হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবার উপস্থিত হলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাঠে বাচ্চাদের খেলাধুলা দেখার মুহূর্ত নিয়ে। অবশ্য এই মুহূর্তে আমি সেখানে শীতল বাতাস ও কিছুটা স্বস্তির আশায় উপস্থিত হয়েছিলাম এবং বাচ্চাদের খেলাধুলার ইনজয় করেছিলাম। সেই মুহূর্ত সহ যখন উপস্থিত হয়েছি আর যা দেখেছি অনুভব করেছি বিস্তারিত তুলে ধরব এই পোস্টে।
What3words location, Dhaka jahangirnagar
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরে পান ধোয়া আর ২০ মাইল এর মধ্যবর্তী স্থান। আর এখান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ এরিয়া। এই জায়গাটাতে আমি সন্ধ্যার সময় এসে বসে থেকেছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি খেলাধুলা দেখেছি এক কথায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। তাই বারবার ছুটে এসেছি এই জায়গাটিতে। আপনারা এই মুহূর্তে যে সুন্দর মসজিদ এবং মসজিদের পাঁচিল দেখতে পাচ্ছেন এর পেছনেই কিছুটা উত্তর পশ্চিমে খেলার মাঠ। আর বা সাইডে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিল্ডিং। এগুলো কোয়ার্টার তারপরে ওদিকে রয়েছে হোস্টেল ছাত্রাবাস ইত্যাদি। তবে যাই হোক সেই চিন্তা বাদ রাখি। কিছুটা মুহূর্তের জন্য আমি এই জায়গায় উপস্থিত হয়েছিলাম। এরপর বিকাল মুহূর্ত খেলাধুলা দেখেছিলাম কিশোর ছিলেন মেয়েদের। আর এভাবেই এই রাস্তাটাই দীর্ঘ এক মাস আমার চলাচল। কিছুদিন আগে আমি এই পথ দিয়ে যেতেই লক্ষ্য করেছিলাম বিকেল মুহূর্তের ছেলেরা খেলছে মাঠে। তাই এদিকে কিছুটা সময় উপস্থিত হয়ে বসে থাকলাম এবং তাদের খেলাধুলা দেখলাম।
গতদিন এই জায়গায় আমি বেশ অনেকক্ষণ অবস্থান করছিলাম বিকেল মুহূর্তে। ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। মাঠ খেলার মাঠ যথেষ্ট বড়ই। তবে এখানে নির্দিষ্টভাবে কোন খেলাধুলা চলছে না। শুধু ছোট থেকে ১৫-২০ বছর বয়সের ছেলে মেয়েরা এখানে খেলাধুলা করছিল দেখলাম। কেউ ক্রিকেট খেলছে। কেউ ফুটবল নিয়ে খেলছে। এছাড়া অন্যান্য খেলাধুলা চলছে। আবার এদিকে ওদিকে বসে রয়েছে ছেলেরা আবার মেয়েরাও। সামনের দিকে লক্ষ্য করলে একটু আড়ালে অনেক মেয়ে মানুষ বসে গল্প করে ওই দিনও লক্ষ্য করলাম তাই। অর্থাৎ বিকেল মুহূর্ত হলে এখানে খেলাধুলা গল্প গুজবের সুন্দর দৃশ্য লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে যাই হোক কিছুটা সময় ধরে আমি ফুটবল খেলা দেখলাম তাদের। এখানে যে সমস্ত বাচ্চারা রয়েছে সবই বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত চাকুরিজীবী ভাইদের সন্তান। তবে তাদের খেলাধুলা দেখতে আমার বেশি ভালো লেগেছিল তাদের মধ্যে কোন গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ নেই। কথাবার্তা কি সুন্দর ভদ্র। মাঝে মাঝে খেলতে খেলতে আমার পাশে চলে আসছে আবার খেলতে গেলে এদিক থেকে ওদিকে চলে যাচ্ছে। ঝিরিঝিরি ঠান্ডা হাওয়া বাতাস এর মুহূর্তে তাদের খেলাধুলা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।
আমি বেশ কিছুদিন বিকেল মুহুর্তে এই মাঠে এসে উপস্থিত হয়েছি বসে থেকেছি এবং খেলাধুলা দেখেছি। দিনের বেলায় চলাচল করেছি কিন্তু তখন তো আর খেলাধুলা চলে না। তবে কিছু কিছু বাচ্চাদের ঈদের আগে ঈদের পরে খেলাধুলা করতে দেখে মনে হয়েছে হয়তো এদের বাবা-মা যারা চাকরি করেন তারা ঈদের ছুটি পাননি। আরেকটা বিষয় বেশি লক্ষ্য করেছিস তা হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে গেলে তারা মাগরিবের আজানের আগে বা পরে সব কোয়াটারে চলে যায়। আর বিকেল মুহূর্ত থেকে জায়গায় জায়গায় মানুষ এসে বসে থাকা শুরু করে। সন্ধ্যার পর স্টুডেন্ট টাইপের অনেকেই আশে বসে চা খায়। এখানে আবার একটা ভাই চা তৈরি করে বিক্রয় করে পান তৈরি করে বিক্রয় করে। তার উপস্থিত বক্সে সবকিছুই থাকে দেখে। চা পান সিগারেট সবকিছু তার বক্সের মধ্যে থাকে নিয়ে এসে বসে পড়েন। আর এই খাওয়ার জন্য সর্ব শ্রেণীর মানুষ উপস্থিত হয়। তবে প্রথমে একদিন খুব আশ্চর্যবোধ করেছিলাম দুইজন ছেলে একজন মেয়ে এসে আমার নিকটে উপস্থিত হল,বসে পড়লো। মেয়েটা চা বিক্রেতার কাছ থেকে সিগারেট নিয়ে আসলো, এরপর আমার নিকটে তার বন্ধু দুইটার সাথে বসে সিগারেট টানা শুরু করলো। আশেপাশে অন্যান্য মানুষজন চলাচল করছে। আর ঠিক এভাবে বেশ কয়েকদিন এমনটাই লক্ষ্য করলাম জায়গায় জায়গায়। মনে মনে ভাবলাম বাহ বাংলাদেশে মেয়েদের বেশ উন্নতি হয়েছে। কি স্বাধীন জীবন যাত্রা। ধরা বাধার লোক নাই, একদম ফ্রি। বয়ফ্রেন্ডের সাথে রাতে এসে মাঠে বসে সিগারেট টানছে। কত্ত স্বাধীনতা আমাদের দেশের নাগরিকদের। আর এভাবেই সুন্দর সব দৃশ্য দেখতে দেখতে সন্ধ্যা রাতের একটি মুহূর্তে আবার বাসায় ফিরে গেলাম।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | টাইম পাস |
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেই ২০১৪ সালে গিয়েছিলাম ভাই জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষা দেয়ার জন্য। এরপর আর সেখানে যাওয়া হয় নাই। তবে আমি একদিন ক্রিকেট ম্যাচ দেখেছিলাম সেখানে। ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখার মুহূর্তটা সত্যি অনেক আনন্দের। আর আপনি সেই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি সেখানে বসে থেকে খেলা দেখেছি ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি জাহাঙ্গীরনগরের একটি মাঠে বাচ্চাদের খেলা দেখার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এবং খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। খেলাধুলা শেষে সব কোয়াটারে চলে যায় এবং বিকেল মুহূর্ত থেকে জায়গায় জায়গায় মানুষ এসে বসে থাকা শুরু করে। সন্ধ্যার পর স্টুডেন্টরা অনেকেই বসে চা খায়। জাহাঙ্গীরনগরের
দারুণ একটি পরিবেশে বিরাজ করে। যাইহোক চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়া জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit