হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, আব্বার ঔষধ কেনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আশা করবো, আমার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন।
Infinix Hot 11s
একদিন হঠাৎ করে আব্বা আমাকে বললেন যে ওনার বেশ কিছু ঔষধ ফুরিয়ে গেছে। উনার ওষুধ আনার জন্য বামুন্দি বাজারে যেতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন আমাদের সুপরিচিত একটি বাজারের নাম বামুন্দি বাজার। প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার উদ্দেশ্যে আমরা এই বাজারে উপস্থিত হয়ে থাকি। তাই সেই মুহূর্তে আব্বুর কথা শুনে আমি বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রেডি হয়ে বের হয়ে বললাম। পিতা মাতার ঔষধ এর জন্য আমি কখনো অবহেলা করি না। টাকা দেওয়ার বিষয়টা কারোর উপর ডিপেন্ড করে না। যখন যেভাবেই হোক পিতা-মাতার ঔষধ ম্যানেজ করার চেষ্টা করে থাকি আমরা দুই ভাই। ঠিক সেই মুহূর্তে ওষুধ আনার জন্য আমি রেডি হয়ে বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হয়ে পড়লাম। বামুন্দি বাজারের সুপরিচিত তামিম ফার্মেসি থেকে আমি ঔষধ নেয়ার চেষ্টা করে থাকি। কারণ এই ফার্মেসিতে সকল প্রকার ঔষধ গুলো পেয়ে যায় খুব সহজে এবং ১০% কমিশনে। আর সবচেয়ে সুবিধার বিষয় হচ্ছে, এ ফার্মেসিতে উপস্থিত হলেই খুব সহজে আমি ঔষধ নিয়ে নিতে পারি অনেক ভিড়ের মধ্য থেকে। কারণ আমি খেয়াল করে দেখেছি অনেকদিন ঔষধ নেয়ার ফলে ফার্মেসির বেশ অনেক ভাইদের সাথে আমার সুপরিচিত এবং সুসম্পর্ক লাভ হয়েছে।
ফার্মেসিতে উপস্থিত হয়ে বেশিটা সময় আমার অপেক্ষা করা লাগে নি। বেশ অনেক মানুষজনের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে প্রেসক্রিপশনটা তামিম ফার্মেসীর সাদ্দাম ভাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিলাম। সাদ্দাম ভাই প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ গুলো দ্রুত দিয়ে দিলেন। আমিও দ্রুত টাকা পরিশোধ করে আবারো রওনা দিলাম জোড়পুকুরিয়া বাজারে যাওয়ার জন্য। শুধু যে আব্বুর ঔষধ নিতে হবে তাই কিন্তু নয়। একই সাথে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার খাবার নিতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন আমরা পাঙ্গাস মাছের চাষ করে থাকি। আরে মাছের খাবার বেশ কয়েক রকমের হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির খাবার রয়েছে। তাই আমাদের সুবিধামতো একটি কোম্পানির খাবার কিনে খাওয়ানো হয়। তাই এই মুহূর্তে দুইটা কাজ হয়ে যাবে, সেই আশায় দ্রুত ঔষধ নিয়ে কোন জায়গায় না উপস্থিত হয়ে পৌঁছে গেলাম জোড়পুকুরিয়া বাজারে।
জোড়পুকুরিয়া বাজারে এসে লক্ষ্য করে দেখলাম যে দোকান থেকে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার খাবার নিয়ে থাকি, সে দোকানটা বন্ধ রয়েছে। তাই নিকটস্থ আরেকটি দোকানে যেতে হলো। এদিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় আব্বা বারবার করে বলে দিয়েছিলেন নতুন এই দোকান থেকে খাবার আনতে। এখানে খাবারের দাম কিছুটা কম রাখে। দুইটা দোকানে একি খাবার একই মডেল কিন্তু দামে কিছুটা পার্থক্য রাখে। আমি সেই দোকানে উপস্থিত হলাম এখানেও এসে দেখি দোকানটা বন্ধ রয়েছে। তবে দোকানের গায়ে, দোকান মালিকের মোবাইল নম্বর লেখা রয়েছে। দ্রুত মোবাইল নাম্বার আমার মোবাইলে উঠালাম। এরপর তাকে ফোন দিলাম। নতুন দোকানের মালিক ফোন রিসিভ করলেন। আমি বললাম কোন কোম্পানির কোন কোয়ালিটির খাবার নেব। উনি বললেন পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে। বাজারের নিকটে রয়েছে দ্রুত চলে আসবে। এরপর আমি অপেক্ষা করলাম। নতুন দোকানের মানুষটা চলে আসলো। উনি আসার পর পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার এক বস্তা খাবার নিয়েছিলাম। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম পূর্বের দোকানে পাঙ্গাশ মাছের খাবারের যে দাম নিয়ে থাকে, এই দোকানে আরো কিছু টাকা কম নিল। উনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন এর আগে কোন কোম্পানির খাবার মাছকে খাওয়ায় আর কি রেটে নিয়ে থাকে। আমি বলেছিলাম পূর্বের দোকানের কথা। তখন দোকানদার তার অতীতের বেশ কিছু ঘটনা বললেন। আমরা যে দোকান থেকে পাঙ্গাস মাছের খাবার নিয়ে থাকি সেই দোকানের সাথে তার শেয়ার সম্পর্ক ছিল। এক সময় শেয়ার ব্যবসা করতে করতে উনি আলাদা হয়ে গেছে। এরপর জানতে চাইলো পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা চাষে ফেলার পর কোন খাবার খাওয়াবো। তখন তাকে বললাম এই কোম্পানির খাবার খাওয়ানো ইচ্ছে রয়েছে। তিনি আমাকে বলে দিলেন,আমি যেন তার দোকানে উপস্থিত হই। পূর্বের দোকানে খাবারের মূল্য যা নেওয়া হয় তার থেকে 10 টাকা কমে রাখবে। অর্থাৎ পথ ভাঁড়ার টাকাটা বেঁচে যাবে। তখন আমি বললাম আচ্ছা যোগাযোগ রাখব। এখন পাঙ্গাস মাছের খাবার আর ঔষধ নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | বামুন্দি বাজার |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
14-02-35
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit