জেনারেল রাইটিং || শিক্ষার আলো

in hive-129948 •  19 days ago 


আসসালামু আলাইকুম


হাই
বন্ধুরা!

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মানুষের শিক্ষা নিয়ে। আজকের জাতি কতটা শিক্ষিত এবং জ্ঞান সম্পন্ন মেধা নিয়ে জীবন অতিবাহিত করে তার কিছুটা অংশ বিশ্লেষণ করবো।


Picsart_24-11-30_19-06-46-051.jpg




আলোচনার বিষয়:
শিক্ষার আলো


মানুষ তখনই একটি জাতিকে উন্নত আশা করতে পারে, যখনই সে জাতির মধ্যে সুশিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে। কারন শিক্ষার আলো মানুষকে সচেতন হতে শেখায়, সজাগ হতে শেখায়। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি জ্ঞান স্বয়ংসম্পন্ন। তবে সেই শিক্ষাটা হতে হবে সুশিক্ষা। যেন রুচিশীল চিন্তাধারা তৈরি হয় শিক্ষার মাধ্যমে। কারন শিক্ষা বলতে ব্যাপক কিছু কে বোঝায়। সামাজিক শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হতে বিস্তৃত এই শিক্ষা ব্যবস্থা। আপনি যেখানে যাই করেন না কেন তার মধ্যে শিক্ষা রয়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আপনাকে সকল শিক্ষাকে সুন্দরভাবে অনুধাবন করার সুযোগ এনে দেয়। তাই আমরা যতটুক শিক্ষা গ্রহণ করি না কেন সেটা হতে হবে সুশিক্ষা।

যে সময় প্রতিষ্ঠান ছিল না তখন কিন্তু মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করেছে। নিজের সভ্যতাকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আর তখনই তারা চাহিদা মনে করেছিল একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে এবং শ্রেণীবিন্যাস ভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আর সেই থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার চালু হয়। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগুলো মানুষকে সর্বস্তরের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করে। যখন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে ভেজাল সৃষ্টি হয় তখন কিন্তু মানুষের সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা হতে হবে সুশিক্ষা রুচিশীল শিক্ষা ধর্মীয় শিক্ষা মানব শিক্ষা। যে শিক্ষা জাতিকে শিক্ষার আলো দেখাতে পারে। তবে আমাদের জাতি কি সেই শিক্ষা পাচ্ছে যে শিক্ষা সকলের জন্য একান্ত কাম্য। বর্তমান মিডিয়াতে চোখ রাখলে দেখা যায় ডিগ্রি অর্জনকারী অনেক মানুষের অপকর্ম কুকর্ম খারাপ কার্যকলাপ। এই সমস্ত কার্যকলাপ গুলো সত্যিই নিজেকে মর্মাহত করে। আমার যখন আশা করি শিক্ষিত হয়ে মানুষ সভ্য হবে। সেখানে দেখা যায় মানুষ শিক্ষিত হয়ে কুরুচিপূর্ণ কার্যকলাপে নিহত। সত্যিই এটা কিন্তু দুঃখজনক।

অনেক শিক্ষিত মানুষ রয়েছে সবকিছু বোঝা সত্ত্বেও যেন নিজের বিবেককে জাগ্রত করতে জানে না। খোঁজ করলে দেখা যায় তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বড় ডিগ্রী অর্জনকারী। কিন্তু কর্মকাণ্ড এতটাই জঘন্য যেগুলো দাদা-দাদী বয়সের মানুষেরা শুনলে ছি ছি করে বসে। একটা সময় যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হতো তখন মানুষ বলতো এদের মধ্যে শিক্ষার অভাব রয়েছে তাই ঝগড়া করে ডিভোর্সে চলে গেছে। আবার বলাবলি করতো দুইটা পরিবারের মধ্যে শিক্ষার আলো নাই। ঠিক এমনই বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের দ্বারা কোন ভুল ত্রুটি হলে মানুষ সমালোচনা করত শিক্ষার অভাব আছে তাই এটা হয়েছে সেটা হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় পরিবারের বিবাহ বিচ্ছেদ ঝগড়া মনোমালিন্য অশ্লীল কার্যকলাপ মিডিয়াতে খারাপ ভিডিও প্রকাশ এ সমস্ত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাহলে প্রশ্ন মানুষের বিবেক কোথায়। এমন একটা সময় ছিল বেহায়া বেশরম মেয়ে মানুষ হাতে গুনে কয়েকটা এলাকার মধ্যে মিলতো। আর এখন শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিদের টিক টক ভিডিও চলাচল করে বেড়াচ্ছে ওপেনলি। যেগুলো একটি ধর্মকে, একটি মানব সভ্যতাকে কঠিনভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। তাই বলি, লেখাপড়া শিখেই মানুষ কতটা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছে। যদি স্বশিক্ষায় স্বয়ংসম্পন্ন হতো তাহলে এ সমস্ত কার্যকলাপে কেন লিপ্ত। তাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সঠিক শিক্ষা দিতে পারছে না। নাকি মানুষ সভ্যতা ধ্বংস করে চলছে নিজের আবেগ দ্বারা। সত্যিই এই সমস্ত বিষয়গুলো ভাবতে গেলে কষ্ট লাগে।

কিছুদিন আগে জানলাম দুই সন্তানের একটি মা নিজের সন্তান-সংসার স্বামী ফেলে অন্যের ঘরে এসে বসে রয়েছে। তার নাকি তিন বছরের পরকীয়া প্রেম। কিভাবে সম্ভব এগুলো। অনেকেই ধারণা করেছিল স্বামী হয়তো বিদেশে থাকেন। তাই সে নিজের মনের আবেগ ধরে রাখতে পারিনি চাহিদার টানে খারাপ পথে লিপ্ত হয়েছে। পরে দেখা গেছে না তার স্বামী বাড়িতেই থাকেন চাকরি করেন ভালো পর্যায়ের। কিন্তু এত কুরুচি সম্পন্ন কাজে লিপ্ত হলো কেন মহিলা। পরে জানা গেল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলতো। স্বামী চাই তো তাকে পর্দার আড়ালে আগলে রাখতে। প্রয়োজনে বাইরের পরিবেশে যেতে অপ্রয়োজনে বাইরে চলাচল না করতে। কিন্তু মেয়েটা চেয়েছিল স্বাধীনতা এতটাই স্বাধীনতা তার প্রয়োজন যখন ইচ্ছা যেখানে আনন্দ উল্লাস করে বেড়াবে। কিন্তু কোন স্বামী চায় না তার পবিত্র বন্ধন ছিন্ন হোক আমানতের শরীরটা অন্যদের মাঝে হেলে দুলে বেড়ায়। হয়তো তার মনের কিছু কথা সেভাবে খুলেই বলতে পারতো না বউয়ের কাছে। আর যখনই বোঝানোর চেষ্টা করত তখনই ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হতো। আর যখনই স্বামী ছেড়ে দেয়নি আস্তে আস্তে বউয়ের প্রতি নারাজ হতে থেকেছে তখনই তার স্ত্রী খারাপ পথ গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য কাকে দায়ী করবেন ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ টিক টক ইন্টারনেট। আসলে এই সমস্ত জিনিসগুলোর মধ্যে খারাপ জিনিসের প্রবণতা বেশি, ইচ্ছে থাকলেও সঠিক পথে থেমে থাকা যায় না। মানুষকে খারাপ পথে ধাবিত করার সুবর্ণ সুযোগ হাতের মুঠোর মধ্যে। তবে খারাপ পথ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাজকে বাঁচাতে অবশ্যই নিজের ভেতর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রাখতে হবে। প্রয়োজনের তাগিদে বেশি ব্যবহার করতে হবে না এ সমস্ত অনলাইন জগতকে। মনে রাখতে হবে যেমন স্বামী পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত তেমন একটি সংসার ঠিক রাখার জন্য একটা মহিলা বেস্ট। তাই আমানতের খেয়ানত না করে। ছোট্ট এই দুনিয়ায় বিবেক বুদ্ধি করে চলতে হবে। যে নিজেকে সুশিক্ষিত রূপে সব জ্ঞানে গড়তে পারবে তার দ্বারা ক্ষতি কম হবে, জীবনে নিজের ক্ষতি কম হবে।

পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgB7TZjdex8Jfeum4QdvWrYyVKf1TVdkBn3Afz5h9WN46gBh4J5bjeVSUjgbCkhDF2MvcDktfM1Q.jpeg


পোস্ট বিবরণ


বিষয়শিক্ষার আলো
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
Photo editing apppicsart app
লোকেশনগাংনী-মেহেরপুর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png


6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzpQii6mQVp5A4gDGCDR68W9RxwfgYXDkuSdrT6M7Y7xaaSUX484gjnbdCNf4usUnqiHpgSG4y2v9nUyHY.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

30-11-24

Screenshot_20241130-192129.jpg

Screenshot_20241130-192235.jpg

Screenshot_20241130-192314.jpg

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

বর্তমান শিক্ষিত লোকের অভাব নেই। তবে সুশিক্ষার বড় অভাব। আমাদের কারিগরি শিক্ষার চেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আর কিছু মহিলার জন্য সত্যি অনেক খারাপ লাগে। আর তাদের জন্য মানুষ সব মহিলাদের এক ভাবে। তবে ইন্টারনেট আমাদের উপকার করছে। কিন্তু আমরা একে ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ সঠিক শিক্ষা নেই বলেই চলে

সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করলেন।সত্যিকার অর্থে সঠিক শিক্ষা পেলে সভ্যতার অবক্ষয় ঘটে না।আবেগে গা ভাসিয়ে দেয়া যায় না।একজন সঠিক শিক্ষিত মানুষ আবেগ নয় বিবেক দিয়ে ই কাজ করার চেষ্টা করে।বর্তমান নেটের দুনিয়ায় সবকিছু যেনো হাতের মধ্যে চলে এসেছে।আমরা এর সঠিক ব্যবহার না করে নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস করে চলেছি।এটা খুবই আফসোসের একটি বিষয়।

হ্যাঁ আপু এমন শিক্ষা আমাদের সমাজের প্রয়োজন

একটা কথা আছে ভাই স্বশিক্ষিত ব‍্যক্তি মানেই সুশিক্ষিত। কোন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া কর আপনি জ্ঞান অর্জন করতে পারেন কিন্তু শিক্ষিত হতে পারবেন না। এটার জন্য প্রয়োজন আত্মচেষ্টা। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।।

একদম যথার্থ বলেছেন