ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশমাইল ভ্রমণ

in hive-129948 •  6 months ago 


আসসালামু আলাইকুম




হাই বন্ধুরা!

কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে আমারও ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছে জাগে দেশের যে কোন প্রান্তে। ঠিক তেমনি ভ্রমণ কাহিনী আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। যেখানে ঢাকা সাভার বিশমাইলের সুন্দর একটি স্থানের কিছু চিত্র আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশা করি আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভাল লাগবে।

IMG_20240604_121644.jpg

photography device:
Huawei P30 Pro-40mp

Location


ঢাকা সাভার বিশমাইল ভ্রমণ:


ঢাকা সাভার দেশের অন্যান্য স্থানগুলোর মধ্যে বেশ পরিচিত আর জনপ্রিয়। যেটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ক্যান্টনমেন্ট, নন্দন পার্ক সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরে রূপ নিয়েছে দেশের বুকে। এখানে গাংনী মেহেরপুর থেকে সড়ক যোগাযোগের খুব সহজে যাওয়া যায়। তবে মাঝখানে পদ্মা নদীর পার হতে হয়। দোলোদিয়া ঘাট থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব। এছাড়াও যমুনা সেতু হয়ে যাওয়া যায়। তবে আমাদের ক্ষেত্রে এই ঘাট পার হয়ে যাওয়াটা বেশ সুবিধাজনক। তবে যাই হোক বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিলাম ঢাকা সাভারে। আর সেই মুহূর্তে অনেক কিছু দেখার সুযোগ মিলে ছিল। এত পূর্বের অনেকগুলা পোস্টে আমি বলেছি জাহাঙ্গীরনগরের নিকটে পানধোয়া বাজারে আমার খালাম্মার বাসা। আর সেখানে আমরা অবস্থান করেছিলাম। খালাম্মার বাসা থেকে মাঝেমধ্যে চলাচল করেছি এই সমস্ত স্থানগুলোতে। জাহাঙ্গীরনগর এর লাস্টের গেট পার হয়ে সেনানিবাস। আর তার মাঝখানে রয়েছে ২০ মাইল নামক বাজার। সেখানেই রয়েছে এই সুন্দর স্থানটা। ফ্লাইওভার অতিক্রম করে কিছুটা উত্তরে এগিয়ে যেতেই একটি দোকানের সামনে এমন সুন্দর সুন্দর অনেক জিনিস তৈরি করা রাস্তার পাশে জমা। বাসে চলাচল করার মুহূর্তে লক্ষ্য করেছি। অনেকদিন পর এখানে উপস্থিত হয়ে যেন আবারো নতুন মনে হচ্ছিল। যাই হোক একদিন বিকেল বেলায় এ সমস্ত জিনিস গুলো ভালোভাবে দেখবো বলেই উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করলাম।

IMG_20240620_184455.jpg

IMG_20240620_184504.jpg

IMG_20240620_184508.jpg


সময়টা ছিল কোরবানির ঈদের পরের মুহূর্ত। এই জন্য মানুষজনের উপস্থিতি খুব কম ছিল। বিশমাইল ফ্লাইওভার এ মানুষের চলাচলটা অনেক কমে গেছিল তখন। তাই শীতল বাতাস অনুভব করার জন্য কিছুটা প্রশান্তির জন্য উপস্থিত হতাম এই জায়গায়। এরপর কিছুটা সময় ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাওয়া দেওয়া ও ঘোরাঘুরি তারপর এদিক সেদিক থেকে ফটো ধারণ অতঃপর রাতের বাসায় ফিরে আসা। ঠিক তেমনি একদিন উদ্দেশ্য করে ছিলাম এই জায়গার তৈরি করা এই সমস্ত মূর্তিগুলো দেখবো এবং ধারণা নেব এই জায়গার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। কিন্তু বাজারে উপস্থিত হয়ে এখানে অনেক মানুষের আনাগোনা হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম। কোন একটা কারণ কে লক্ষ্য করে যেন মানুষের এত উপস্থিতি। ততক্ষণে ফ্লাইওভারে থেকে ঠান্ডা খেয়ে নিতে ঠান্ডা হয়ে অতঃপর সেখানে প্রবেশ করে এই সমস্ত ফটো ধারণ করার চেষ্টা করছিলাম। এগুলো রাস্তার পাশে অবস্থিত হওয়ার কারণে ঈদের আগে মানুষের এবং গাড়ির চলাচলের কারণে ফটো ধারণ করা বেশ কঠিন ছিল। কারণ তার আগেও আমি একাধিকবার উপস্থিত হয়েছি কিন্তু তেমন পরিবেশ পাইনি। কারণ হাইরোড দিয়ে সব সময় গাড়ি চলাচল আর মানুষের চলাচল বিভিন্ন সাউন্ড আর ধুলাবালি যেন আপনাকে এখানে দাঁড়াতে দিবে না। কিন্তু ঈদের পর মানুষের উপস্থিতি গাড়ি ভাড়া চলাচল কম থাকায় বেশ ভালো লাগছিল ঘোরাঘুরি করতে আর এই সমস্ত জিনিসগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে।

IMG_20240620_184522.jpg

IMG_20240620_184524.jpg

IMG_20240620_184539.jpg


ফটোগুলোর পান লক্ষ্য করলে বুঝতে পারছেন এখানে অনেকগুলো প্রাণী এবং পাখির মূর্তি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিস রয়েছে যেগুলো মানুষের ব্যবহারযোগ্য। তবে এই জিনিসগুলো তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন পার্কে মানুষ কিনে নিয়ে যায় এজন্য হয়তো। সঠিকভাবে আমার জানা নেই এগুলো বিক্রয়ের জন্য নাকি দেখানোর জন্য। অনেকেই বলাবলি করছিল এমনটাই। এখানে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি এগুলো তৈরি করে থাকে এবং বিক্রয় করে থাকে। বেশিরভাগ পার্কের মানুষেরা এগুলো কিনে নিয়ে যায়। যাই হোক সেটা জানা আমার বড় বিষয় নয়। তবে বেশ ভালো লাগছিল এমন সুন্দর কিছু দেখতে পেরে আর ঢাকা শহরে ঘোরাঘুরি করতে পেরে। বেশ অভিজ্ঞ সম্পন্ন মানুষেরাই এ সমস্ত জিনিস তৈরি করতে সক্ষম। কারণ নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে প্রাণির মূর্তি। আপনার আমার কাছে যদি এ সমস্ত জিনিস তৈরি করতে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো মোটেও সম্ভব হবে না এত সুন্দর ভাবে রূপ দেওয়ার। কারণ দক্ষতায় তার কর্মের পরিচয়। এ সমস্ত জিনিস দেখে যেন মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটা মুহূর্ত ছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাস্টের এই এরিয়াটা এমনিতেই দেখার মত। এদিকে যায় শুধু ভালোলাগার মত সুন্দর সুন্দর পরিবেশ লক্ষ্য করি। তবে তার মধ্যে যদি এমন কোন কিছু স্থাপনা থেকে থাকে তাহলে আরো ভালো লাগে। যাই হোক এরিয়া টা বেশ ঘোরাঘুরি করেছিলাম তবে দেখার মতো বিশেষ করে এগুলোই আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল। এছাড়াও যে সমস্ত ফটোগুলো রয়েছে তা আপনাদের মাঝে খুব শীঘ্র প্রকাশ করব।

IMG_20240620_184541.jpg

IMG_20240620_184612.jpg

IMG_20240620_184619.jpg


এই সমস্ত ভাস্কর্য বা মূর্তিগুলো অতীতের বাঙালির মানুষের ঐতিহ্য বহন করে তোলে। আগেকার মানুষেরা মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতো এভাবে। তবে এখন সে সমস্ত ঐতিহ্যগুলো বিলুপ্তির পথে। আগেকার মানুষের মত বেশি মানুষ আর এখন এসব সমস্ত জিনিসগুলো তৈরি করে না। তাই বর্তমান প্রজন্ম যখনই এই সমস্ত জিনিস গুলো দেখতে পাই তখনই সেখান থেকে ফটো সেলফি ধারণ করার চেষ্টা করে থাকে। খুবই ভালো লাগে এই সমস্ত জিনিস গুলো দেখে। সকল শ্রেণীর শিল্প চর্চা আমাদের দেশে অব্যাহত থাকুক এমনটাই কামনা করি। আর এরই মধ্য দিয়ে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি বিকশিত হোক সেটাই প্রত্যাশা রইল।

IMG_20240620_184551.jpg

IMG_20240620_184426.jpg


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

পোস্ট বিবরণ


ব্লগারsumon09
Photography deviceHuawei P30 Pro
LocationDhaka
ক্যামেরা40mp
দেশবাংলাদেশ


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আজ আপনি ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশমাইল ভ্রমণ করার দারুন কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। যদিও কখনও এই জায়গায় ঘুরতে যাওয়া হয়নি। আপনার অনুভূতি গুলোর সাথে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও তুলে ধরেছেন। যা দেখে আমরাও দারুন কিছু মুহূর্ত উপভোগ করতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আমিও পছন্দ করি

আমি জানি আপনি আপনার মায়ের অসুস্থতার জন্য ধীর্ঘদিন ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় ছিলেন। সেখানে আপনার অনেক গুলো ব্লগ আমরা পড়েছি। আজকে বিশমাইল ভ্রমন বিভিন্ন প্রাণীর মূর্তির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছন। আসলে এগুলো আমরা বিভিন্ন পার্কে সুন্দর্যের জন্য স্থাপন করতে দেখাতে পায়। ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাইয়া, ঐ মুহূর্তে ধারণ করা।

আপনার ভ্রমণটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ঢাকায় ঘুরে যে বেশ সুন্দর ও মূল্যবান একটি সময় কাটিয়েছেন তা বোঝা যাচ্ছে। ঢাকায় জাহাঙ্গিরনগর নামটা শুনে একটা ইতিহাসের কথা চোখের সামনে যেন ফুটে উঠলো। মুঘল আমলে ঢাকার এটাই নাম ছিল সম্রাট জাহাঙ্গিরের নামে। আর মূর্তিগুলো ভীষণ সুন্দর ও নিখুঁত। অসাধারণ হয়েছে পোস্ট।

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।