আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে কিছু কথা নিয়ে। যে অনুষ্ঠানে আমি এবং আমার বাংলা ব্লগের বেশ কিছু ইউজার উপস্থিত ছিলাম। আশা করি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুন্দর একটি অ্যারেঞ্জমেন্ট এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিল এই বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ব্যাচের স্টুডেন্ট। আমার আব্বুদের দিয়ে প্রথম ব্যাচ শুরু হয়েছিল এই বিদ্যালয়ে। এ জাবোত পর্যন্ত এই বিদ্যালয় থেকে পাশ করা হাজার হাজার স্টুডেন্ট দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি চাকরিরত রয়েছেন। তার মধ্য থেকে আমাদের গ্রামের অনেকেই রয়েছে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্ম কর্তা রূপে। যেমন আমাদের গ্রামের বা এই বিদ্যালয়ের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, কুষ্টিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, কৃষি ব্যাংকের বিভাগীয় অফিসার সহ হাজার হাজার চাকরিজীবী ব্যক্তি রয়েছেন শিক্ষকতা,ডিফেন্স এর চাকরি রত। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে আজকের এই ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী আয়োজন। রাস্তায় আমি আর আমার বন্ধু আপনাদের প্রিয় মারুফ অংশগ্রহণ করেছিলাম এই অনুষ্ঠানে।
প্রথমে আমি আমার সমস্ত বন্ধুদেরকে একত্রিত করার চেষ্টা করছিলাম তাই আমাদের গ্রামের দিক থেকে চাচা অথবা বন্ধু সাইদুল সকলকে ফোন করছিল কে কোথায় আছে না আছে। আর এভাবেই আমরা বন্ধুরা ব্যাস ভিত্তিক একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছিল আমি কখনো এভাবে কোন বড় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি নাই। হয়তো দীর্ঘ ১০-১২ বছর এই বিদ্যালয়ের মধ্যে ছিলাম যেহেতু প্রাইমারি এবং হাই স্কুল একই স্থানে। তারপরেও এসএসসি পাস করার পরে তেমন একটি এখানে উপস্থিত হওয়া হয়নি আমার। স্কুলটি বাড়ির নিকটে হওয়া সত্বেও কেমন যেন কোন অনুষ্ঠান বা স্বাভাবিক অবস্থায় যাওয়া হয় না।
আমি আর মারুফ সেমিনারের নিচে চলে গেলাম। আমাদের জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্লেগ্রাউন্ড টা অনেক বড়। অনেক বড় করে ডেকোরেশন করা হয়েছে। সকল অতিথির জন্য বসার ব্যবস্থা রয়েছে। যেদিকে লক্ষ্য করছিলাম দেখছিলাম সকলেই ছবি তোলায় ব্যস্ত। ঠিক তাদের দেখাদেখি আমাদেরও খুব ভালো লাগছিল ছবি বা সেলফি উঠানোর জন্য। Photography device: Infinix hot 11s
আমাদের বিদ্যালয়ের লোকেশন টা বেশি দারুন। এদিকে অনেক বিল্ডিং হয়ে গেছে তাই বেশি ভালো লাগছে দেখতে। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন উপভোগ করেছি আজ। ইচ্ছামতো এপাশের ওপাসের ফটো উঠানোর চেষ্টা করেছি। মনোরম একটি পরিবেশ যে পরিবেশটা আমার গ্রামের শত শত মানুষের রক্ত দিয়ে গড়া। আমার আব্বু সর্বপ্রথম আমাদের গ্রাম থেকে ক্লাস ফাইভ আর সিক্স এর বৃত্তি পাওয়ার স্টুডেন্ট ছিলেন। সাবেক এই স্কুলের সভাপতি, বর্তমানে আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সভাপতি, আবার বড় ভাই বিদ্যুৎ এ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমার আব্বুর মর্যাদা ও বেশ এই বিদ্যালয়ে।
সামিয়ানার নিচে কিছুক্ষণ বসে চেষ্টা করছিলাম বাংলা ব্লগের কয়েকজন ব্লগারের সাথে সেলফি উঠানোর। আর এদিকে অপেক্ষা করছিলাম কখন সমস্ত বন্ধু বান্ধবীরা এসে উপস্থিত হবে। আপনাদের প্রিয় ইমন এবার এসএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছে। তোর অনেক বন্ধু বান্ধবী থাকা সত্ত্বেও আমাদের থেকে দূর হয়নি।
বন্ধু বান্ধবীরা উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত বসে বসে অপেক্ষা করছিলাম আমি আর মারুফ। ঠিক সেই মুহূর্তে সামিয়ানার নিচে বসে এপাশের ওপাশের ফটো উঠানোর চেষ্টা করছিলাম। অনুমান করেছিলাম দু-পাঁচ হাজার মানুষের সমাগম। বেশ ভালো লেগেছিল মানুষের আসা যাওয়া দেখতে। তবে এই ক্ষেত্রে আপনারা লক্ষ্য করছেন আমাদের মাথায় সুবর্ণ জয়ন্তীর একটি ক্যাপ দেওয়া হয়েছে। সিলিপ ব্যাক দেওয়ার সময় খাবারের টোকেন এর সাথে একটি ক্যাপো একটি কাপ এবং একটি বই দিয়েছে আমাদের। এভাবে এই সুবর্ণ জয়ন্তীতে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল সকলকে ক্যাপ দেওয়া হয়েছে। ছেলেমেয়ে উভয় ক্যাপ মাথায় তাই বেশ ভালো লাগছিল। সকল শ্রেণীর মানুষ এবং সকল বয়সের মানুষ উপস্থিত ছিল যারা এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী। এমন সুন্দর মিলন মেলা সত্যি মৌনমুগ্ধকর।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। এই বিদ্যালয় থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী সফলতার পথে এগিয়ে গিয়েছেন। অনেক সফল মানুষ এবং কৃতি সন্তান এখান থেকে নিজের শিক্ষা জীবনের শুরু করেছেন। আসলে এরকম দিনে শামিল হতে পারা সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু অনেকদিন পর বন্ধু বান্ধবীদের সাথে দেখা হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুশি হলাম আপনার মন্তব্য দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কয়দিন আগে আমাদের হাই স্কুলে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে। ঐ অনুষ্ঠানের কারণে আমরা অনেক বন্ধু একসাথে সুন্দর সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে। আসলে সুবর্ণ জয়ন্তীতে কাটানো মুহূর্তগুলো জীবনের পাতায় তৃতীয় হয়ে যাবে। গুটিগুটি পায়ে অনেক সফলতার পথ পাড়ি দিয়ে আজকে বিদ্যালয়টি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে এতে জেনে খুবই ভালো লাগলো। বিদ্যালয়টি সফলতার সাথে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। আপনি সুবর্ণ জয়ন্তীর এত চমৎকার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit