হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি অনলাইনে অর্ডার করা সৌর চালিত ইনভার্টার আনতে যাওয়া এবং আনবক্সিং করা মুহূর্ত নিয়ে। চলুন বিস্তারিত শুরু করা যাক।
২০২৩ সালের ৩০ তারিখ। গাংনী সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে আমার পার্সেল এসে উপস্থিত। তাই সেখান থেকে আমাকে ফোন করা হলো। আপনার পার্সেল চলে এসেছে এসে নিয়ে যান। যেহেতু মোটামুটি আমি অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকি বিশ্বস্ত দোকানগুলো থেকে। আর এই সমস্ত জিনিসগুলো হচ্ছে এসি ডিসি বিভিন্ন উপকরণ। বাংলা ভাষায় বলতে গেলে কারেন্টের জিনিস আর সৌর চালিত জিনিস। আমি অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করেছিলাম দুইটা ডি সি টু এ সি 180 ওয়াটের ইনভাটার। কারণ এই সমস্ত বিষয়ে আমি খুবই ইন্টারেস্টেড আর অনেক কিছু পরীক্ষা করে থাকি সৌর চালিত বিষয়ে। তাই মনের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করছিল যে কোন মুহূর্তে কারেন্ট চলে যায় এদিকে আমার সৌর প্যানেল সেটআপ রয়েছে। আমার জানার ইচ্ছে ছিল 12 ভোল্টের ব্যাটারি দিয়ে কিভাবে কারেন্টের একটা বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা যায় দীর্ঘক্ষন। আর এই ধারণাটা কিন্তু আমার অনেক দিন আগের তবে উপকরণগুলো কেনা হয়ে ওঠেনা। আর এটা জানার পরে কিন্তু আমি অর্ডার করেছিলাম এই উপকরণ।
গাংনী কুরিয়ার সার্ভিসে উপস্থিত হওয়ার পর আমার কাঙ্খিত জিনিসটা উঠাতে পারলাম। যেহেতু বিকাশের মাধ্যমে সরাসরি আগেই টাকা পেমেন্ট করে দিয়েছিলাম তাই এখানে আমার এক পয়সাও দেওয়া লাগলো না। দুইটা ইনভার্টার আর কুরিয়ার সার্ভিস সহ ৭২০ টাকা দিয়েছিলাম। অবশ্য এই ইনভাটার দুটোর বাজার মূল্য ৫৫০ টাকা করে বর্তমান দাম কমে যাওয়ায় অনলাইন থেকে নেওয়া একটু সহজ হচ্ছে। যার মূল্য আজ ৩৬০ টাকা করে পড়ল আমার কাছে বাড়ি পৌঁছাতে।
বাড়ি আসতে পথে বড় ভাই মোবাইলে বলে দিল জহিরের কাছ থেকে কিছু ঔষধ নিয়ে আসবি। এই সেই চিরচেনা প্রিয় মুখ আমার ফুফাতো ছোট ভাই আপনার বাংলা ব্লগের ইউজার জহির। ওর কাছ থেকে ঔষধ গুলো নিয়ে আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
দুইটা সহজ সট পথ দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসা যায় গাংনী বাজার থেকে। তবে প্রথম পথে আমার বাইকের আগে একটা মাইক্রো গাড়ি থাকায় চিকন রাস্তায় আর ইচ্ছে হলো না তার পিছন থেকে সামনে বের হয় তাই আলাদা রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। তবে আসতে পথে গ্রামের মধ্যে চোখের সামনে বেঁধে গেল হাতি। দেখলাম মোটরসাইকেল থামিয়ে টাকা উঠাচ্ছে। তাও আবার একজন মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে ৫০ টাকার উপরে। কি আর করার টাকা তো দিতেই হল তাই ভাবলাম দুইটা সেলফি তুলে রাখি। তবে বর্তমানে রাস্তাঘাটে এই সমস্ত কার্যকলাপ গুলো আমি মোটেও পছন্দ করি না যে কোন মুহূর্তে এক্সিডেন্ট হতে পারে। কারণ রানিং মোটরসাইকেলে হঠাৎ হাতি শুর বাঁধিয়ে দিচ্ছে। যে কোন মানুষ তলে পড়ে যেতে পারে অথবা রাস্তায় পড়ে গেলেই হাত পা কেটে যাবে।
এরপর আমি বাসায় পৌঁছে গেলাম। অতি আনন্দের সাথে আনবক্সিং করার চেষ্টা করলাম। আর এরপর প্যাকেট খুলতেই বের হয়ে আসলো আমার কাঙ্খিত সেই ইনভার্টার। যে ইনভার্টার দিয়ে একটি 12 ভোল্টের পাউডার ব্যাটারির মাধ্যমে কারেন্টের তিনটা বাল্ব অনায়াসে চালানো যাবে। এমনকি টেস্ট করে আমার দেখা হয়ে গেছে দীর্ঘ পাঁচ সাত ঘন্টা। খুব শীঘ্রই এমন সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করব যেন আপনারা এ বিষয়ে ধারণা পেতে পারেন।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |