আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি যশোর থেকে সাতক্ষীরার মাইক্রো জার্নি নিয়ে। জীবনে প্রথম একটা অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি তাই ফটোগ্রাফির সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। এত দীর্ঘ পথের বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি তাই একই পোস্টের মধ্যে উপস্থাপন করতে চাই ভিডিওসহ। আশা করি পুরা পোস্ট জুড়ে আপনারা থাকবেন এবং বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
সময়টা ছিল ২০২২ এর নভেম্বরের মাঝামাঝি। উদ্দেশ্য ছিল সাতক্ষীরায় চারুকলা বিভাগে পরীক্ষা দিতে যাওয়া। প্রথম যাত্রাটা ছিল মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত বাস জার্নি। দ্বিতীয় যাত্রাটা ছিল চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেন জার্নি। এরপরে যশোর রেল স্টেশনে যখন আমরা ২২ জন নেমে পড়লাম তখন সাতক্ষীরার জন্য একটি মাইক্রো ভাড়া করার উদ্দেশ্যে এদিক-ওদিকের খোঁজ করা শুরু করে দিলাম। যেহেতু আমরা ২২ জন মানুষ ছিলাম তার মধ্যে সাত আট জন নারী শিক্ষার্থী ছিল। তাই তাদেরকে নিয়ে যারা আন এক্সপার্ট রয়েছেন তাদের বলা হলো নির্দিষ্ট একটি জায়গা দেখিয়ে দেয়া হলো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে। আর আমরা কয়জন চলে গেলাম মাইক্রোর ভাড়া করার জন্য। যেহেতু একটি মাইক্রোইড আমাদের যাওয়া সম্ভব নয় তাই দুইটি লাগবে আর তার কত ভাড়া খরচ হবে এবং মাইক্রো গুলো দেখতে ভালো হবে কিনা সবকিছু বিষয়ে মনোযোগ রাখার জন্য আমরা কয়জন চলে গেলাম কিছুটা পথ এগিয়ে এগিয়ে লক্ষ্য করলাম যশোর 'হোটেল সাহানাজ' এর পার্শ্ববর্তী স্থানে অনেক মাইক্রো। সেখান থেকে আমারা দুইটা গাড়ি রিজার্ভ করে নিলাম। গাড়ি চালকদের বেশ ভালো মনে হয়েছিল তাই তাদের পরিচয় কার্ডটি সামনে রেখে দিলাম। যেহেতু আমাদের বড় ভাই বস রাজু সবকিছু ম্যানেজ করে নিল এবং আমাদের সকলকে একত্রে করে নিয়ে দুইটা গাড়িতে ওঠার জন্য নির্দেশ করল। তবে এই মুহূর্তে আমার একটু মন খারাপ হচ্ছিল। যেহেতু আমরা তিন বন্ধু আর এক বান্ধবী পরীক্ষার্থী ছিলাম চারুকলা বিভাগে। তাই বলেছিলাম এক গাড়ির মধ্যে আমরা চারজন থাকি। কিন্তু সেটা আর হলো না আমার দুই বন্ধু মিলন আর জুলহাস থাকলো অন্য গাড়িতে এবং আমি আর আমার বান্ধবী রোজিনা থাকলাম আরেক গাড়িতে। আমরা সবাই একটি তেল পাম্প থেকে ফ্রেশ হয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। জীবনের যশোরে অনেকবার গেছি কিন্তু যশোর থেকে সাতক্ষীরায় কখনো এভাবে যাওয়া হয়নি। এই প্রথম যশোর থেকে সাতক্ষীরায় উদ্দেশ্যে ভ্রমন। তাই এলাকাগুলোর বিশেষ বিশেষ অংশ চিহ্নিত করার জন্য এবং পোস্ট করে রাখার জন্য আমিও মাইক্রোর পেছনে বসলাম যেন সেখান থেকে ফটো ওঠাতে পারি। কারণ সামনের অংশে তো আমি সিট পাব না সেটা জানছিলাম মাঝখানে বসবো না ফটো তোলার জন্য লাস্টে গেলাম সেটাই নিজের কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছিল। তাই গাড়ির পেছন থেকে সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
কয়েক কিলো পথ অতিক্রম করতে আমাদের গাড়ি পুলিশে ধরল। শুনেছিলাম কোন মন্ত্রী নাকি যশোরে আসছে তাই মাইক্রো গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল সেই মুহূর্তে। আবার কেউ কেউ বলতে থাকলে এই গাড়িতে নাকি সঠিক কাগজ নেই। কিছুই বুঝতে পারলাম না কি আছে কপালে। প্রায় আধা ঘন্টা আমাদের দাঁড় করে রেখেছিল। তৎক্ষণাৎ উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার ফলে আমি চলে গেলাম একটি দোকানে কিছুটা খাওয়ার জন্য এবং আবারো ফ্রেশ হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর দেখছি ড্রাইভার আর রাজু ভাই ফিরে আসছে। তারা বললো সব ঠিকঠাক হয়ে গেছে চলো আবার যাত্রা শুভ হোক।
এরপর আমাদের গাড়ি ধীরে শুসতে চলতে থাকলো যেহেতু আমরা গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়েছিলাম। তাদের বলেছিলাম আমরা এই লাইনে অনেকে নতুন চলছি তাই সবাই সবকিছু একটু উপভোগ করতে চাই। তাই গাড়ির দ্রুত টানা যাবে না ধীরে ধীরে যেতে হবে যেহেতু সামনে আমাদের পুরো দিনটাই পড়ে রয়েছে আমরা চারিদিকে দেখতে দেখতে যাব। আর সে মোতাবেক গাড়িওয়ালারা ধীরে ধীরে গাড়ি টানতে থাকলো। আমরা চারিদিকে লক্ষ্য করতে করতে গেলাম তবে এই অঞ্চলের ঘনবসতি লোক সংখ্যা খুবই কম। রাস্তার পাশ দিয়ে তেমন কোনো বেশি ঘরবাড়ি বাশতির লোক নাই বললেই চলে। অনেক দূরে দূরে ছোটখাটো ঘনবসতি লক্ষ্য করলাম আর বেশিরভাগ খেয়াল করেছি অনেক জায়গা পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এই স্থান বা এলাকা দেখে মনে হল যেন এই জায়গাগুলো বর্ষার সময় বেশিরভাগই ডুবে থাকে। যার জন্য ঘনবসতি সংখ্যা খুবই কম। আমরা দেখতে দেখতে চলতে থাকলাম বা চলতে চলতে দেখতে থাকলাম। নিজের এলাকার সাথে অনেক পার্থক্য খুঁজে পেলাম এই এলাকায়।
কিছুটা পথ অতিক্রম করে একটি হাতি আমাদের গাড়ির সামনে উপস্থিত হলো। আপনারা জানেন গাড়ির সামনে হাতি বাদলে কিছু দিতে হয়। আমি পিছন থেকে লক্ষ্য করলাম রাজু ভাই কিছু টাকা বের করে দিল। এরপর আবারো গাড়ি চলতে থাকলো তার ধীর গতিতে। যত গাড়ি চলতে থাকলো ততই জেনো দক্ষিণবঙ্গের দিকে বা পূর্ব দক্ষিণের কোণে এগিয়ে যেতে থাকলাম আমাদের মেহেরপুর থেকে। যেহেতু আমি সবসময় গুগোল ম্যাপ লক্ষ্য রাখছিলাম। আর এভাবেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে গেলাম সাতক্ষীরা সদরের দিকে।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|