আজ - শনিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। এ পোস্টে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি সাতক্ষীরা চারুকলা বিভাগে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার অনুভূতি। দীর্ঘ জার্নি পরে যখন চারুকলা বিভাগের অফিসে পৌছালাম তার বিশেষ মুহূর্ত নিয়ে আজকের ব্লগ। আশা করি সারাটা সময় জুড়ে সাথে থাকবেন।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে পৌঁছে গেলাম সাতক্ষীরা ক্রিয়েটিভ চারুকলা আই. সি. টি. ইনস্টিটিউট এ। ইতোমধ্যে বাস ট্রেন মাইক্রো জার্নি সমাপ্ত করে যেন আশার আলো খুঁজে পেলাম দুই নয়নে। তবুও যেন আমার দুই বন্ধু এখনো সঠিকভাবে চিনতে পারে নাই কাঙ্খিত স্থান। যেহেতু মাইক্রো গাড়ি থেকে আমি আগে নেমে ছিলাম তাই সবার আগে আমার চোখ পড়েছিল। দীর্ঘ জার্নিতে সবার চোখে একটু ভালো লাগা থাকে, আর নতুন স্থানে যেন কাছে থাকার ঠিকানা খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমার দুই বন্ধুর মধ্যে ঠিক তেমনি হয়েছিল। আমি কাঙ্খিত স্থান খুঁজে পেয়েছিলাম গাড়ির মধ্যে থেকেই কারণ আমি তো ফটোগ্রাফি করতে করতে আসছি তারা তো এই কাজ করছে না তাই তাদের একটু খুঁজতে হয়েছিল। আমি অফিসের পাশে যখন দাঁড়িয়ে গেলাম দেখলাম দুই বন্ধু এদিক-ওদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর ঠিক এই মুহূর্তে আমিও হাসি মুখে যেন মজা নিছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
তারপর হাসিমুখে বললাম ভালো করে দেখে নাও আমরা পৌঁছে গেছি আমাদের কাঙ্খিত স্থানে। তখন তারা একটু রাগ দেখিয়ে বলল সঠিক জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে গেছে আমাকে বলবা না? আমরা খুঁজছি। আমি বললাম দ্বিতীয়বার জেনো তোমাদের খুঁজতে না হয় তাই এখানে এসে দাঁড়াও আমি ফটোগ্রাফি করে রাখি। যাইহোক অতি হাসি আনন্দের ছলে আমরা ফটোগ্রাফি করলাম। দীর্ঘদিন ধরে এই সেন্টারের নাম শুনে আসছি কিন্তু স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে তিন বন্ধু একসাথে এভাবে দেখব তা আগে কখনো ভাবি নাই। এদিকে আমাদের টিম প্রধান রাজু ভাই উপস্থিত হয়ে আমাদের বলল অফিসের উপরে চলে যেতে। তাই বললাম আপনারা আগে চলে যান আমরা তিনজন আসছি। কারণ এই মুহূর্তে আমি জানছিলাম না অফিস রুমে যেয়ে কি করতে হবে না হবে। বন্ধুদের বলেছিলাম অফিসে কি করতে হবে না হবে তোমাদের কাজের পাশাপাশি আমারটা করে দেওয়ার, চেষ্টা করো আমি তো আছি সাথে; টাকা লাগলে দিয়ে দিবা, পরে আমি দিয়ে দিচ্ছি। যাই হোক এভাবে আমরা দোতলায় অফিস রুমে চলে গেলাম। থেকে মুহূর্তের লক্ষ্য করলাম আমাদের পেছনে অনেক মানুষ অফিস খুঁজতে খুঁজতে আসছে আবার অনেকে পৌঁছে গেছে আমাদের আগে। কারণ রাত পোহালে পরীক্ষা তাই সবাই আগে এসে, অফিসের কাজ সেরে হোটেল বুকিং করার চিন্তা।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
আমি অফিস রুমে প্রবেশ করলাম না আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে এসে লক্ষ্য করলাম অনেক সুন্দর সুন্দর ক্যানভাস আমাদের পূর্বের ব্যাচের ভাইয়েরা তৈরি করেছে। তখন এত সুন্দর আলোকচিত্র দেখে আমি মুগ্ধ হলাম এবং মনে মনে ভাবলাম এটি আমার পক্ষে সম্ভব! কারণ আমারও তো এই কাজ করতে হবে আর পরীক্ষা দিতে এসেছি কিন্তু কিছুই তো শিখি নাই। যাই হোক দেয়ালের এপাশে ওপাশে যে সমস্ত ক্যানভাস চিত্র ছিল আমি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
যে সমস্ত চিত্র গুলো ভালো হয়েছিল সেইগুলো কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ম্যানেজ করে টাঙিয়ে রেখেছে দেয়ালের দুপাশে। আমি তার মধ্য থেকে ভালোলাগার চিত্রগুলো ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। পাশেই লক্ষ্য করলাম অনেক মানুষ এসে উপস্থিত হচ্ছে কিন্তু আমার ফটোগ্রাফি করা দেখে এদিক ওদিক সরে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা এসে উপস্থিত হল।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
এই মুহূর্তে আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। দোতলার উপরে আমি যখন অবস্থান করেছিলাম লক্ষ্য করলাম বারান্দায় একটি ছোট সাইকেল। আমি তখন বারান্দা থেকে সাইকেলটা নিয়ে মাঝখানের ফাঁকা রকের উপর সাইকেল চালানোর চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু দুই বন্ধুসহ আমার ব্যাগ এখানেই ছিল তাই এখান থেকে তো আর সরে যেতে পারি না যেতো নতুন একটি স্থান। সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যারা ছাত্রছাত্রী রয়েছে অংশগ্রহণ করেছে পাশাপাশি তাদের আত্মীয় আসার জন্য দুই একজন করে আসছে। এই মুহূর্তে লক্ষ্য করলাম তিনজন মেয়ে উপরে উঠে এসে কোন দিকে যাবে বা কোথায় দাঁড়াবে বুঝে পাচ্ছিল না। ওদিকে মানুষ উপরে আসছে অফিসের মধ্যে কাজ চলছে এদিকে আমি পুরা জায়গাটা জুড়ে সাইকেল নিয়ে পাগলামি করছি। তারা তিনটা মেয়ে লোকের পাশে নক করে দাঁড়িয়ে থাকলো একবার অফিসের দিকে তাকায় একবার ফাঁকা স্থান অর্থাৎ আমার দিকে তাকায়। মনে হচ্ছিল তারা খুব লজ্জা পাচ্ছিল তারপরও কিছু করার নেই, নিজেদের দাঁড়ায়ে রাখতে হবে কোন একটি স্থানে। আমার সম্মুখের স্থানটাই তাদের জন্য দুইটা ছিল। এই মুহূর্তে আমি ভাবলাম আমি সাইকেলে থাকা অবস্থায় যদি কেউ ফটো তুলে দিত তাহলে তো ভালই হয় যেহেতু আমার বন্ধুটা নিকটে নেই কে তুলে দেবে। তাই সাহস করে তিনজন মেয়েদের আমি বললাম আপনারা বারবার তাকাচ্ছেন জানিনা দেখতে কেমন লাগছে আমার। আমার মোবাইলে ফটো তুলে দেন তো। আমিও একটু দেখি নতুন স্থান স্মৃতি হয়ে থাক। তোরা খুব হাসলো। আমার হাত থেকে মোবাইলটা নিলো, এই মুহূর্তে খুব লজ্জা বোধ করছিল। যখন আমাকে ফটো ওঠা ছিল, দুইটা মেয়ে উঁকি মেরে আমার দিকে তাকায়তেছিল আর মোবাইলের দিকে তাকাচ্ছিল। এই মুহূর্তে আমি বলে বসলাম আপনারা লজ্জা পাচ্ছে না আর হাসাহাসি করছেন এতে কিন্তু মোবাইলের ফটোগ্রাফি ভালো হবে না আমার মোবাইল ধরে মাঝখানে টাচ করুন তাহলে ফটো ভালো হবে আর লক্ষ্য রাইখেন যেন মোবাইলটা পড়ে যায় না। অতি কষ্টে কেন আমার দামি মোবাইল। আপনারা হাসছেন দেখতে ভালো লাগছে তবে আমার ফটোগ্রাফি টাও যেন ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখেন। যাই হোক তোরা ফটো উঠালো। বললাম নিজেরা ভালো করে দেখে নিন ফটো ভালো হয়েছে কিনা না কিন্তু আবার তোলা লাগবে। তারা বলল, না ভাইয়া ছবি সুন্দর হয়েছে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলাম বেশ মোটামুটি হয়েছে আর কি। তখন বললাম এই যে আপনারা তিনজন এখানে দাঁড়িয়ে একটু লজ্জা বোধ করছিলেন হয়তো কিছুটা জড়তা কেটেছে আমার এই পাগলামিতে। আপনিও পরীক্ষার্থী আমিও পরীক্ষার্থী লজ্জা পাওয়ার কিচ্ছু নেই। যাইহোক সুন্দর একটা মুহূর্ত কেটে গেল তখন এই সেই কথায় কথায়।
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক ক্যাডেট মুখি স্কুলের সহকারি ইংরেজি শিক্ষক। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। ফুলের ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পুকুর পাড়ে সবজি চাষ সহ পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | sumon |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৭ বছর |
পেশা | শিক্ষকতা |
ভালোলাগা | আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ফুলের পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আপনি তো আগে পৌঁছায়ে বন্ধুদের সাথে উঁকি মারছেন।তারপর বন্ধুদের রেখে সাইকেল নিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন।এখন মেয়ে গুলো আসলে লজ্জায় পড়ে যায়। তারপর তাদের সাথে কথা বলে জড়তা কেটে যায়।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সাতক্ষীরা ক্রিয়েটিভ চারুকলা আই.সি.টি. ইনস্টিটিউটে একদিন কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit