হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা ধানমন্ডি 32 হয়ে পান্থপথে যাওয়ার আরো একটি পর্ব নিয়ে। আশা করব এর পর্ব পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন।
Infinix Hot 11s
আমাদের বহনকারী বাস যখন ঢাকা মিরপুরে অবস্থান করল তখন আমি লক্ষ্য করে দেখলাম গাবতলীর কিছুটা সামনে এগিয়ে যে প্রচন্ড ট্রাফিক জামের সম্মুখীন হল। যেহেতু সময়টা ছিল ঈদের বেশ কিছু দিন আগ মুহূর্ত। ঠিক এই মুহূর্তে বিভিন্ন স্থান থেকে গরুর গাড়ি আসা-যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। অনেক চাকরিজীবী মানুষ স্টুডেন্ট শ্রেণীর মানুষ বাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য শহর ত্যাগ করছে। আবার অনেকের নির্দিষ্ট কাজগুলো গোছানোর জন্য পথে ঘাটে উপস্থিত হয়েছে আবার অনেক মানুষ রয়েছে মার্কেট করার জন্য বাসা বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছে বিভিন্ন শপিং এর উদ্দেশ্যে। তাই এই মুহূর্তে পথে ঘাটে মানুষের উপস্থিতি যেন প্রচন্ড আকার বৃদ্ধি পেতে থাকলো। আরেক দিকে লক্ষ্য করলাম প্রচন্ড রোদ গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। আর এই সমস্ত কারণেই যেন ট্রাফিক জ্যামটা আরো একটু বৃদ্ধি পেতে থাকলে ঢাকার দিকে। আমাদের বহনকারী গাড়ি যতটা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকতে ততটাই যেন ট্রাফিক জ্যামের সম্মুখীন হচ্ছে। তবে আমার পাশের সিটে বসা মানুষটা বারবার আমাকে হুঁশিয়ার করতে থাকলো, ভাইয়া আপনি কিন্তু ঢাকা শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন,আর এখানে কিন্তু সব সময় মোবাইল ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে আমি আমার সাবধানতার সাথেই ফটো ধারণ করার চেষ্টা করছিলাম বারবার।
Infinix Hot 11s
যাইহোক এভাবে আমাদের বহনকারী গাড়িটা গাবতলী মিরপুর অতিক্রম করে শ্যামলীর দিকে অগ্রসর হল। এই স্থানটার নাম আমি এর আগে অনেকবার শুনেছিলাম কিন্তু কোনদিন স্বচক্ষে দেখি নাই। একদিকে হালকা ট্রাফিক জ্যাম আর এদিকে লোকাল বাস বলে কথা, জায়গায় জায়গায় মানুষ তোলার জন্য থামছিল, তাই বেশ কিছু দেখার সুযোগ হয়েছিল জানলা দিয়ে। তাই আমি সুযোগ সাপেক্ষে চেষ্টা করছিলাম জানালার দিকে তাকিয়ে শহরের বেশ কিছু জিনিস দেখার। আর এরই পাশাপাশি চেষ্টা করছিলাম সুযোগের সুযোগে কিছু ফটো ধারণ করার। আর এভাবেই উপভোগ করতে থাকলাম এবং আম্মা ও খালার দিকে লক্ষ্য রাখলাম তা কি করছে না করছে। বাসের মধ্যে মা সুস্থ আছে কিনা।
Infinix Hot 11s
অনলাইনের মাধ্যমে বা ইউটিউব এর ভিডিও অন্যান্য ভিডিওর মাধ্যমে ঢাকা শহরের এই সমস্ত স্থানগুলো বেশ কয়েকবার দেখেছি। তবে স্বচক্ষে এই সমস্ত স্থানগুলো দেখার মধ্যে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছিলাম। কারণ ঢাকা শহর বলে কথা। জীবনে প্রথম ঢাকা শহরে এই সমস্ত স্থানগুলো দেখতে চলেছি। মাঝেমধ্যে শুনতাম ঢাকা শহরে কোন গাছ নেই। আবার ঢাকা শহরে গাছ নেই বলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই সরকার নিজ উদ্যোগে রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই সমস্ত কথাগুলো যখন শুনতাম তখন দেশ আর সহ্য হতাম। কারণ আমরা গ্রামীণ পরিবেশে জন্মগ্রহণ করেছি বেড়ে উঠেছি এবং গ্রামীন পরিবেশে আমাদের অবস্থান। এখানে যেদিকেই তাকায় না কেন সেখানে শুধু গাছ আর গাছ। তাই ঢাকা শহরের এমন কথাগুলো শুনলে বেশ অবাক হতাম। তাই মাঝেমধ্যে সে চিন্তা মাথায় রেখে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম আশেপাশে গাছ গাছালি আছে কেমন। তবে লক্ষ্য করে দেখেছি রাস্তার মাঝখান দিয়ে বেশ বিভিন্ন রকমের গাছ লাগানো হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ বেশ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠেছে এবং সবুজ পাতায় পরিপূর্ণ। আবার কিছু কিছু জায়গায় গাছগুলো যেন দেখার মত নয়। হয়তো পানির অভাবে অথবা পরিচর্যার অভাবে রুগ্ন জীর্ণশীর্ণ।
Infinix Hot 11s
এভাবে একটি মুহূর্তে আমাদের বহনকারী বাস জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল,হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হসপিটালের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল। বেশ অনেকবার এই হসপিটালের নাম শুনেছি। ভিডিওতে হসপিটাল টা দেখেছি। তবে প্রথমবার বাসের মধ্য থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল ওই সময়। লক্ষ্য করে দেখলাম বেশ অনেক বড় একটি এরিয়া জুড়ে অনেক সুন্দর ভাবে বিল্ডিং গুলো তৈরি। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের প্রথম গেটে লক্ষ্য করে দেখলাম প্রচুর মানুষের ভিড়। আসলে দেশে অসংখ্য অসুস্থ রোগী রয়েছে এবং তারা সেবা পাওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন হসপিটালে উপস্থিত হয়। ঠিক তেমনি এই হসপিটালের সকলে উপস্থিত হয়েছিল সেবা পাওয়ার জন্য। তবে আরো লক্ষ্য করে দেখলাম হসপিটালের এরিয়া গুলো খুব সুন্দর ভাবে পরিপাটি করে রাখা রয়েছে। বাসের মধ্য থেকে পাঁচিলের ওপাশে যা দেখতে পারছিলাম সেগুলোই সুন্দর করে দেখার চেষ্টা করলাম এবং কিছু ফটো ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম। আর এভাবেই আমাদের বাস সুযোগের সুযোগে একটু দ্রুত আবার ট্রাফিক জামের কারণে ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকায় লোকের কাছে গিয়েছিলেন । আর এই যাত্রার পঞ্চম পর্ব নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। এর আগের চারটি পর্বাই আমি দেখেছি আজকের পর্বটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। হাসপাতালের ভেতরটা অনেক সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখলাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখার জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কোন জায়গায় যাওয়ার পূর্বে অনলাইনে সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ হওয়া অনেক ভালো একটা গুণ। আপনি ঢাকায় আসার আগেও ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখেছিলেন এটা সম্পর্কে জেনে অনেক ভালো লাগলো। যাইহোক অবশেষে আপনার আম্মুর চিকিৎসা করতে পেরেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ তাইতো আমি গুগল ম্যাপে দেখি
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার এই পর্ব দেখে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন ঢাকায় যাওয়ার মুহূর্তের বিষয়গুলো। তবে এভাবে ফটো ধারণ করাটা অনেক রিকসের ব্যাপার। কারণ ঢাকা শহরে খুব ছিনতাই হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit