পাঙ্গাস মাছের খাবার আনতে গিয়ে বৃষ্টির সম্মুখীন

in hive-129948 •  4 months ago 


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ভাঙ্গাস মাছের বাচ্চার খাবার কেনার অনুভূতি নিয়ে। আশা করব এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে আপনারা বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন। তাহলে চলুন শুরু করি বিস্তারিত আলোচনা।

IMG_20240824_080545_8.jpg


ফটোগ্রাফি সমূহ:


আপনারা অনেকেই জানেন আমরা পাঙ্গাস মাছ চাষ করে থাকি। দুইটা পুকুরে ১০০০০ মত পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা দেওয়া হয়েছে। ছোট বাচ্চার জন্য ছোট ছোট ভাসমান খাবার রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির। ঠিক আমরা রূপসী কোম্পানির খাবারটা খাওয়ানোর চেষ্টা করি। এখন প্রত্যেক সপ্তাহে এক বস্তা করে এই খাবার লাগে। এক বস্তা খাবারের মূল্য ২০০০ টাকা। যেখানে মাত্র 25 কেজি ভাসমান খাবার থাকে। আজকে মাছের খাবার শেষ হয়ে গেছিল। এজন্য সকালেই রেডি হয়েছিলাম নিকটস্থ জোড়পুকুরিয়া বাজার থেকে এই খাবার নিয়ে আসতে হবে তাই। এদিকে আমি যখন জোড়পুকুরিয়া বাজারে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম ঐ মুহূর্তে আকাশে বেশ ঘন মেঘ জমে গেল। ঠিক সেই মুহূর্তে চিন্তা ভাবনা করলাম যাব কিনা। মোটরসাইকেলে ১০ মিনিটের রাস্তা। তবে বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলো দূরে। আকাশের অবস্থা দেখেও রেডি হলাম যে গাড়ি যেহেতু বের করা হয়ে গেছে না গেলেই নয় পরবর্তীতে যাওয়া হয়ে উঠবে কিনা। তাতে আবার আজকে শুক্রবার দিন। এদিকে হালকা বাতাস শুরু হয়ে গেছে। মনে সাহস দেখে রাস্তায় উঠে পড়লাম গাড়ি স্টার্ট করে। কিছুটা এগিয়ে যেতে গ্রামের রাস্তা পার হতে জোরে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া বইতে লাগলো। আমি ও আমার মত গাড়ি টান দেওয়া শুরু করলাম। ১০ মিনিটে পৌঁছে গেলাম জোড়পুকুরিয়া বাজারে মাছের খাবারের দোকানে।

IMG_20240830_104719_965.jpg

IMG_20240830_104920_785.jpg


এরপর স্বজরে বৃষ্টি শুরু হল। এতটা জোরে যে বৃষ্টি শুরু হলে তা বলার কথা না। শুনেছিলাম আমাদের এই জায়গার আগে অন্যান্য জায়গায় বেশ ভারী বর্ষণ হয়েছে। কিন্তু আমি দোকানে পৌঁছে তাই উপলব্ধি করলাম। এই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি তে আপনারা যে হাইরোড দেখতে পাচ্ছেন তা মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার রাস্তা। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। আমি যে দোকান থেকে মাছের খাবার নেব সেখানে রয়েছে শ্যামলী কাউন্টার। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে কাউন্টারে যাত্রীরা বসে রয়েছে গাড়িতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের। এদিকে আমি মাছের খাবার এক বস্তা নিয়ে নিয়েছি, দুই হাজার টাকা পরিশোধ করে ফেলেছি। দেখলাম বৃষ্টি হচ্ছে হতে থাকুক এই ফাকে আমিও ফটো ভিডিও ধারণ করি এবং হালকা কিছু কেনাকাটা ও মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড করি। তবে বৃষ্টির এমন সুন্দর চিত্র দেখে খুবই ভালো লাগছিল যার জন্য আমি বারবার ফটো ধারণ করেছিলাম রাস্তার চিত্র। আকাশ যেমন ঘন কালো অন্ধকার এসে গেছিল ঠিক তেমনি জোরে বৃষ্টি। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল রাস্তায় এই বৃষ্টিতে একটু ভিজতে পারলে খুব ভালো হতো। খুব ইচ্ছা জাগে প্রিয় মানুষটার সাথে রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজি। তবে ইচ্ছে শুধু ইচ্ছে থেকে যায় এই স্বাদ মিটাতে হয় সিনেমার দৃশ্য দেখে। অনুভব করলাম প্রিয়জনের কথা। যাকে আধাঘন্টা আগে ঘরে রেখে এসেছিলাম। অঝরে বৃষ্টি ঝরতে থাকল। এদিকে যে মানুষটার জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম কসমেটিক সামগ্রী। তখনো বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই পরিবহনের কাজগুলো আর দাঁড়িয়ে না থেকে ছাতা মাথায় দিয়ে যাত্রী উঠিয়ে নিলো। এরপর পরিবহনের বাস চলে গেল চোখের সামনে থেকে।

IMG_20240830_105414_7.jpg

IMG_20240830_105432_3.jpg

IMG_20240830_105349_738.jpg

IMG_20240830_105355_502.jpg

IMG_20240830_105442_2.jpg

IMG_20240830_110747_480.jpg


এদিকে বৃষ্টি নিজ গতিতেই পড়তে থাকলো তাই আমি আমার মোটরসাইকেল আর মাছের খাবারের দোকানের কাছে যেতে পারলাম না। তাই অপেক্ষা করতে হলো এদিকে ওদিকে ফটোগ্রাফি করার মধ্য দিয়ে। এই জায়গাটাতে একটু রাস্তা সংস্কারের জন্য ফাঁকা পরিণত হয়েছে কিন্তু এর আগে যখন আমার বেশি চলাচল ছিল জোরপুকুরিয়া বাজারে, তখন লক্ষ্য করতাম এখানে বটগাছের নিচে বেশ বিভিন্ন বিক্রেতা তাদের জিনিস নিয়ে বস্তু। কত সুন্দর মনোরম পরিবেশ ছিল তখন। এখন রাস্তার কোলে থাকা সমস্ত গাছগুলো কাটা পড়ে গেছে।

IMG_20240830_105559_2.jpg

IMG_20240830_105723_5.jpg


প্রায় ২০-২৫ মিনিট জোরে বৃষ্টি হওয়ার পর রোদ উঠে গেল এবং বৃষ্টি থেমে গেল। এরপর আমি আমার মাছের খাবারের বাস্তা টা মোটরসাইকেলের পিছনে বেঁধে নিলাম। এরপর মাছের খাবারের ঘর থেকে বিদায় নিলাম। বেশ সাবধানতার সাথে রাস্তা ক্রস করে পাশের গ্রাম 16 টাকা অতিক্রম করে নিজেদের গ্রামে চলে আসলাম। আর এভাবেই সকালে বাসের খাবার আনতে গিয়ে বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছিলাম। বেশ সুন্দর একটা ভালো লাগার অনুভূতি খুঁজে পেয়েছিলাম বৃষ্টির মুহূর্তে। হয়তো আবারও সাত দিন পর উপস্থিত হতে হবে একই জায়গায়। তবে একেকদিনে এক এক আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশের সম্মুখীন হতে হয়।

IMG_20240830_104928961_BURST0002.jpg

IMG_20240830_111406_807.jpg

PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

পোস্ট বিবরণ


বিষয়মাছের খাবার আনতে যাওয়া
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশনগাংনী-মেহেরপুর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

মাছের খাবার আনতে গিয়ে প্রায় ২০-২৫ মিনিট বৃষ্টি সম্মুখীন হয়েছিলন। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টি পরিবেশটা দেখতে ভালো লাগছে। আপনার পোস্টে বৃষ্টির ফটোগ্রাফিগুলো দেখে খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে। আমাদের এখানে এইরকম বৃষ্টি অনেক ধরে হয়না।

হ্যাঁ আপু অনেকদিন পর বৃষ্টি হলো

অনেকদিন পর আমাদের এলাকায় বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে। দুই তিন দিন আগে হয়েছিল। আজকে হঠাৎ হয়ে গেল। আর এই বৃষ্টির মুহূর্তে আপনি থেমে না থেকে দ্রুত মাছের খাবার আনতে গিয়েছেন। আবার সেখান থেকে বৃষ্টির শেষে বাড়িতে ফিরেছেন। আর এই মুহূর্তে বেশ উপভোগ করেছেন বৃষ্টির অনুভূতি। আসলে সবারই মন চায় প্রিয়জনের সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করে বৃষ্টিতে ভিজে। পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ

হঠাৎ করে কোন কাজে গেলে বা বৃষ্টি হলে তখন নিজের কাছে খারাপ লাগে। আপনি মাছের খাওয়ার আনতে আপনাদের বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গেলেন। তবে মাছের খাবারের দামের উপর আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। ২৫ কেজি এক বস্তা মাছের খাওয়ার দুই হাজার টাকা। তবে আমাদের এই দিকেও অনেক মানুষ পাঙ্গাস মাছ চাষ করে। মোটরসাইকেল করে মাছের খাওয়ার নিয়ে আসলেন। তবে ভাই বৃষ্টির সময় প্রিয় মানুষের কথা বেশি মনে পড়ে। যাইহোক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু প্রচুর দাম

আপনার পুকুরে দশ হাজার পাঙ্গাস মাছের পোনা আছে। এতগুলো মাছ একসাথে দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। জোর পুকুর থেকে মাছের খাবার আনতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন। এই মাসে কখন যে বৃষ্টি হয় আর কখন যে রোদ হয় বোঝায় মুশকিল। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে খাবারের দামটা একটু বেশি হয়ে গেছে কিছুদিন আগেও খাবারের দাম কম ছিল। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট ধন্যবাদ।

হ্যাঁ হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছিল

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৃষ্টির মধ্যে মাছের খাবার আনার দারুন একটি মুহূর্ত। তাছাড়া আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। আপনার দুই পুকুরে ১০ হাজার পাঙ্গাশের বাচ্চা রয়েছে। আর এই মাসের খাবার আমার জন্য আপনি জোরপুকুরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে বৃষ্টিতে ধরা খেয়েছেন। যাক অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে মোটরসাইকেলে করে খাবার নিয়ে আবার বাসায় ফিরলেন। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ,জোরপুকুর থেকে খাবার আনি।