আজ - মঙ্গলবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি পাঙ্গাস মাছ চাষ নিয়ে কিছু কথা বলার জন্য। যেখানে আপনারা দেখতে পাবেন পাঙ্গাস মাছ বেচাকেনা দৃশ্য এবং ছোট্ট পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার খাবার খাওয়ানোর দৃশ্য। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনি মূল বিষয়ে যাওয়া যায়।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ হওয়া সত্তর আমাদের এখানকার মানুষের প্রিয় মাছ পাঙ্গাস। যেহেতু আমাদের এখানে অনেক পাঙ্গাস মাছ চাষ করা হয়ে থাকে তাই সর্ব শ্রেণীর মানুষ অন্যান্য মাছের তুলনায় পাঙ্গাস মাছকে বেশি পছন্দ করে থাকে। এমন এমন পরিবার রয়েছে যেখানে পাঙ্গাস মাছ প্রস্তুত অন্যান্য মাছ খুব কম খাওয়া চলে কাটা বাছার ভয়ে। তাহলে বুঝতে পারছেন পাঙ্গাস মাছ আমাদের কতটা প্রিয় খাবার দিক থেকে সহজ যেহেতু এই মাছের বাড়তি কোন কাটা নেই। যাইহোক একদিন স্কুল থেকে ফিরতে দেখি হঠাৎ বাড়িতে অনেক জেলে ভাই এসে গেছে মাছ ধরার জন্য, এটা বাড়ির পুকুর ছিল। আমাদের বাড়ি পাশে দুইটা পুকুর রয়েছে ছোট ছোট যেখানে পাঙ্গাস মাছ চাষ করে থাকি। এটা ছিল রাস্তার পাশের পুকুরটা যেখানে অল্প সংখ্যক পাঙ্গাস মাছ দেয়া ছিল। আমিও মাছ ধরা দেখার জন্য রেডি হয়ে পড়লাম এবং চেষ্টা করলাম কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখে যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব খুব সহজে। হয়তো অনেকে সরাসরি পুকুর থেকে পাঙ্গাস মাছ ধরার দৃশ্য খুব কম দেখেছে। তাই বন্ধুদের মাঝে সেই দৃশ্য শেয়ার করার জন্য মূলত আমি রেডি হলাম। জেলে ভাইয়েরা সারা পুকুরে জাল টেনে একত্র স্থানে জোগাড় করল। এবং যে যার মত মাছ ধরা শুরু করে দিল। আপনার লক্ষ্য করলে বুঝতে পারছেন যে অনেক জন মানুষ এসেছিল মাছ ধরতে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমি সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করার জন্য এদিক থেকে ওদিক নড়েচড়ে দাঁড়াতে থাকলাম। হঠাৎ একদিন নারিকেল গাছের গোড়ায় লক্ষ্য করলাম কি যেন একটি ফুল গাছের ফুল ফুটে রয়েছে। একটু ঝামেলা হওয়া সত্ত্বেও আমি সেখানে চলে গেলাম। যেন ফুলের সাথে জোরে ভাইদের মাছ ধরার দৃশ্য একসাথে করতে পারে। ফুলগুলো সাদা সাদা দেখতে বেশ দারুন। আমি ক্যামেরায় ফুল সহ জেলে ভাইদের মাছ ধরার দৃশ্য কভার করার চেষ্টা করলাম। আপনারা লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে একদিকে ফুলকে বেশি ক্লিয়ার করে জেলে ভাইদের দৃশ্য ঝাপসা করার চেষ্টা করলাম আবার অন্য ফটোগ্রাফিতে ফুল ঝাপসা করে জেলে ভাইদের ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলাম। আর এভাবে কিছুটা ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম যতক্ষণ না জেলে ভাইয়েরা তাদের মাছ ধরা সম্পূর্ণ করল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
জেলে ভাইদের মাছ ধরা সম্পূর্ণ হলে ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে মাছগুলো মেপে দেওয়া হল। একমন মাছ হলে ৫ কেজি ডলন দিতে হয়। অর্থাৎ এক মন মাছের সাথে পাঁচ কেজি ফিরিয়ে দিতে হয়। তবে মাছ ধরার সময় জেলেদের প্রতি নজর না দিলেও মাছ মাপার সময় অবশ্যই বেশি মনোযোগ রাখতে হয় স্কেলের প্রতি। কারণ জেলে ভাইদের মধ্যে কয়েকজন অসাধু ব্যক্তির থেকে থাকে যারা স্কেলের নিচে পা রেখে মাছের ওজন কমিয়ে দেয়। অনেক সংখ্যক মানুষ রয়েছে এভাবে মাছ মালিক কে ঠকিয়ে মাছ নিয়ে চলে যায়। তবে এই মুহূর্তে আমি নজর রাখছিলাম এমন কোন অসাধু ব্যক্তিদের মধ্যে আছে কিনা। তবে লক্ষ্য করলাম এরা বেশ ভালো মানুষ, এমন কোন খারাপ চিন্তাধারা তাদের মধ্যে খুঁজে পাইনি।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
বড় পাঙ্গাস মাছ যখন ধরে বিক্রয় করে দেয়া হয় ঠিক সেই মুহূর্তে অন্য কোন পুকুরে ছোট পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা মজুদ করা হয়। এই ছোট্ট পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা গুলো শুধু যশোর থেকে ছোট ট্রাকে করে কিনে আনা হয়। আপনারা অনেকেই জানেন যশোরের চাচরা বাজার পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার জন্য বিখ্যাত। মূলত সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা প্রথম পরিচয় খুব ভালোভাবে খাবার খায়। কিন্তু তাদেরকে টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন। একদিকে বক পান করে মাছ রাঙ্গার অত্যাচারে সারা পুকুরের সুতা টাঙিয়ে রাখতে হয়। অন্যদিকে সাপে ধরে খায়। বিভিন্ন সময় ভাইরাস লেগে মারা যায়। বিশেষ করে শীতের সময় এটা বেশি হয়ে থাকে। আবার লক্ষ্য করা যায় অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ও মারা যায়। তাই খুবই সতর্কতার সাথে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা বড় করতে হয়। এই যে আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে ব্লগ লিখছি, এখন রাত দেড়টা। এই পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার পুকুরে মটোর দিয়ে সন্ধ্যা রাত থেকে পানি চলছে। এখন আমি মাঠের মাঝখানে চলে যাব মোটরের লাইন চেঞ্জ করার জন্য অর্থাৎ এতক্ষণ ছোট বাচ্চার পুকুরে পানি লোড হয়ে গেছে, তাই পাইপলাইনটা বড় পাঙ্গাসের পুকুরে ঘুরিয়ে দিতে যেতে হবে। আশা করি বুঝতে পারছেন কতটা দায়িত্বশীলতার মধ্য দিয়ে মাছ চাষ করতে হয়।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনি ঠিক বলেছেন পাঙ্গাস মাছ ধরার দৃশ্য এভাবে কখনো আমি কাছ থেকে দেখিনি।অনেক গুলো জেলে পুকুর থেকে মাছ ধরছে। সত্যি বলেছেন ভাই মাছ ধরার সময় খেয়াল না করলে মাপার সময় খেয়াল করা উচিত। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী থেকে থাকে তার জন্য। যাইহোক এরা ভালো ছিল জেনে ভালো লাগল। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা গুলোকে সতর্কতার সাথে টিকিয়ে রাখতে হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ঠান্ডার মধ্যে মাছ ধরার দৃশ্য দেখেই ঠান্ডায় গায়ে কাটা দিচ্ছে।অনেক নতুন জিনিস জানলাম এবং শিখলাম আপনার পোস্ট থেকে।মাঝিরা যে স্কেলের নিচে পা রেখে মালিক কে ঠকাতে পারে তা ধারনা তেই ছিল না।ফটোগ্রাফ গুলোও সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখনো রাত বারোটার পরে জেলেরা পাঙ্গাস মাছ ধরে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই শীতে মাছ ধরা একটু কষ্ট বটে।পাঙ্গাস মাছ ধরা কখনও দেখা হয়নি।এতজন জেলে একসাথে হয়ে সুন্দর মাছ ধরছে।ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করব ভিডিও সহকারে দেখানোর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit