হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। এ পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারবেন আমার ঘাড়ের আচলি চিকিৎসার বর্তমান অবস্থা।
ইতোমধ্যে আমি আপনাদের মাঝে একাধিক পোস্ট শেয়ার করেছি বেশ কিছুদিন ধরে। আমি গাংনী-মেহেরপুরের হেমায়েতপুর বাজারে আলিম ডাক্তারের কাছে ঘাড়ের আচলির জন্য চিকিৎসা হচ্ছিলাম। প্রায় দুই মাস ধরে তার কাছ থেকে ঔষধ খাওয়া চলছে আমার। তবে আজ পর্যন্ত তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। কাদের দুই পাশে ছোট ছোট আচলি প্রায় মানুষের দেখা যায় ঠিক তেমনটা আমার হয়েছে। আমি যেই কয়বার গিয়েছি প্রথমবার শুধু একটু ভিন্ন টাইপের ঔষধ দিয়েছিল তারপর থেকে একই পর্যায়ের ঔষধ দিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলো এলাপতি ওষুধের থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। আর এতে কোন প্রকার সমস্যা ফেস করতে হয় না। শুনেছিলাম উনি নাকি এর সমস্যাগুলোর সমাধান করে দিতে পারে তাই তার শরণাপন্ন হয়েছিলাম।
যাহোক পূর্ব দিনগুলোর মত ডাক্তারের কাছে এসে উপস্থিত হলাম। ডাক্তার আমার হাত থেকে পূর্বের দেওয়া স্লিপ টা নিতে চাইল। নির্ধারিত ভাবে বলে দিয়েছিল এই স্লিপটা সবসময় কাছে রাখতে হবে এটা দেখে ঔষধ দেয়া হবে। যাই হোক আমি তার হাতে স্লিপটা তুলে দিলাম এরপর তারা তাদের খাতার মধ্যে থেকে আমার এই লিস্ট বের করল এবং কি জানি লিখল। এরপর আমি বললাম আমার এই আচলির কোন পরিবর্তন এখনো আসেনি। উনি বললেন সবকিছু তো একবারও সমাধান হয় না ধীরে ধীরে সুস্থ হয়। আর হোমিওপ্যাথি মানে ধীরে ধীরে সুস্থ করা এগুলা এলাপাতির মত সাথে সাথে কাজ করে না। এরপর উনি আমার ঘাড়ের বর্তমান অবস্থা দেখতে চাইলেন। আমি তাকে জামা খুলে দুই কাঁধের অবস্থা দেখিয়ে দিলাম।
একটা বিষয়ে আমি অবাক হলাম। হয়তো এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে শেয়ার না করলেই পারতাম। তারপরও শেয়ার করা প্রয়োজন মনে করছি। আমি প্রথমত যখন ঔষধ নিতে আসতাম একদম ফার্স্টে আমার পরিবারের সাথে নিয়ে গিয়েছিলাম। অবশ্য সেই মুহূর্তে বলেছিল টাকা দেওয়া লাগবে না, তোমার শ্বশুর দিয়ে দিবে যেহেতু পাশে রয়েছে আমার শ্বশুরের দোকান। আমি বারবার টাকা বের করেছিলাম। উনি আমার শ্বশুরের আত্মীয় আমাদের ভাই হয়। এরপর বেশ কিছুদিন সে টাকা না নেওয়াই পরবর্তীতে টাকার বেশি স্মরণ করেছিলেন আমি দিতে গিয়েছিলাম আমার কাছে ১০০ টাকা গ্রহণ করেছিলেন। তবে ওই মুহূর্তে কিন্তু উনি আমাকে চিনতে পারছিলেন না। পরবর্তীতে ওষুধ নিয়েছিলাম তাতে ১০০ টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে আমার পরিবার যখন আমার সাথে যায় তখন দেখি যে ৩০ টাকা থেকে 50 টাকার মধ্যে নিয়ে থাকে। তাহলে ডাক্তারদের এই কাজটা মোটেও আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হলো না। আমার শশুর যেদিন আমার সাথে গিয়েছিল জানতে এবং ভালোভাবে পরিচয় করতে কেন আজ পর্যন্ত আমার এই আচলি দূর হচ্ছে না এটা জানার জন্য, সেদিনও ৩০ টাকা নিয়েছিল। আমার পরিবার যেদিন আমার সাথে গিয়ে টাকা দিয়েছিল সেদিন ৩০ টাকা নিয়েছিল। তবে একই ঔষধ অচেনা অপরিচিত হলে ৮০ টাকা ১০০ টাকা করে নেওয়া এটাতো ভালো ডাক্তারের কাজ নয়।
পরবর্তীতে আমি বেশ কিছু তথ্য নিয়েছি, আমাদের এখান থেকে অনেকে যায়। বিশেষ করে আমার বন্ধু বন্ধুর ওয়াইফ ঠিক এভাবেই কিন্তু টাকা নিয়ে থাকে। এখন বুঝলাম না এটা কি আমার শ্বশুরের আত্মীয় বলে আমাকে ছাড় দিচ্ছে। নাকি সুযোগ পেলে মানুষের কাছ থেকে এমন ভাবে বেশি টাকা নেয়। আর একটা বিষয় আমাকে যদি ছাড় দিয়েই থাকে তার মধ্যেও তো তার লাভ রয়েছে তাই না। তাহলে যাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নেয় তাহলে কত লাভ করে? পথ চলতে গেলে মাঝে মাঝে মনে হয় সব জায়গায় দুর্নীতি এতটাই দুর্নীতি যা সীমার বাইরে। যাই হোক আমি আর এত বেশি মাথা ঘামাচ্ছি না। টেনশন শুধু এটাই ঔষধে দামে যদি দুর্নীতি থাকে, না জানি রোগ সারাতে কতটা দুর্নীতি করবে কতদিন ঘোরাবে। এদিকে প্রথম ডোজের চেয়েও পরবর্তী ডোজ গুলো পাওয়ারফুল হয়ে থাকে তার দাম তো বেশি হওয়ার কথা! যেটা বাস্তব সেটাই তুলে ধরলাম। এরপর আর কি আমার ঔষধ আমাকে বুঝিয়ে দিল। বলে দিয়েছে ১৫দিন পর আসতে, অবশ্য ১৫দিন পরের ওষুধটাও নেয়া হয়ে গেছে। এরপর বলে দিয়েছে এক মাস পরে যেতে এখন আপাতত তার ঔষধ আমার রানিং রয়েছে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |