আগে যখন মেহেরপুরে আমি চলাচল করতাম তখন এই রাস্তার দৃশ্য অনেক সুন্দর ছিল কিন্তু এখন সে সুন্দর দৃশ্য কিন্তু আর নেই। রাস্তার পাশে থাকা অসাধারণ গাছগুলো রাস্তাটি অনেক মানিয়ে রাখত এবং বেশ ভালো লাগতো সেই অপরূপ দৃশ্যগুলো কোথায় হারিয়ে গেছে গাছ কাটার সাথে সাথে। যাইহোক গাংনী বাজার পার হয়ে 'বাঁশবাড়িয়া' নামক গ্রামে প্রবেশ করলাম, সেই গ্রামের সুন্দর দৃশ্য আর নেই। আমি আর মুস্তাফিজুর কফি সপে বসে কফি খেয়েছি কিন্তু সেই কফি শপের বৈচিত্র্যময় চিহ্ন টাওয়ার নেই। তিন রাস্তার মোড়ে চার-পাঁচটা বট গাছ ছিল যেখানে মানুষজন বসে থাকতো সেই সুন্দর দৃশ্যটা হারিয়ে গেছে। ইতোপূর্বে কোন এক ব্লগে আমি ওই সুন্দর দৃশ্য আপনাদের মাঝে পোস্ট করেছিলাম। এরপরে 'পোড়া পাড়া'গ্রামের তিন রাস্তার মোড় যেখানে বাস এসে থামতো এবং আমাদের কিছু বন্ধু বান্ধবী বাসে উঠে মেহেরপুরে একই কলেজে পড়তে আসতো। যাদের সাথে একত্রে আমরা অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছিলাম। তবে একটি বিষয় ভালো হয়েছে, যেখানে স্থানীয় মন্ত্রী রয়েছে সেই এলাকা উন্নতি হয়। আমাদের এখানে বর্তমান স্থানীয় মন্ত্রী রয়েছেন ফরহাদ হোসেন দুদুর, তাই মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া রাস্তা অনেক সুন্দর করার পরিকল্পনা নিয়েছেন এবং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তার জন্য রাস্তার নিকটে থাকা গাছগুলো সরিয়ে রাস্তার কার্যক্রম শুরু করেছে। হয়তো খুব শীঘ্রই সুন্দর একটি টাউনে পরিণত হবে আমাদের এই এলাকাগুলো। আর রাস্তা গুলো অনেক পরিসরের হয়ে যাবে আশা করা যায় এক্সিডেন্টের মাত্রা কমে যাবে।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
যাইহোক বৃষ্টির কারণে পথেঘাটে তেমন বেশি একটা গাড়ি ছিল না। মাঝে মাঝে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার দিকে বালির ট্রাক চলছিল। যেত রাস্তার কার্যক্রম চলছে তাই এটার বালি বহন করার ট্রাক চলছিল অনেক। আগে যখন চলাচল করতাম তখন বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করত কিন্তু বৃষ্টির কারণে হয়তো সেগুলো একটু বন্ধ ছিল যার জন্য বেশি একটা ভয় ভীতি কাজ করছিল না। মাঝেমধ্যে খেয়াল করে দেখলাম রাস্তায় নতুন নতুন কালভার্ট তৈরি হচ্ছে পানি বের করার জন্য। মেঘলা দিনে আশেপাশের দৃশ্য সেভাবে ক্যামেরা বন্দি করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু মোবাইলটা ভিজে যাওয়ার ভয় ছিল আর মাঝে মধ্য থেকে ফটোগ্রাফি করা একটু ঝামেলায় মনে হয়েছিল। তাই ভিডিও ধারণ করে তার মধ্য থেকে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। হয়তো বেশি কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারলাম না তবে পথের ঘাটে চলার এই সুন্দর দৃশ্যগুলো আর মেহেরপুরে যারা চলাচল করেনি তারা হয়তো এই স্থানটা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না তাই কিছুটা হলেও দেখানোর চেষ্টা করলাম ফটো আর ভিডিওর মাধ্যমে। আর এভাবেই চলতে চলতে গাড়াডোব নামক গ্রামের বাজার পার হলাম। মেহেরপুরে যাওয়ার আরো সুন্দর কিছু দৃশ্য সামনে পোস্টের শেয়ার করব। ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই।
Photography device: Infinix hot 11s
Location
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
মামা আপনার শেয়ার করা গাংনী থেকে মেহেরপুর আড়তে মাছ বিক্রয় করতে যাওয়ার মুহূর্তের পোস্টটি পড়ে আমার বেশ ভালো লাগলো। আসলে আমি অনেকবার গিয়েছি মেহেরপুর মাছের আড়তে মাছ বিক্রি করার জন্য। আসলে মামা গাংনী থেকে মেহেরপুরের রাস্তার নতুন কাজ চলমান রয়েছে তাই কালভার্টের কাজগুলো নতুন ভাবে আবারো সংস্করণ করা হচ্ছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন মামা আমাদের জেলায় মন্ত্রী রয়েছে নাম ফরহাদ হোসেন দুদুল। তাই আগের থেকে আমাদের জেলা কিছুটা হলেও উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মন্ত্রীর নামের শেষে হয়তো বানান কিছুটা মিসটেক হয়েছে আশা করি ঠিক করে নেবেন মামা। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওকে মামা ঠিক আছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit