আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমার প্রাণপ্রিয় ছাত্রছাত্রীদের টিফিন খাওয়ার একটি বিশেষ মুহূর্তকে কেন্দ্র করে আলোচনা। এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে আলোচনা করব, তাই সাথে থাকুন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
যদিও ফটোগুলো একদিনের নয় তবুও স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে স্টিমের পাতায়। এরা আমাদের ওল্ড ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল এখন আমাদের স্কুল থেকে বিদায় দেওয়া হয়েছে যেহেতু আমাদের স্কুলটা ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই বিভিন্ন প্রয়োজনে এদেরকে ফটোগ্রাফি করা হয়েছিল যা আজকে তুলে ধরতে ইচ্ছে করেছিল। এরা ছিল আমাদের অতি স্নেহের ছাত্র এবং খুবই মেধাবী। আমি মাঝেমধ্যে তাদের ফানি মোমেন্ট ফটো করে রাখতাম এবং নিজেও কিছুটা আনন্দে রাখতাম তাদের। একদিন উদ্দেশ্য করেছিলাম যে দেখবো খাওয়ার মুহূর্তে তাদের ফটো করলে তাদের অনুভূতি গুলো কেমন হয়। তাদের অনুভূতি গুলো কেমন ছিল তা তো ফটোতে বুঝতে পারছেন। নয়ন পাইচ্ছিল লজ্জা আর আরেক জন বলছিল আমাকে ফটো উঠান। স্টাইল করে দাঁড়ায়। সবচেয়ে বড় ছেলেটার নাম 'নয়ন' সে একটু লজ্জা শীল এবং ছোট ছেলেটার নাম 'গালিব' সে খুবই চালাক চতুর। ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অবশ্য তারা খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছে এখন দেখা যাক কেমন রেজাল্ট আসে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এদের নাম জুঁই, কাইফা, মেধা মনি। এরা তিনজন খুব পাকা পাকা কথা বলতো কিন্তু ভালই লজ্জা শীল। আমি যেদিন উদ্দেশ্য করেছিলাম যে সকলকে একটু লজ্জা দিব খাওয়ার টাইমে দেখবো কেমন তাদের অনুভূতি হয় এরা তো আমাকে দেখে অর্থাৎ ফটোগ্রাফি করতে দেখে পলানোর চেষ্টা করছিল। এরা তেলের দোকানে বসে খাওয়া দাওয়া করছিল, কেউ আবার ক্লাসরুমে। এদিকে একলা ফটোগ্রাফিতে রয়েছে কাইটা মনি, তাঁর একটু লজ্জা কম তবে মেয়েটা খুবই হাসিখুশি। তার টিফিন খাওয়ার মুহূর্তে যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম সে লজ্জা পাচ্ছিল না তবে পাকা পাকা কথা বলছিল। অনেকে দেখা যায় যে স্যার খাবেন খাওয়াই দেবো?এমনটা বলে বসে। এরা এমনিতেই নম্র ভদ্র শুধুমাত্র মাঝেমধ্যে পানি মুখে কথা বলে বসে কারণ হচ্ছে অতি স্নেহের তারা।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরা স্কুলে একটু ভেড়া নামে পরিচিত, তবে এদের লোক সংখ্যা অবশ্যই বেড়ে গেছে। এখন এরা পঞ্চম শ্রেণীর স্টুডেন্ট। যাই হোক যখনকার ফটোগ্রাফি তখন ছিল চতুর্থ শ্রেণিতে। এরা লেখাপড়ার দিক থেকে কিছুটা দুর্বল। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভালো পারফরম্যান্স করে থাকে। যাইহোক নতুন শ্রেণীতে ওঠার পর তারা বেশ ভালো লেখাপড়া করছে। অন্যান্য ছাত্রছাত্রীর ভিড়ে বুঝতে শিখেছে লেখাপড়ার গুরুত্ব। যখন তাদের ফটোগ্রাফি করছিলাম তারা একটু একটু লজ্জা পাচ্ছিল তখন আমার মনে হয়েছিল এরা লজ্জা করছে ভালো পড়া করতে পরে না তাই। সাপ্তাহিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এরা ডান্স করে এবং সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি করে। উপস্থিত বক্তৃতায় বেশ পটু।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরা বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণিতে উঠেছে। তবে এরা যে কত পাকার পাকা তা আল্লাহই ভাল জানে। লেখাপড়াতে বেশ এক্সপার্ট এবং কথা বলাতেও বেশ এক্সপার্ট এবং মাঝেমধ্যে এরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কৌতুক অভিন করে থাকে। তাদের লেখাপড়া এবং বিভিন্ন বিষয়ে পারফরমেন্স গুলো সকল শিক্ষকের মুগ্ধ করেন। যখন আমি তাদেরকে ফটোগ্রাফি করছিলাম তারা ইয়ার্কি আড্ডাতে লেগে পড়েছিল। এমনিতে যেকোনো মুহূর্তে আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি হয়ে থাকে তারা। তবে পাগলামির পরিমাণটা একটু বেশি করে থাকে। হয়তো আপনারা জানেন যারা ভালো ছাত্র-ছাত্রী ওদের পাগলামিটা শিক্ষকদের কাছেও ভালো লাগে। আমি যখন টিফিন খাওয়ার দৃশ্য ফটোগ্রাফি করতে গিয়েছিলাম ওদের ক্লাসে ওরা তো দেখছি আরো সুন্দর করে অভিনয় করে স্টাইল করে আমার কাছে প্রেজেন্ট করছে। আমাকে বলছে স্যার আমি এই স্টাইল থাকি তখন ফটো মারবেন। কত পাকার পাকা। এদের নাম রাফিয়া, ফাবিয়া, মিম্মা। এরা শফিকের নাটক বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে। ফাবিহা ভালোনাসতে জানে। ফর্সা মেয়েটা রাফিয়া লেখাপড়ায় যেমন ভালো তেমন কৌতুক অভিনয়ে ভালো। তিনজনকে হিংসামূলক কাজেও লিপ্ত হতে দেখি আবার একসাথে ছাড়া চলতেও পারে না। এ বছরের নতুন অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে তাদের সাথে তাই তাদের সব বিষয়ে বেশি মনোযোগ সৃষ্টি হয়ে গেছে লেখাপড়ার দিক থেকে বলা যায় এদের থেকে অন্যরা পিছিয়ে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এতক্ষন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম এবার না হয় ম্যাডামদের দৃশ্য দেখা যাক। এখানে লক্ষ্য করছেন রুখসানা ম্যাডাম আমাদের বড় বোন। বাড়িতে যেমন মা স্কুল মায়ের মত বড় বোন আছে তাই নিজের কাছে ভালো লাগে। আমি এমনিতেই পরীক্ষা মূলক সবার ফটোগ্রাফি করে বেড়াচ্ছিলাম এই মুহূর্তে ওরা তো বুঝতে ছিল না খাওয়ার মুহূর্তে আমাকে তাদের সামনে উপস্থিত হতে দেখে আমার মুখে খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বারবার কিন্তু বুঝতে ছিল না আমি কেন কোন উদ্দেশ্য ফটোগ্রাফি করছি। এমনিতে তারা জানে না তারা যখন খাওয়া দাওয়া করে তখন আমি তাদের নিকটে যাই না হঠাৎ তাদের কাছে উপস্থিত হয়েছিলাম এটা জানো তাদের কাছে একটা আশ্চর্য মনে হয়েছিল আরো মনে হয়েছিল হয়তোবা আমার খিদে পেয়েছে। কিন্তু আমি তাদের দৃশ্য ধারণ করতে গিয়েছিলাম আর অনুভূতি দেখতে গিয়েছিলাম। এটা গরমের সময় আম পাকার মুহূর্তে। আম দিয়ে ভাত খাওয়ার দৃশ্য। নয়ন যথেষ্ট লজ্জা পাচ্ছিল যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম। সে বান্ধবীদের সাথে টেবিলে গোল হয়ে টিফিন খেয়ে থাকতো। মাঝেমধ্যে অনেকে তাকে রাগাতো। তাই সে তাদের কাছে মাঝেমধ্যে না যেয়ে ম্যাডামদের সাথে খেতে বসতো। হয়তো সে সুন্দর সোনালী দিনগুলো আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেনা যেহেতু ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বিদায় গ্রহণ করে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে তবে এই ফটোগ্রাফি গুলো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে বিদ্যালয়ের সুন্দর একটি মুহূর্তের জন্য। তাই স্টিমিটকে ধন্যবাদ জানাই যে, কিছু ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেখানে আমরা অতীতের ফেলে আসা দিনগুলো স্মৃতি করে রাখতে পারি স্টিমিটের পাতায়। পিছনে ফিরে তাকালে ফিরে পাই সুন্দর সেই মুহূর্তগুলো।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ওরে বাবা আপনি দেখছি স্কুলের সকলের টিফিন খাবার মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে রেখে দিয়েছেন। যাক ভালো স্টিমেট এ সারা জীবন সংরক্ষিত থাকবে মুহূর্তগুলো। হয়তোবা ছবিগুলো অনেক আগে ধারণ করেছেন কেননা ছবির মধ্যে দেখছি কিছু আম ও দেখা যাচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আজ থেকে তিন চার মাস আগে উঠানো ছবি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সময় সৃতি কখনো ভুলে যাওয়ার নয় ৷ খুব ভালো লাগলো সেই ছোট্ট বেলার টিভিন খাওয়ার মূহুর্ত গুলো দেখে ৷ আসলে খুব মনে পড়ে মাঝে মধ্যে তবে আপনার স্কুলের বাচ্চাদের টিভিন খাওয়া দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে এই টিভিন নিয়ে ক্লাশ থ্রিকতে আমার বিশাল এক কাহিনী আছে ৷ আমি ভুল করে অন্য জনের টিভিন খেয়েছিলাম ৷ তারপর তো অন্যজন কান্নাকাটি ৷
যা হোক ভাই দারুন একটি ব্লগ তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমনটা অনেকের মধ্যে হয়ে থাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার তো মনে হচ্ছে আপনি আপনার নিজের খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে আপনার স্টুডেন্ট এবং ম্যাডামদের টিফিন খাবার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করেছেন। অনেক আগের মনে হয় এই ফটোগ্রাফি গুলো। সত্যি স্টিমিট এ সারা জীবন সংরক্ষিত থেকে যাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো যেগুলো আপনি ক্যামেরায় বন্দি করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মন ভালো রাখতে যেকোনো মুহূর্তেই যে কোনভাবে আনন্দ তৈরি করে নিতে হয়
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম অনেক আগের ফটোগ্রাফি এগুলো।কারণ ম্যাডামের যে ফটোগ্রাফি করেছেন ম্যাডামের পাশে কয়েকটি আম দেখা যাচ্ছে তাহলে অনেক আগের হওয়ারই কথা। নিজের টিফিন খাওয়া বাদ দিয়ে আপনি অন্যদের টিফিন খাওয়ার ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যি বলেছেন স্টিমিটে সারা জীবন সংরক্ষিত থাকবে মুহূর্তগুলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ অনেক আগেই ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম আপনাদের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit