হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে আমি আপনাদের কাছে মায়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করি। সকলে আমার আম্মার জন্য দোয়া করবেন। আপনারা অনেকেই জানেন দীর্ঘদিন আমার আম্মা বেশ অসুস্থ। আর তার অসুস্থতার জন্য যেন থমকে গেছে বাড়ির পরিবেশ।
ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন মায়ের অসুস্থতার জন্য ঢাকাতে অবস্থান করেছিলাম দীর্ঘদিন। সেখানে পান্থপথের হেলথ এন্ড হোপ হসপিটাল থেকে অপারেশন করে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু মায়ের অসুস্থতা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। স্টক করার পর থেকে বিভিন্ন সমস্যা মায়ের লেগে রয়েছে। একবার পায়ের আঙ্গুল ভেঙে গেল বেশ দীর্ঘদিন কষ্ট করলেন। এরপর ডিসেম্বর মাসে আবারো ব্রেন স্ট্রোকের সম্মুখীন। কোনরকম মহান সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরে অপারেশন করে আনা হলো সে তো দীর্ঘ ভোগান্তির শিকার হলাম। সে সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত এখনো কিছুই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেনি সবেমাত্র আইডিয়া দিয়েছি অপারেশন হয়ে গেছে। বাড়িতে আনার পর দীর্ঘদিন কষ্ট করে করে কোনরকম সুস্থ হয়ে উঠলেন। হঠাৎ জ্বর এসে আবার যেন অসুস্থ হয়ে পড়লেন এমন ভাবে, আবার আগের পর্যায়ে চলে গেছেন। কিছু খেতে পারেন না, কিছুটা মুখে তোলা মাত্র সাথে সাথে উঠে যায়। এছাড়াও তো নিজের বিভিন্ন পেরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সংসারিক জীবনে, যার জন্য মনটা যেন আমার এক্কেবারে অশান্তিতে ভরপুর হয়ে গেছে। তবু মহান সৃষ্টির পানে তাকিয়ে থাকা আল্লাহ যেন আমার মাকে সুস্থ করে। হয়তো বৃদ্ধ হয়ে গেলে এতটা আসান মনের মধ্যে জাগ্রত থাকতো না, মাত্র ৫০ বছর পার হয়েছে ওনার। কারণ এই বয়সী মানুষেরা যথেষ্ট জোয়ান ও সবল থাকেন।
যে কোন মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাই গ্রামের ডাক্তারের মাধ্যমে গ্যাসের ইনজেকশন দিয়ে সুস্থ করা হয়। কিন্তু ভালোভাবে খেতে পারেন না। বিভিন্ন ঔষধ চলতে আছে প্রতিনিয়ত ২-৩ বেলা। সমস্ত কিছুর মাঝেও মা সুস্থ থাকলে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু যখন এমন অসুস্থ হয়ে বিছানা গত হয়ে যায় বেশ কষ্টে থাকি। একদিকে মানসিক কষ্ট আর একদিকে মানসিক যন্ত্রণা যেন আমাকে ভোগান্তির শিকারে রাখে। আর বুঝতে পারছেন দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলে সে পেশেন্টের অবস্থা কেমন হয় আর পরিবারের অবস্থায় বা কেমন হয়। জেনো প্রাণ খুলে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে চলতে পারি না অনেকদিন। এভাবেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া ইনজেকশন দেওয়া আবার ঔষধ কিনতে বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিত হওয়া। ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন বামুন্দিরবাজার,হেমাতপুর বাজার, হাট বোয়ালিয়া বাজার, গাংনী বাজার সব জায়গা থেকে ওষুধ আনতে থাকি। শুধু একটাই মনের কামনা আম্মা সুস্থ হোক ভালো হোক বেঁচে থাকুক। কিন্তু দীর্ঘদিন সেই সুস্থ তাই যেন হচ্ছেন না। শরীরের মধ্যে বিশেষ কোনো রোগ নেই শুধু প্রেশার আর গ্যাসের প্রবলেম অতিরিক্ত। আর আরেকটা বড় সমস্যা খাওয়া মাত্র বমি হয়ে উঠে যায় আর এদিকে কোষ্ঠকাঠিন্যর প্রবলেম। মনে হতে পারে এগুলো নরমাল কিন্তু এগুলা বেশ কঠিন জিনিস। যারা এই সমস্যার সম্মুখীন তারাই জানেন কতটা কষ্ট। কারণ কোন অসুখ ছোট নয়। শরীর দুর্বল হয়ে গেলে নিজেকে টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন। যাই হোক মায়ের ট্রিটমেন্ট এর পাশাপাশি নিজের বাচ্চার জন্যও জ্বরের এবং গ্যাসের জিনিস নেয়া হলো আশা করলাম দ্রুত লম্বা সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু উনি সুস্থ হলেন না আরো অবনতির দিকে যেতে থাকলেন।
পরের দিন সকালে উঠেই দেখা গেল এমন একটা উপায় চলে গেছে স্যালাইন টাঙ্গাতে হবে। ঠিক এভাবেই পরপর তিনদিন দেওয়া হল। প্রথম স্যালাইন দেওয়ার পর একটু সুস্থ মনে হল। উনি একলাই গোসল করলেন। কিন্তু কাপড় পরিধান করতে গিয়ে হঠাৎ জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে যান এবং ইটের সাথে আঘাত লেগে মাথার পিছনে অংশ কেটে যায়। একতেই শরীরের অবস্থা ভালো না আর একদিকে মাথায় আঘাত। এই মুহূর্তে তো আমি পুরুষ মানুষ পাশে থেকে কাপড় পরিধান করিয়ে দিতে পারছি না। দেখলাম নিচে গোসল করল তাই সেভাবে লক্ষ্য রাখা হয়নি। কিন্তু কে জানতো এমন একটা এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে। এরপর আবারও দুর্বল হয়ে গেলেন। আবারো প্রচেষ্টা কিভাবে সুস্থ করা যায়। বিভিন্ন ঔষধ স্যালাইন এটা সেটা করে এখন কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন কিন্তু খেতে পারেন না। পেটে খিদে থাকলে বুঝতে পারছেন শরীরের অবস্থা কেমন থাকে। বেশ কিছুটা দিন ধরে হাত ধরে চলাচল করানো হচ্ছে ওয়াশরুম সহ বাইরে চলাচলের মুহূর্তে। আপনারা দোয়া করবেন আমার আপনার জন্য দ্রুত সুস্থ হন এবং স্বাভাবিক অবস্থায় চলাচল করতে পারেন সুস্থ থেকে। কারণ দীর্ঘদিন মায়ের এমন অবস্থা সত্যিই আমার জীবনটা জরা জীর্ণ করে দিয়েছে। সেই সুখের আলো মুখের হাসি দেখার প্রত্যাশায় এখনো দুচোখ আমার চেয়ে রয়েছে কোন ভরসায়। সৃষ্টিকর্তা আমার আম্মুকে সুস্থ করুক এটাই আমার বড় চাওয়া
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | মায়ের অসুস্থতা |
---|---|
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার মায়ের অসুস্থতা নিয়ে একটি পোস্ট। সত্যিই নানীর অসুস্থতার খবর শুনে আমার বেশ খারাপ লাগলো। আমার পক্ষ থেকে সব সময় দোয়া রইল আশা করি আবারও খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দোয়া করবে মামা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আম্মার অসুস্থতা সত্যি আমাদের পরিবারটাকে মর্মাহত করে রেখেছে। মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট সর্বদা দোয়া প্রার্থনা করি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যান এবং আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায় এসে আমাদের সাথে চলতে পারেন। আম্মার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আম্মা জেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে সেই দোয়া সবার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit