ভ্রমণ: সাতক্ষীরা চারুকলা সেন্টার থেকে হোটেল হাসানের রুম বুকিং

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ - বুধবার

২৮ ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম

IMG_20221115_141725950_BURST0001_COVER.jpg




আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম



হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি সাতক্ষীরার একটি হোটেলে ওঠার আগ মুহূর্তের নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চলেছি। যে অভিজ্ঞতাটা আপনার আমার অনেকেরই প্রয়োজন।


ফটোগ্রাফি সমূহ:


প্রথম পর্যায়ের ফটোগ্রাফি

সাতক্ষীরা চারুকলা সেন্টারে পৌঁছানোর পর বেশ অনেকক্ষণ ওয়েট করা লেগেছিল বিভিন্ন বিষয়ে ফরম পূরণ করার জন্য। যেহেতু আমরা ২২ জন সেখানে গিয়েছিলাম আমাদের বস হিসাবে রাজু ভাই ছিলেন। উনি আমাদের তিন বন্ধুর যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে দিয়েছিলেন। তাই অনেকক্ষণ যাবৎ সেখানে অবস্থান করা লেগেছিল আর অপেক্ষা করা লেগেছিল। আপনারা ভালই জানেন অপেক্ষার প্রহর কখনো শেষ হতে চায় না যদিও তা অল্প সময়ের হয়ে থাকে। কারণ অপেক্ষা করো বড়ই কঠিন কাজ। যাইহোক অপেক্ষার মুহূর্তগুলো আমি বিভিন্ন ভাবে অতিবাহিত করার চেষ্টা করেছিলাম। যেমন ফটোগ্রাফি করে বেড়াচ্ছিলাম ঠিক তেমনি বারবার এসে অফিসে দেখা করছিলাম আর কতক্ষণ দেরি। এই মুহূর্তে দেখছিলাম রাজু ভাই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড় করিয়ে নিয়ে স্যারদের সাথে যেন ফরমে স্বাক্ষর করছে। ঠিক সেই মুহূর্তে জানতে পারলাম অফিসের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে এখন চলছে আমরা কোন হোটেলে যে উঠবো। শুনেছিলাম এখান থেকে নির্দিষ্ট একটা হোটেলের কথা বলে দেওয়া হয় যা এস আরো কলা বিভাগের নিকটস্থ হোটেল তাই ভাড়া কম লাগবে। যেহেতু দীর্ঘ পথ জার্নি করে সেখানে পৌঁছেছিলাম তাই কিছুটা নার্ভাস অনুভব করছিলাম। কারণ গাংনী মেহেরপুর থেকে সাতক্ষীরা অনেক দূর।

IMG_20221115_140148_248.jpg

IMG_20221115_142655_255.jpg

IMG_20221115_142635_945.jpg

IMG_20221115_142632_508.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


দ্বিতীয় পর্যায়ের ফটোগ্রাফি

অপেক্ষা করার এমন একটি পর্যায়ে আমি রাজু ভাইকে সামনে পেলাম, তাই সাথে সাথে তার সাথে একটি সেলফি তোলার চেষ্টা করলাম। আমি যখন তার সেলফি তুলছিলাম সে যেন অবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর আমাদের যে স্যার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে আর্ট বিষয়ে হঠাৎ তার দেখা আমি তো আনন্দে আত্মহারা। স্যারের সাথে করে সেলফি উঠার চেষ্টা করলাম। স্যারের সাথে অনেকক্ষণ কুশল বিনিময় হলো। অবশ্যই স্যার অনেক ভালো মানুষ, খুব সুন্দর ভাবে থেমে থেমে কথা বলে। যে মুহূর্ত স্যারের সাথে সেলফি উঠেছিলাম আর কথা বলছিলাম অনেক মানুষ ভিড় করছিল স্যারের সাথে ছবি তোলার জন্য। তাই আমি অন্যান্য ভাই-বোনদের সুযোগ করে দিয়েছিলাম। দ্রুত সেখান থেকে সাইট দিয়ে তাদের স্যারের সাথে ছবি তোলার সুযোগ করে দিয়ে নিজের একটু ভালো লাগছিল।

IMG_20221115_142822925_BURST0001_COVER.jpg

IMG_20221115_141722488_BURST0001_COVER.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


তৃতীয় পর্যায়ের ফটোগ্রাফি

পূর্ব পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছিলাম চারুকলা অফিসে অনেকগুলো আর্ট করা ছিল এমন সব ক্যানভাস। অবশ্য যে সময়টা আমি অপেক্ষা করে সময় পার করছিলাম তখন এই সমস্ত ক্যানভাসিতো গুলোই ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর নতুনদের সাথে পরিচিত হলাম যাই হোক ফটোগ্রাফি করার মধ্যে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম যে নম্বরে আমাদের বিকাশ পেমেন্ট করতে হয় সেই নম্বরটা সামনে দরজার সাথে লাগানো রয়েছে। ঠিক এই মুহূর্তে আমি এ বিকাশ নম্বরটি ক্যামেরা বন্দী করে রাখলাম যদিও কখনো নম্বর হারিয়ে যায় তবে এই ফটোগ্রাফি থেকে নম্বরটা খুঁজে বের করে নিতে পারব। আপনারা চাইলে এই নম্বরে যোগাযোগ করে সেখানে ভর্তি হতে পারেন। কারণ আমি লক্ষ্য করেছি সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী এখানে ভর্তি হয়ে থাকে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চল আর ঢাকা অঞ্চলের মানুষ এখানে বেশি ভর্তি হয়। যাইহোক গুরুত্বপূর্ণ একটি নম্বর তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে দিলাম। ভবিষ্যতে আপনার আমার আমাদের মত আরো অনেকের প্রয়োজনের আসতে পারে এই নম্বরটি।

IMG_20221115_135959_828.jpg

IMG_20221115_143433_963.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


শেষ পর্যায়ের ফটোগ্রাফি

চারুকলা অফিসের কাজ সম্পন্ন করে বের হয়ে পড়লাম রাস্তার দিকে। আমরা সবাই আলাদা আলাদা অটো গাড়িতে চেপে বসলাম হোটেল হাসানে যাওয়ার জন্য। যত সামনের দিকে এগোতে থাকলাম তত নতুন নতুন স্থান সম্পর্কে অবগত হতে থাকলাম আর দেখতে থাকলাম নতুন জায়গার সুন্দর দৃশ্য। সাতক্ষীরা সদরের মেইন পয়েন্ট সত্যি অনেক সুন্দর। এ মুহূর্তে আকাশে সূর্য থাকায় বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি হয়েছিল সাতক্ষীরা শহরের বিশেষ স্থানগুলোর। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল পার হয়ে যেয়ে কলারোয়া রোডের দিকে ব্যাক ঘুরতেই লক্ষ্য করলাম তিন রাস্তার মোড়ের সুন্দর দৃশ্যগুলো। পূর্ব দিকে চলে গেছে শ্যামনগরের রাস্তা আর পশ্চিম দিকে কলারোয়া যশোরের রাস্তা যে পাশে দিয়ে আমরা প্রবেশ করেছিলাম সে দিক দিয়ে খুলনা মংলা বন্দরে যাওয়া যায়। যাই হোক অটো আলা ভাইয়ের মুখ থেকে অনেক কিছু শুনতে শুনতে পৌঁছে গেলাম হোটেল হাসানের নিকটে। নতুন স্থান প্রথম চোখে দেখায় বেশ আশ্চর্য বোধ করছিলাম এবং ভালোলাগা অনুভব করছিলাম। পাশে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল তাই ধারণা করলাম হোটেলে সেট হয়ে যাওয়ার পরেই বিকাল টাইমে ঘুরতে বের হব নিকটস্থ জায়গাগুলোতে। যাইহোক হোটেল হাসানের পাশে উপস্থিত হয়ে কিছুটা ঝামেলা সম্মেলন হতে হয়েছিল। স্থানীয় লোকেরা একটু অন্য দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল যেহেতু আমরা ২২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সাত আট জন মহিলা ছিল। এদিকে লক্ষ্য করেছিলাম হোটেলে একবারে এত মানুষ উপস্থিত হয় টাকার পরিমাণ বেশি ধরার চেষ্টা করছিল। দু একজন চিটার বাটপার মানুষের সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমাদের,যারা দালালি করতে এসেছিল আমাদের কাছে। অবশ্যই এ সমস্ত বিষয়গুলোর প্রতি অবশ্যই আমাদের সজাগ থাকতে হবে নতুন কোন স্থানে গেলে। এরপর সমস্ত বিষয়গুলো মিটমাট করে উঠে পড়লাম হোটেল হাসানে তৃতীয় তলায় পশ্চিম সাইডের রুমটাতে। অনেক সুন্দর একটি রুম ছিল সেটা। আর এভাবেই গাংনী মেহেরপুর থেকে যাত্রা শুরু করে সারাদিন শেষ সাতক্ষীরার নির্দিষ্ট গন্তব্য স্থান খুঁজে পেলাম। শুধু পেলাম না প্রাণ শীতল করা ঠান্ডা পানি। কারণ এই এলাকার প্রাণীগুলো লবণাক্ত তা আমার ধারণার বাইরে ছিল। ছিলনা হোটেলে পানির ব্যবস্থা তাই পানি কিনে খাওয়া আর দূর থেকে নিয়ে আসা ছাড়া বিকল্প কোন পথ ছিল না। হয়তো আরো বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে উপস্থিত হব পরবর্তী কোন পোস্টে।

IMG_20221115_145502_149.jpg

IMG_20221115_145500_733.jpg

IMG_20221115_145918_691.jpg

IMG_20221115_145920_236.jpg

IMG_20221115_145916_694.jpg

IMG_20221115_150054_111.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png

💌আমার পরিচয়💌


আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি।




পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

তাহলে তো দেখছি আপনাকে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে রুম বুক করতে গিয়ে। তবে আপনি দেখছি এত ঝামেলার মধ্যেও সেলফি গুলো তুলে নিয়েছেন। আসলে এরকম হঠাৎ করে কারো সেলফি তুললে অবাক হওয়ারি কথা। দালালের কথা আর বলবেন না। যেখানেই যান দালালেরা যেন হাজির হয়ে যায়। প্রত্যেকটা কাজে এখন শুধু দালালি খাওয়া ছাড়া আর কোন কথাই নেই। তবে শেষমেষ রুম পেয়েছেন এটাই ভালো লাগলো।।

সারাদেশের সব জায়গাতে দালালে ভরা

রুম বুক দিয়ে দিতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে ভাইয়া আপনাকে।যেখানেই যাবেন সেখানেই দালাল এতো মানুষ দেখে দালাল ভেবেছিল বেশ ভালো একটা ইনকাম করে নেওয়া যাবে।সাতক্ষীরা শহর টা বেশ সুন্দর লাগছে ফটোগ্রাফি তে।সব মিলিয়ে হোটেল হাসানে গিয়ে আবার পানির ব্যবস্থা না থাকায় বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে।ধন্যবাদ পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

অবশ্যই, আরো বিস্তারিত বিষয় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।