু করে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে এই রেস্টুরেন্টের গেটে প্রবেশ করে আবার এদিকে পিছনে ফিরে আসা।
তবে আবারো ভুল করেছিলাম ছোট এ পার্কের গেটে লেখা যে একটা ফটো ধারণ করব সেটা মনে ছিল না। আর মনে হয়ে বা কি হবে, মেয়ে মানুষের ভিড়ে না জানি কে কি মনে করে তাই ফটো ধারণ করতে লজ্জা মনে হয়েছিল। যাইহোক এগিয়ে গেলাম দেখলাম বেশ কিছু দোকান আর ছোটখাটো শিশু পার্ক মত যেখানে যুবক যুবতী শিশুরা বসে রয়েছে। তাই আর ফটো ধারণ করার রুচি পেলাম না।
এরপর আবারো ফ্লাইওভার ক্রস করলাম। আশেপাশে থাকা এই সুন্দর সুন্দর জিনিস বিক্রেতাদের জিনিসগুলো ফটো ধারণ করলাম। তবে এই মুহূর্তে বেশ অনেক ভালো জিনিস দেখেছি কিন্তু কেনা হয়নি কোন কিছুই। কারন কিনে হবে কি। ফালতু টাকা খরচ করার মন মানসিকতা বেশি আমার নেই। কারণ অসুস্থ মাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি সেদিকে খরচ হচ্ছে অনেক। না জানি কবে বাড়িতে যাব। যাইহোক এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধের গেটের আশেপাশে বেশ কিছু ফটো ধারণ করলাম হালকা খাওয়া-দাওয়া করলাম আবারও। এরপর কিছুটা পথ অতিক্রম করে দ্বিতীয় ফ্লাইওভারের নিকটে এসে, বাসে উঠে ঢাকা সাভার বিশমাইলে এর উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালাম অতঃপর খালাম্মার বাসার দিকে রওনা দিলাম।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপনি তো দেখছি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আসলে আমিও ঢাকা গিয়েছিলাম কিন্তু জ্যামে এতটা বেশি সময় লেগেছিল যে ঢাকা ঘোরার ইচ্ছা আমার এই জ্যাম দেখে মিটে গেছে। যাই হোক আপনার মা যেন দ্রুত সুস্থ হয় এই সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার প্রার্থনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরো অনেক কিছু দেখতে পারবেন ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি ঢাকায় গিয়েছেন আপনার মায়ের অসুস্থতার জন্য বিষয়টা আগে থেকেই জানি। তাই সর্বপ্রথম আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা এবং দোয়া রইল। আর আপনি দেখছি জাতীয় স্মৃতিসৌধের আশেপাশে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই সাথে সেখান থেকে খুব সুন্দর সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন এবং বিস্তারিত আমাদের মাঝে লিখে শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সেই সাথে অনেক ফুলের ছবিও দেখতে পেলাম বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ঢাকা অনেকবার যাওয়া হয়েছে স্মৃতিসৌধের আশেপাশে বা ভিতরে ঘুরাঘুরি করার সৌভাগ্য হয়নি। অনেকবার সাভার নবীনগর দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়েছি। কিন্তু এই স্মৃতিসৌধে যাওয়া হয়নি। আপনার কাটানো মুহূর্তটা দেখে ভালো লাগলো। অতি পরিচিত শহরের দৃশ্য আমাদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসাধারণ ছিল আপনার মন্তব্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাতীয় স্মৃতিসৌধ নানা জায়গায় আপনি ঘুরে বেড়িয়ে দেখেছেন। ভ্রমণের এছাড়া আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে তা উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে নানা স্থানের নাম ও স্থান সম্পর্কে অবগত হলাম। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফ্লাইওভারের উপর থেকে দৃশ্যগুলো বেশ ভালই লাগছিল ভাই। আপনি আমাদের মাঝে প্রত্যেক সপ্তাহে একটা ট্রাভেল পোস্ট শেয়ার করেন যেটা দারুন একটা বিষয়। আজকের পোস্ট টাও মজা করে উপভোগ করলাম ধন্যবাদ। আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ দারুন মন্তব্য করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকের এই ভ্রমণ জাতীয় পোস্ট দেখে। খুব সুন্দর একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশ অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। যেখানে স্মৃতিসৌধের আশেপাশের দৃশ্যগুলো দেখতে পারলাম। আরো জানতে পারলাম এখানে কোন জাতীয় জিনিস বিক্রয় করা হয়। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার আজকে ভ্রমণ পোস্টে দেখে।আপনি জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছাড়া নানান জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছেন। ভ্রমণ ছাড়াও আপনি অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করেছেন সেগুলো আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক স্থানের নাম ও স্থান সম্পর্কে অবগত হলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইনশাল্লাহ এমন সুন্দর সুন্দর ভ্রমণ পোস্ট এখনো পাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফ্লাইওভার এর ব্রিজের ওপর থেকে অনেক সুন্দর ভাবে যানবাহন চলাচলের ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। তাছাড়া এটা আপনি ঠিকই করেছেন ঢাকা শহরে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রি করে ফালতু এগুলো কিনে অযথা টাকা নষ্ট। তবে ঢাকায় স্মৃতিসৌধের আশেপাশে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। তবে আপনি কি স্মৃতি শোধ এর ভেতরে যাননি। পরবর্তীতে আবারো তো ঘুরে খালাম্মার বাসায় চলে গিয়েছেন জানতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে ভালো লাগে কিন্তু কিনে টাকা নষ্ট করে লাভ কি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit