কুয়াশাচ্ছন্ন একটি শীতের সকালের ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ - বৃহস্পতিবার

৩০ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৩ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230225_065821_585.jpg




আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম



হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি কুয়াশাচ্ছন্ন একটি সকালের ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো এবং সেই মুহূর্তের অনুভূতি গুলো আপনার ভালো লাগবে।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট



ফটোগ্রাফি সমূহ:

আজ থেকে দুই মাস আগে শীত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছে তবে আমরা শীতকে এখনো ভুলি নাই। হয়তো প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে আমাদের পরিবেশে তবুও যেন গোসলের মুহূর্তে টিউবওয়েলের পানিতে ঠান্ডা অনুভব করছি গোসলের মুহূর্তে এবং স্মরণ করছি সেই শীতের দিনগুলো। হয়তো চিন্তা ভাবনা আসছে টিউবয়েলের পানি কেন এত ঠান্ডা? তবে সামান্য একটু বিষয় আমরা জ্ঞান করলে বুঝতে পারি শীতের সময় টিউবওয়েলের পানি যেমন গরম হয় গরমের সময় তেমন টিউবয়েলের পানি ঠান্ডা হয় এটাই,প্রকৃতির নিয়ম। তবে যখন আমাদের মাঝ থেকে শীতে বিদায় নিচ্ছিল ঠিক ফাল্গুন মাসের মুহূর্তে একদিন প্রচন্ড কুয়াশা আমাদের ঘিরে ধরেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে পাড়াগাঁয়ের কিছু মানুষ এটা বলছিল শীত চলে গেছে কেন হঠাৎ এত কুয়াশা? শীতের শেষে প্রচন্ড কুয়াশা পড়ে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রকৃতি তার নিয়মে চলে সেটাও স্বাভাবিক। তবে যাই হোক এমন একটি কুয়াশার শূন্য সকাল মুহূর্তে আমি আমার পুকুরে যখন মাছ দেখতে যাচ্ছিলাম ঠিক এই মুহূর্তে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কোন কথা ছিল না কিন্তু পথে বের হয়ে তেমন কোনো কুয়াশা ছিল না কিন্তু একটি বাগানের প্রবেশ করার পূর্বেই হঠাৎ দেখি মাঠ থেকে কুয়াশা গ্রামের মধ্যে দ্রুত চলে আসছে। চিরচেনা আম গাছ যেন কুয়াশা ঢেকে যেতে লাগলো। ঢেকে যেতে লাগলো পাশের ফসলের মাঠ।

IMG_20230225_065531_311.jpg

IMG_20230225_065550_020.jpg

IMG_20230225_065623_312.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স

এমন একটা মুহূর্তে আমার চারিপাশে কুয়াশা ঘিরে ধরল। আর বাগানের মধ্যে যেন সাদা কুয়াশায় চারিপাশ অন্ধকার হয়ে ঢেকে আসতে থাকলো। ঠিক এই মুহূর্তে আমার খুব ভালো লেগেছিল এত সুন্দর একটা দৃশ্য দেখে মনে পড়েছিল হয়তো শীত চলে গেছে কুয়াশাও বন্ধ হয়ে যাবে, তাই এই সুন্দর বাগানের লোকেশন টা ক্যামেরা বন্দী করি আপনাদের জন্য। তাই হাতে থাকা মোবাইলটি তাড়াতাড়ি বের করে নিয়ে চারিপাশে সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করছিলাম, হয়তো তেমন শীত ছিল না হালকা শীতের মধ্যেও এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগছিল বাগানে। পাতাঝরা ফাগুনের দিন যেন মন ছুয়ে যেতে লাগলো। তাই মেহগনিবাগানের মধ্যে দাঁড়িয়ে চেষ্টা করলাম চার পাশ থেকে বিভিন্ন স্টাইলে ফটোগ্রাফি করার। সকাল মুহূর্ত চারিপাশে কোন লোকজন ছিল না। চারিপাশে ফিরে এসেছে সাদা কুয়াশা তাই হালকা শীতের এই মুহূর্তটা বেশ ভালো লাগছিল। তাই ইচ্ছে মতো চেষ্টা করছিলাম ফটোগ্রাফি করতে।
IMG_20230225_065826_133.jpg

IMG_20230225_065830_831.jpg

IMG_20230225_065812_022.jpg

IMG_20230225_065839_847.jpg

IMG_20230225_065834_333.jpg

IMG_20230225_074018_923.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স

কিছুটা পথ সামনে এগিয়ে বাঁশ বাগান। বাঁশ বাগানের মধ্যে কুয়াশাগুলো যেন চারিপাশ সাদা চাদরে ঢেকে ফেলতে লাগলো। আর এমন সুন্দর দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করতে লাগলো। আমি যেন পুকুরে যাওয়ার কথা ভুলে গেলাম এবং চারি পাশে ইচ্ছে মতো ফটোগ্রাফি করাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। স্বাভাবিক অবস্থায় বাশ গুলো দেখতে যেমন সুন্দর লাগে বা না লাগে তার চেয়েও যেন কুয়াশাচ্ছন্ন মুহূর্ত বেশী ভালো লাগছিল আমার কাছে।

IMG_20230225_065944_563.jpg

IMG_20230225_065948_072.jpg

IMG_20230225_065654_780.jpg

IMG_20230225_065929_667.jpg

IMG_20230225_065909_501.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স

হালকা হালকা শীত ছিল তাই শীতের তেমন পোশাক পরিধান করার প্রয়োজন বোধ করছিলাম না। এপাশে ওপাশে যখন ফটো উঠিয়ে বেড়াছিলাম লক্ষ্য করলাম আমার পাশ দিয়ে একজন চিংড়ি মাছ ধরা ব্যক্তি মাঠ পার হয়ে চলে যাচ্ছে। দীর্ঘক্ষন মাঠে অবস্থান করার মুহূর্তে শুধু একজন ব্যক্তির সাথে দূরে দেখা হয়েছিল। আর দেখা হবে বাকি করে বারবার যেন কুয়াশায় এসে আমাকে ঘিরে ফেলতে লাগলো। স্মৃতি করে রাখার জন্য এবং আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য এই সমস্ত ফটোগ্রাফিগুলো করে রেখেছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরের আবহাওয়া গায়ে লাগানোর মজাটাই আলাদা। আমরা এমনিতে জানি এতে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং মন প্রফুল্ল থাকে। যে ভালোলাগাটা শীতের সময় শহরে পাওয়া যায় না। গ্রাম বাংলার মাঠ ঘাট পথ প্রান্তরে লুকিয়ে থাকে অন্যরকম প্রাণের সুপ্ত অনুভূতি এবং নিবিড় ঘন আবেগ। কুয়াশায় চারিপাশ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল আবার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছিল, যেন মন হয়ে ওঠে অন্য মানুষকে। আমিও যেন হারিয়ে গেছিলাম এর মধ্যে। চির চেনা পুকুর গুলো চোখে দেখতে পারছিলাম না, শুধু কানে ভয়েসে আসছিল বক পানকৌড়ির শব্দ। মূলত পুকুর থেকে বক পানকৌড়ি করি তাড়ানোর জন্যই সকলে পুকুরে যাওয়া। আর এরই মাঝে খুঁজে পাওয়া ফাল্গুনের ভালোলাগার মুহূর্ত।

IMG_20230225_065715400_BURST0001_COVER.jpg

IMG_20230225_065728385_BURST0001_COVER.jpg

IMG_20230225_074231_646.jpg

IMG_20230227_070450_929.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স

R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png

💌আমার পরিচয়💌


আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতির ছবি যে এত সুন্দর হতে পারে সেটা কখনো ভেবে দেখিনি ভাইয়া। এক কথায় চমৎকার হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। আর দারুন ভাবে ক্যাপচার করেছেন। মনে হচ্ছে যেন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছে। এই গরমের সময় কুয়াশার প্রকৃতি দেখতে ভালই লাগছে ভাইয়া।

আপনাদের জন্য সৌন্দর্য করার চেষ্টা করেছিলাম

এই গরমে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি গুলো কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে ভাইয়া ।অনেক ভাল লাগলো ফটোগ্রাফিগুলো।খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো তুলেছেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।

একদম মনের কথা বলেছেন।

কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের ফটোগ্রাফি অনেক দিন পরেই দেখলাম। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর কয়েকটা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালের ফটোগ্রাফি করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন। এরকম ফটোগ্রাফি আমি যত দেখি আমার কাছে ততই ভালো লাগে দেখতে। বর্ণনা সহকারে শেয়ার করেছেন দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে। বলতে হচ্ছে জাস্ট মনমুগ্ধকর ছিল প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি।

চেষ্টা করেছিলাম ক্যামেরা বন্দি করে রাখতে

ভাইয়া বর্তমানে যে হারে গরম পরছে ঐ কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালের দৃশ্য গুলো খুব মিস করি। আপনি শীতের প্রায় দুইতিন মাস পরে ধারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

জানি সকলে মিস করবেন তাই শেয়ার করলাম