আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের স্কুলের বিশেষ একটি অনুষ্ঠান এর বিশেষ বিশেষ অংশ উপস্থাপন করার জন্য। যেখানে থাকবে বিরিয়ানি রান্নার জন্য মসলা জাতীয় উপাদানের প্রস্তুত করুন, ছাত্র-ছাত্রীদের পিটি প্যারোড, চক্ষু পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে সাজানো আজকের পোস্ট। আশা করি সঙ্গে থাকবেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
আমাদের স্কুলে বিশেষ একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিল। মোবাইলের গ্যালারিতে থাকা হাজার হাজার ফটোগ্রাফির মধ্যে ফটোগুলো চোখে বাঁধলো তাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। এই অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন আমাদের বিদ্যালয়। তাই পূর্ব দিন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি ছিল বিভিন্ন বিষয়ে। তার মধ্যে গেস্ট এবং আমাদের নিজের খাওয়া দাওয়া বিশেষ আইটেম। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিকভাবে পিটি প্যারেড করার প্র্যাকটিস। তারই মধ্যে চলছিল প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের তালিকা। যাইহোক, বিশেষ দিনের পূর্বে আমরা এক ক্লাস রুমের মধ্যে বিরিয়ানি রান্নার জন্য বিভিন্ন রান্নার আইটেমগুলো ঠিক ঠাক করছিলাম যেমন পেঁয়াজ রসুন কাঁটা-ছোলার কাজ। ম্যাডামদের পাশাপাশি আমিও সহায়তা করছিলাম সাথে বিভিন্ন বিষয়ের আনন্দধারা কথা আর হাসি আড্ডা চলছিল আর এভাবেই অনেকগুলো পেঁয়াজ রসুন রেডি করা হয়েছিল। পাশে আপনাদের প্রিয় মুস্তাফিজুর উপস্থিত ছিল আনন্দ উপভোগ করার জন্য।
কাঙ্খিত দিনের সকাল দশটার সময় জেলা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসারদের দেখানো হয়েছিল আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পিটি প্যারেডের দক্ষতা। সকলের বড়ই প্রশংসা করেছিল এত সুন্দর পিটি প্যারেড দেখে। যেহেতু মিডিয়ার সামনে ফটো ভিডিও তুলে ধরতে হয় তাই আমিও প্রস্তুত ছিলাম বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি ও ভিডিও করার জন্য। প্রথমে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত,এরপরে শপথ বাক্য, তারপর জাতীয় সংগীত। এরপর শুরু হলো পিটি প্যারেড। যেখানে ১০ রকমের পিটি করানো হয়।
দিনটা শুরু হয়েছিল সূর্যের আলো দিয়ে মনে হয়েছিল দিন খুব ভালো যাবে কিন্তু হঠাৎ আকাশে মেঘ জমে গেল। রান্নাবান্নার কাজ শুরু হয়েছিল স্কুলের দুতলার ছাদের উপরে। সেদিকেও আমাকে নজর রাখতে হয়েছিল যেহেতু পরিচালনার দায়িত্ব আমার আর মুস্তাফিজুরের ছিল। কোথায় কি ঠিকঠাক হচ্ছে না হচ্ছে তা দেখে বেড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ আকাশে কালো মেঘ তাই রাধুনীকে বলেছিলাম খুব সাবধানে রান্নাবান্না করুন এবং যা রান্না হয়ে যাবে তা নিচে এসে একটি রুমের মধ্যে রাখুন। তখন ভেবেছিলাম কালকের দিনটা কত সুন্দর গিয়েছিল আর আজকে হঠাৎ মেঘ চলে আসলো এমন সুন্দর সূর্যের ঝলমলে রোদের দিনে। ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন একটি কুল গাছ সেই গাছে অনেক কুল ছিল অর্থাৎ অসময়ের কুল। কাঙ্খিত দিনের পূর্বে একটি ছাত্রের বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে ফটোটা উঠিয়েছিলাম। যাই হোক ছাদে দাঁড়িয়ে চিন্তা করলাম নিচে জার্মানি গাছে যদি ফুল থাকতো না জানি ছাদ থেকে দেখতে কত সুন্দর লাগতো তাই অপেক্ষায় ছিলাম পুকুরের ডোবায় জার্মানি ফুলের অপেক্ষায়।
শরতের একটি দিনে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করে লক্ষ্য করেছিলাম এমন সুন্দর জার্মানি ফুল। সেই মুহূর্তে আমার স্মরণ হয়ে গিয়েছিল ওই কাঙ্ক্ষিত অনুষ্ঠানের দিনে স্মরণ হওয়া এই ফুলের কথা। তাই সেই ভালো লাগাটা ধরে রাখার জন্য ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
পিটি প্যারেড শেষে শুরু হয়েছিল চক্ষু পরীক্ষা। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক মন্ডলী এবং অভিভাবকদের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়েছিল। জেনে খুশি হবেন চক্ষু পরীক্ষা হয়েছিল ফ্রী টাকায়। যাতে কোন ব্যক্তিকে টাকা খরচ করা হয়নি। অনেক অভিভাবক তো মহা খুশি হয়েছিলেন বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করতে পেরে। অবশ্য দায়িত্বে ছিলাম সমস্ত মানুষের ঠিকভাবে চক্ষু পরীক্ষা করানো হচ্ছে কিনা দেখভাল করার জন্য। ছোট ছোট অনেক ছাত্রছাত্রীরা এত ভয় পাচ্ছিল না জানি ডাক্তার কি করবে তাদের। তবে খুব সুন্দর সাহস দেয়ার মধ্য দিয়ে নিজে প্রস্তুত থেকে যোগ্য পরীক্ষা করে নিয়েছিলাম। আমি আর মোস্তাফিজুর উপস্থিত থাকায় তারা সাহস করে চক্ষু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। এভাবেই সবার চক্ষু পরীক্ষা করানো হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ, আমার চোখ আল্লাহর ভালো রেখেছেন। ডাক্তার সাহেবের প্রশংসা করেছিলেন স্কুলের সকল শিক্ষক মন্ডলের মধ্যে বেশি ফ্রেশ,আমার চোখে কোন প্রকার প্রবলেম নেই। সকলে দোয়া করবেন যেন এভাবে সুস্থ থাকতে পারি।
সবশেষে যে সমস্ত গেস্ট এসেছিল সুন্দর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করানো হলো। বিভিন্ন আলোচনা স্কুল উন্নয়ন বিষয়ে ভবিষ্যতে কেমন পর্যায়ের উন্নতি সাধন করতে হবে তার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। আর এভাবেই কেটে গিয়েছিল বিশ্বাস সেই দিনটা, যা আমার জীবনে সত্যিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে আমার আফসোস হয়েছিল ওই দিন শেষে রাতে। আফসোসটা এজন্য ছিল যে আমি সারাদিনে অনেক ফটোগ্রাফি করেছি স্কুলের জন্য, অন্যের জন্য। কিন্তু ভুল করে আমার কোন ফটো ছিল না ওই বিষয় দিনের। আমি শুধু ফটোগ্রাফি করেছি কয়েকশ, কিন্তু সেই ফটোগ্রাফির মধ্যে নিজেকে রাখতে পারি নাই, তাই আফসোস। যাই হোক দিনটা ছিল বড়ই ক্লান্তিকর,পাশাপাশি আনন্দঘন একটি মুহূর্ত। যা স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | sumon🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
যদিও এই দিনটিতে প্রকৃতির অবস্থা খারাপ থাকার ফলে রান্না করতে একটু কষ্ট হয়েছিল তারপরেও দিনটি ভালোভাবে উপভোগ করা গিয়েছে। সব থেকে ভালো হয়েছে আমরা আমাদের স্কুলের প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দিতে পেরেছি। চিন্তার কিছু নাই ফটোগ্রাফারের এমনটা হতেই থাকে। অন্যের ছবি তুলতে তুলতে নিজের ছবি তোলার কথাই মনে থাকে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিনটিকে দীর্ঘদিন স্মরণ রাখার জন্য স্টিমিটের পাতায় রেখে দিলাম আমার বাংলা ব্লগকে ভালোবেসে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ? দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন আপনারা স্কুলে, বিশেষ করে বাচ্চাদের চক্ষু পরীক্ষা এবং তাদের অভিভাবকদের সহ এ বিষয়টা অনেকটা ভালো একটি উদ্যোগ ছিল। সে সাথে খাওয়া-দাওয়া আনন্দ উল্লাস সবমিলিয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। আকাশের কালো মেঘ দেখে যদিও ভয় পেয়েছিলেন নিশ্চয়ই সেরকম কিছু হয়নি। যাই হোক ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাইয়া। তবে এই পিকনিকটি আপনারা কবে করেছিলেন? যেহেতূ এখন শীতকাল আকাশে মেঘ করার তো কথা নয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের পরিচালক স্যারের বিশেষ কিছু গুণ আমার খুব ভালো লাগে। আশা করি ভিন্ন কিছু বিষয় নিয়ে উপস্থিত হব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit