আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঝিনাইদহের ড্রিম ভ্যালি পার্কের বিশেষ স্থানকে কেন্দ্র করে উপস্থাপন করার জন্য। যেখানে আমরা ক্যাডেট কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কিছুটা সময়ের জন্য প্রবেশ করেছিলাম এবং পার্কের সর্বস্থান ঘুরে একদম লাস্টের দিকে লক্ষ্য করেছিলাম সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান। আর সেই স্থানটা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব ফটো আর ভিডিও সহকারে। যা আপনারা দেখে অত্যন্ত খুশি হবেন। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এখনই প্রধান পর্যায়ে যাওয়া যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ঝিনাইদহের ডিম ভ্যালি পার্ক সম্পর্কে ধারণা নেই এমন সংখ্যক মানুষ এই এলাকায় কমই রয়েছে। যেহেতু মেহেরপুর কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা এই পার্কের অতি নিকটস্থ স্থান তাই এখান থেকে প্রায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ঝিনাইদহের ড্রিম ভ্যালি পার্কে শিক্ষা সফর সহ এমনিতেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে যায়। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাডেটে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করে এ পার্কে অবস্থান করেছিলাম এক ঘন্টার জন্য। তাই টাইম শর্ট থাকায় ইচ্ছে মতো ঘুরতে পারি নাই এবং ভালোলাগা স্থানগুলোতে পৌঁছাতে পারি নাই। এ পার্কের মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগার স্থান হচ্ছে ফটোগ্রাফি স্থানটা। অর্থাৎ এই সুন্দর চারি সাইড পানি বেষ্টিত মধ্যবর্তী সুন্দর একটি দ্বীপ। যেখানে পৌঁছাতে হলে অবশ্যই একটি ব্রিজ পার হতে হয় এবং ব্রিজে প্রবেশ করার পূর্বেই নতুন করে টিকিট কেটে অবস্থান করতে হয়। টাইম শর্ট থাকার কারণে আমরা সেখানে প্রবেশ করতে পারি নাই এবং খুব দ্রুত চলার চেষ্টা করেছি কিছু ফটো আর ভিডিও করে দ্রুত পার্ক থেকে বের হতে হয়েছে তাই একটু আফসোস রয়ে গেছে মনের মধ্যে। ফটোগ্রাফির মুহূর্তে আমরা খুব আফসোস করছিলাম সেখানে না যেতে পেরে তবে যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছিলাম ফটোগ্রাফি আর ভিডিও করতে ঠিক তারই মুহূর্তে কয়েক মিনিটের জন্য অপেক্ষা করছিলাম বোর্ড রানিং অবস্থা দেখার জন্য। আমরা অনেকের ভিডিওতে এই স্থান লক্ষ্য করে দেখেছি মাঝখানের এই দ্বীপ স্থানটা কিন্তু বেশ সুন্দরভাবে সাজানো যেখানে একটি মেয়ে আকৃতির দৃশ্য হাত পেতে রয়েছে আর সে হাত থেকে যেন পানি ঝরে। এমন অপরূপ কৃত্রিম দৃশ্য যেন মন কেড়ে নিয়েছিল সবার। আমাদের মাইক্রো ড্রাইভার বেশি সময় দিতে চেয়েছিল না তাই আমরা আধাঘন্টা জায়গায় এক ঘন্টা লেট করে ফেলেছি নিজের বিবেক থেকে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। তাই আর সেখানে প্রবেশ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারলাম না, তবে দূর থেকে যতটা পারলাম চেষ্টা করলাম দেখার জন্য।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমার সাথে জান্নাতুল ম্যাডাম এবং আমার ছাত্র নয়ন থাকায় তারা বলেছিল যেহেতু সময় নাই তাই আমারও চেষ্টা করি কিছুটা ফটোগ্রাফি করে রাখা যা স্মৃতি হয়ে থাকবে এই দিনটা। যেহেতু আমরা কাঙ্খিত দ্বীপে যেতে পারলাম না তবে দ্বীপে যাওয়ার পূর্বের ব্রীজটাকে পিছনে রেখে ম্যাডাম এবং নয়ন চেষ্টা করল ফটোগ্রাফি তোলার জন্য। যদিও এটা ছিল আমাদের জন্য খুবই আনন্দঘন একটি মুহূর্ত, তবে আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করতো যদি আমরা ব্রীজ পার হয়ে কাঙ্খিত দিপে যেতে পারতাম। আমি লক্ষ্য করেছিলাম জান্নাতুল ম্যাডামের সুন্দর ভঙ্গিমার ফটোগ্রাফি ওটার মুহূর্তটা। অনেক খুশি আনন্দসহকারে আমার মোবাইল ফটো উঠাতে চেষ্টা করছিলেন কারণ আমার মোবাইলে অনেক সুন্দর ছবি হয়ে থাকে। তাই উনি উনার মোবাইলটা রেখে বারবার বলছিলেন ভাই আমার ভালো ভালো ফটো উঠিয়ে দিন। এতে উনি অনেক সময় ব্যয় করেছিলেন ফটো উঠানো নিয়ে। আসলে মানুষের ভালো লাগার তো শেষ নেই। উনার মোবাইলে যেমন সুন্দর ফটোগ্রাফি হয় তার চেয়ে বেশি হয় আমার মোবাইলে, তাই উনি চেয়েছিলেন আমার মোবাইল থেকে ফটো উঠার জন্য। আর উনি জানেন আমরা স্টিমেটে কাজ করি, তাই বলেছিল তার মোবাইলে হয়তো বেশিদিন না থাকতে পারে ফটোগুলো। যেন আমি কিছুটা হলেও আমার এই আইডিতে রেখে দেই। যেন দীর্ঘদিন পরেও খুঁজে পাওয়া যায় ফটোগুলো। যাই হোক খুবই আনন্দঘন মুহূর্তে আমার ফটো উঠানোর চেষ্টা করেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এই পর্যায়ে ব্রীজকে পেছনে রেখে জান্নাতুল আপু আমার ফটোগ্রাফি করে দিয়েছিল। আমি লক্ষ্য করেছিলাম উনি আমার যখন ফটো উঠাচ্ছেন সেই মুহূর্তে খালি হাসছেন। আমি ভাবছিলাম হয়তো আমার দাঁড়ানোর ভঙ্গিটা ভালো হচ্ছে না তাই বলে হাসছেন কিন্তু ফটো উঠানোর পরে উনি বলছিলেন ভাই আপনার পিছনে একটা ছেলে একটা ফুলের ফটো উঠাতে যে নিজেই উল্টে পড়ে যাওয়ার মত হচ্ছিল। আপনারা ফটোতে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার পিছনে একটা ছেলে বসে বসে ছবি উঠাচ্ছে ফুলের। হয়তো যখন ফটো ওঠাতে যেয়ে ছেলেটি পড়ে যাওয়ার মুহূর্ত হয়ে গিয়েছিল তখন ছেলেটার চোখ জান্নাতুল আবার চোখে চোখ পড়েছিল তাই আপু এত হাসছিল। মনে হচ্ছে ঘটনা সেদিন তবুও যেন ২-৩ মাস হয়ে যাচ্ছে সেইদিন স্মৃতি। আর এই মুহূর্তটা হয়তো বারে বার স্মরণ করতে পারব যখনই চোখ রাখব এই পোস্টে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
যাইহোক এরপরে আমি আবারো আমার মত করে সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে থাকলাম এবং ফটোগ্রাফি করতে হলাম। খুবই ভালো লাগছিল এই মুহূর্তটা চারিদিকে ফটোগ্রাফি করতে এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মানুষের বিভিন্ন আনন্দঘন মুহূর্তে অংশগ্রহণ করা দেখতে। আর এভাবেই যেন আমরা সবাই ড্রিম ভ্যালি পার্কের দুপুর গড়ানোর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে চললাম। মোবাইলের ক্যামেরা যেদিকে ধরছি ঠিক সেদিকেই জানো দেখতে সুন্দর লাগছিল। আর আমরা জানি নতুন কোন স্থান দেখতে প্রথম প্রথম বেশ বেশি ভালো লাগে। ঠিক তেমনটাই হচ্ছিল আমার কাছে। যত সামনের দিকে এগোতে থাকলাম ঠিক ততই যেন নতুন কিছু দেখতে পারলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
কিছুটা পথ অতিক্রম করতে দেখলাম কিছু মানুষ একটি বোটে চড়ে আনন্দ করছে এবং এটি খুব দ্রুত চলছে। যেহেতু এই মুহূর্তটা আমি ভিডিও করে বেড়াচ্ছিলাম ঠিক তখনই আমি এবং সুন্দর দৃশ্য আমার মোবাইলের ভিডিও বন্ধি করার চেষ্টা করলাম। হয়তো ভিডিওটা ক্লিক করলে আপনারা খুব সহজেই তা দেখতে পারবেন এবং খুবই ভালো লাগবে এত সুন্দর একটা দৃশ্য। পুকুরে পানি গুলো যেন চারিদিকে নদীর জোয়ারের পানির মতো থৈ থৈ শুরু করে দিল। ঠিক এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে আমাদের সকলের খুব ভালো লাগছিল আমাদেরও খুব ইচ্ছে ছিল ভোটে চড়ার জন্য কিন্তু সময় নেই যার জন্য আমরা এমন ভালো লাগার দুইটা বিষয় হাতছাড়া করেছিলাম। আশা করি আপনারা ভিডিওটা ক্লিক করবেন এবং বিস্তারিত আনন্দঘন মুহূর্তটা দেখতে পারবেন। মূলত এই ভিডিওটা আমি আপনাদের উদ্দেশ্যেই করছিলাম। যাইহোক এভাবেই যেন একজন আনন্দ দিচ্ছিল আর অন্যজনেরা আনন্দ গ্রহণ করছিল মনে হচ্ছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরপর কিছুটা পথ সামনে আগাতে দেখলাম ছোট্ট একটা ব্রীজ। তার পাশেই ছিল ছোট একটি ঝর্ণা এবং তোর একটা মানুষ আকৃতির দৃশ্য। যা দেখতে বেশ ভালোই লাগছিল আমাদের সকলের। আমরা যেন এই সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে গিয়ে সময় ভুলে যাচ্ছিলাম। যেহেতু পূর্বেই বলেছি আমার আধা ঘন্টার জন্য প্রবেশ করে এক ঘন্টা পার করে ফেলেছিলাম এখানে সেই ওভার টাইম টা ছিল এই মুহূর্ত। আপনারাই বলুন ভালো লাগার জায়গা ছেড়ে কি কখনো কাউকে অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে মন চায়? ঠিক তেমনটা আমাদের কাছে হয়েছিল আগে জানা ছিল না এত সুন্দর একটি পার্ক এবং কৃত্রিমভাবে এত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে এর মধ্যে। তবে যাই হোক যতটুকু সময় আমরা তার মধ্যে অবস্থান করে দেখতে পেরেছি এটা আমাদের জন্য বড় কিছু। আর এভাবেই এরপরে আরো কিছু ফটোগ্রাফি ও ভিডিও করে চলছিলাম আমরা যে পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কের চারপাশটা সত্যিই অনেক সুন্দর। আর ভিডিওগ্রাফি দেখে আরো ভালো লাগল। এত সুন্দর ভাবে আপনি ভিডিওগ্রাফি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে যেন আমিও সেখানে ক্ষণিকের জন্য চলে গিয়েছিলাম। সত্যি ভাইয়া জায়গাটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই যাবো। আপনার ভ্রমণের ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখে যাবেন সুন্দর স্থান।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঝিনাইদহ ড্রিম ভ্যালি পার্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান বাহ্ সত্যি তাই। সবাইকে নিয়ে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার এসেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কখনো যদি সুযোগ পান অবশ্যই দেখে যাবেন এই স্থান।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভিডিও এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে ড্রিম ভ্যালি পার্ক অনেক সুন্দর একটি জায়গা। আসলে কখনো যাওয়া যায় কিনা জানিনা আমরা কক্সবাজারে আছি সেজন্য এত দূরে যাওয়া আমাদের জন্য সম্ভব না। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে দেখতে আর ভিডিওটা অসাধারণ ছিল অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য পড়ে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit