আজ - সোমবার
১৬ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
০১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ
হাই! বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৩৮ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ |
নাম | হাড় কিপটে |
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | আঞ্চলিক বাংলা |
ধরণ | কমেডি,ড্রামা |
পর্বের সংখ্যা | ১০৫ |
রিভিউ | ৩৮ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ১৮ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- মোশাররফ করিম
- আমিরুল হক চৌধুরীর
- চঞ্চল চৌধুরী
- বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে
শিবানীর দেখার জন্য পাত্রপক্ষ আসছে,তাই তাকে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে। এজন্য বেশ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে শিবানীর ভাই। এজন্য ডেকে নিয়ে আসা হয়েছে চুমকিকে, তাকে যেন সাজিয়ে দেওয়া হয়। চুমকি শিবানীকে সাজিয়ে দিতে এসে বেশি তেমন কোন জিনিস খুঁজে পাচ্ছে না। এদিকে মুখ দেখার আয়নাটাও তাদের কাছে ছিল না। কারণ তারা এতটাই কৃপণ ঘরের তাদের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসটাই নেই। আর এদিকে পাত্রপক্ষ তো এসে বাড়িতে বসেই রয়েছে। তাই চুমকি তার সাধ্যমত চেষ্টা করছে দ্রুত সাজিয়ে দেওয়ার।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এদিকে চুমকি তার হবু শ্বশুরের দাড়ি কাটার জন্য টাকা দিয়েছে। তাই সেই সুযোগে নজর আলীর ছোট ছেলে নজর আলীর কাছে এসে উপস্থিত তার দাড়ি খুব বড় হয়ে গেছে, সেটা কাটার জন্য যেন তার বাবার টাকা দেয়। কিন্তু নজর আলী তো কোনমতেই তাকে টাকা দিল না বরঞ্চ উল্টাপাল্টা কথা বলে তার ছেলেকে অপমান করে ছেড়ে দিল। আসলে এখানে নজর আলীর ছোট ছেলে নহর আলী তার বাবার কাছে ভাব বুঝতে এসেছে সেই রেশমার বাবার কাছে প্রস্তাব নিয়ে যাবে কিনা। কিন্তু এ কথাই বুঝতে পারল তার বাবা কখনো যাবেনা। তাই তার বাবার কাছ থেকে সরে গেল।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এদিকে পাত্রপক্ষ শিবানীকে দেখে বেশ খুশি হল। তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করলেও রান্না করতে পারে কিনা। কিন্তু শিবানির উত্তর দেয়ার পূর্বে বারবার গোল্লা উত্তর দিয়ে বসে। এমন কথাবার্তায় পাত্রপক্ষ একটু বিচলিত হলো। অবশেষে পাত্রপক্ষ শিবানীর কাছে জানতে চাইলো সে কোন গান জানে কিনা। শিবানী একটা ধর্মীয় গান ভালো জানেন। মাঝেমধ্যে সে সেই গানটা গেয়ে থাকেন। তাই শুরু করে দিল সেই গানটা। এদিকে শিবানির বাবা ঘরের মধ্যে আটকা রয়েছে। ঘরের মধ্য থেকে সে শিবানীকে বকা শুরু করলো। শিবানীর বাবা ভাবল যে শিবানী হয়তো তার মামাদের দলে যুক্ত হয়ে গেছে। তাই মামাদের সাথে যুক্তি করে তার বাবাকে আটকে রেখেছে ঘরে, পাগল সাব্যস্ত করে। তবে পাত্রপক্ষকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া হল পাগলের কথা শুনতে নেই। পাত্রপক্ষ খুশি হয়ে শিবানীকে কিছু টাকা দিল। এরপর দুই মামা মিলে সিদ্ধান্ত নিল পরবর্তীতে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এদিকে হারাধন দপ্তর যে বন্দী করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে এই বিষয়টা নজর আলীর মেজো ছেলে বহর আলী বুঝে ফেলেছে। তাই সে তার বাবার কাছে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে। কিন্তু এই সুযোগে দেখা গেল নজর আলীর কথা একটু উল্টো হলো যা বহরের পছন্দ হলো না। নজর আলী চাচ্ছে হারাধনের এই সুযোগে কিছু খরচ খরচা হয়ে যাক। তবে তাদের পরামর্শটা এবং আলোচনা বেশ যুক্তিসম্পন্ন ছিল কারণ বহর বুঝতে পেরেছে এর পেছনে গোল্লার হাত রয়েছে।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
বহর আলী তার বড় ভাইয়ের কাছে আসলো। গোল্লার কথামতো তারা যদি ওঠাবসা করে একদিন তাদের কুলাঙ্গার দুই ভাইয়ের ক্ষতি হবে। কারণ বহর বুঝে ফেলেছে গোল্লায় এসেছে তার বাবার জমিতে ভাগ বসাতে। কিন্তু কুলাঙ্গার দুই ভাই বিয়ের করার জন্য উঠে পড়ে বসে গোল্লার কথা মত চলছে বাবাকে এবং মেজ ভাইকে মানুষ মনে করছে না। আর সেই সুযোগে গোল্লা তার মত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো এই ষড়যন্ত্রের শিকার শুধু হারাধন দত্ত নজর আলী এদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না একদিন তার মামাতো কুলাঙ্গার দুই ভাই এই ষড়যন্ত্রের শিকার হবে তাই মেজ ভাই বুঝে ফেলে, আগে থেকেই বোঝানোর চেষ্টা।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এদিকে শিবানীর মুখ দেখার পাত্রপক্ষ চলে গেছে কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ার পরেও বাবাকে ঘর থেকে বের করা হয়নি। তাই শিবানী মামাদের কাছে অনুরোধ করে বাবাকে মুক্ত করেছে কারণ মুরুব্বী মানুষটা না খেয়ে রয়েছে ঘরের মধ্যে আটকা। এটাতো সহজে মেনে নেওয়া যায় না। তবে শিবানীর দুই মামা বলছিল তোর বাবা ঘর থেকে বের হলেই তো আমাদের বধ করবে, সেটা কে সামলাবে। শিবানী তার বাবাকে কন্ট্রোল করবে এমন আশ্বাস দিয়েছে মামাদের। তাই তারা ঘর থেকে তার বাবাকে বের হতে দিয়েছে। এরপর বাবা মেয়ে যুক্তি পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিল তার দুই মামার কাছে শুধু টাকা ধার চাবে এবং পরবর্তীতে হারাধন তার মামাদের টাকা দিবে না। দেখা যাচ্ছে এভাবে তাদের টাকা শেষ হয়ে গেলে শিবাণীর মামারা ভারতে চলে যাবে। তখন আর তার বিয়ে নিয়ে মাথা গলাবে না।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
এর আগের পর্বে আমরা লক্ষ্য করেছি চুমকি এসে নজর আলীর বাড়িতে উঠেছিল, কিছুটা সময়ের জন্য গল্প করতে এবং নজর আলীর স্ত্রীকে বলে গেছিল তার বাবা যেতে বলেছে। সে আনন্দে আজকে নজর আলীর স্ত্রী চুমকির বাবার সাথে দেখা করতে যাবে। কিন্তু নজর আলীকে কোন কিছু না বলা নজর আলী বেশ মনে মনে ক্ষিপ্ত, কেন তাকে কোন কিছু বলা হচ্ছে না। তার পরিবার কোথায় যাচ্ছে। লাস্টে দেখা গেল নজর আলীর স্ত্রী তার ছোট ছেলে নহরের সাথে কোথায় যেন সেজেগুজে বের হয়ে গেল। তাই নজর আলী ভাবল কোথায় যাচ্ছে বিষয়টা তদন্ত করার জন্য মেজো ছেলে বহর কে জানানো প্রয়োজন,যেন সে খোঁজটা নিতে পারে।
স্ক্রিনশট: ইউটিউব
হাড় কিপটে নাটকের ৩৮ তম পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি শিবানী বিয়ে করতে চায় না কিন্তু এই পর্বে এসে সে আজ মুখ দেখাতে রাজি হয়েছে দুই মামার ভয়ে। এখানে সম্পূর্ণ গোল্লার বুদ্ধিতে শিবানীর দুই মামা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শিবানীকে এমন একটা ফাঁদে ফেলা হয়েছে এমন ফাঁদ তারা বুঝতেই পারেনি। একদিকে তার বাবাকে ঘরের মধ্যে পাগল সাব্যস্ত করে আটকে ফেলা হয়েছে। অন্যদিকে বিয়ের পাত্র পক্ষ এসে উপস্থিত তাদের বাড়িতে। আর এই সমস্ত কার্যক্রম গুলো যে গোল্লার বুদ্ধিতে চলছে কেউ বুঝতে পারুক বা না পারুক বুঝে ফেলেছে নজর আলী কৃপণের মেজো ছেলে বহরালী। বহর এটাও বুঝতে পেরেছে গোল্লার ষড়যন্ত্রে একদিন তাদের ভিটেমাটি হারাতে হতে পারে, তাই সাবধান হতে হবে তার কুলাঙ্গার ভাইদের। তাই সে এই বিষয়গুলো তার বড় ভাই ও বাবার কাছেও সাবধান হওয়ার জন্য বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছে। এ পর্বে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মিলেছে বহর আলীর। তার সুন্দর অভিনয় এবং দারুন অভিজ্ঞতা মানুষকে মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি শিবানীর মুখ দেখানোর বিষয়টাও দর্শকের কাছে বেশ আনন্দ দায়ক। তবে পরবর্তী পর্বে হয়তো আমরা নতুন কিছু দেখতে চলেছি নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে এবং পরিবার কোথায় গেল কি করলো না করল বিস্তারিত বিষয়।
৯/১০
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার হারকিপটে নাটক রিভিউ দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আজকে আপনি আমাদের মাঝে হারকিপটে নাটকের ৩৮ তম পর্ব শেয়ার করেছেন। একের পর এক আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই নাটক রিভিউ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে থাকেন। নাটকটা আমার খুবই প্রিয়। তাই মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি দেখার জন্য। খুব সুন্দর হয়েছে আজকের রিভিউ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইনশাল্লাহ সব পর্ব সমাপ্ত করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটা নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই নাটকটা আমার কাছ থেকে দেখতে যে কত ভালো লাগে তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। যখন ইচ্ছা হয় তখনই আমি এই নাটকটা দেখতে শুরু করে দেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ মন ভালো রাখার অন্যতম নাটক এটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিবানির পাএপক্ষ দেখার পর্বটা বেশ অসাধারণ ছিল। ওখানে বেশ দারুণ একটা বিনোদন ছিল। এদিকে নজর আলী তার দুই ছেলেকে নিয়ে মহাবিপদে। তারা বিয়ে ছাড়া আর কিছুই বোঝে না হা হা। বেশ দারুণ রিভিউ করেছেন এই এপিসোড টার ভাই। বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া এই পর্বটা দারুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার শেয়ার করা হাড় কিপটে নাটকটার বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। আমার কাছে কিন্তু অনেক বেশি ভালোই লাগে এই নাটকটার পর্বের রিভিউগুলো পড়তে। দেখতে দেখতে ৩৮ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে এই নাটকটির। আপনি পুরো কাহিনীটা অনেক সুন্দর করেই তুলে ধরে থাকেন। যার কারণে নাটক আর দেখাই লাগেনা। এই পর্বটার সম্পূর্ণ কাহিনী এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরবর্তী পর্ব দেখার অনুরোধ রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাড়কিপ্টে নাটকটি আমার অনেক ভালো লাগতো।অনেক আগের নাটক হলেও বেশ মানসম্মত নাটক এটি।আপনি খুব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ সামাজিক এবং হাস্যরসাত্মক নাটক এটা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit