আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৫৪ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।

হার কিপটে নাটকের ৫৪তম পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি মজনুর বড় ভাই দোকান দখল করেছেন কিন্তু দোকানে আগেকার মত মানুষজনের মনে শান্তি নেই। কারণ সে দোকানে এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছে একটু গান বাজনা শুনতে হলেও টাকা দিতে হবে দোকানে বসার জায়গায় বসতে হলেও টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ এখানে নজর আলী এবং হারাধন দত্তর মত কৃপণদেরও হার মানিয়েছে এই ফরহাদ কৃপণ। সামান্য চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সে এমন আচরণ শুরু করেছে যেন বাংলার ইতিহাসে এমন কৃপণ বিরল। তাই মজনুর বন্ধুরা আগের মত আর শান্তিতে চা খেতে পারে না দোকানে এসে। যেহেতু গ্রামে মাত্র একটি দোকানতায় অন্যান্য মানুষের হয়ে গেছে বেশ ঝামেলা ও সমস্যা।

এদিকে নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে এখন কি করবে সেটা ভেবে পাচ্ছে না কারণ তার বাবা তার প্রেমিকার বাবাকে অপমান করেছে তাই প্রেমিকার বাবা তাকে মানা করে দিয়েছে তার মেয়ের সাথে যেন কথা না বলে। এদিকে প্রেমিকাও আর আগের মতো দেখা করতে আসে না। তাই এখন নিরুপায় হয়ে গোল্লার কাছে পরামর্শ পাওয়ার আশায় বসে রয়েছে। এদিকে মনের দুঃখের কিছু কথা তার কাছে ব্যক্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেখা গেল গোল্লার মনের মধ্যে রয়েছে কিভাবে মিলনকে অপমান করা যায়। কারণ হঠাৎ করে মিলন শিবানীদের বাড়িতে আসার পর তাকে অপমান করেছে চিটার বলেছে শালা বলেছে। তাই এখন গোল্লার মনের মধ্যে একটা চিন্তা কিভাবে মিলনকে শায়েস্তা করা যায়। তাই সে এখন আর কাউকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত দেয়। তাই নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে হবে নহর আলীকে।

এদিকে গোল্লা হঠাৎ করে দেখতে পারলো মিলন তার খালাতো বোন শিবানির সাথে সাথে কোথায় যেন চলছে। তাদের এমন চলতি পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো গোল্লা। কারণ সে কিছু দিন আগে মিলনের কাছে অপমানিত হয়েছে এরপর মিলনকে পথে পেয়েছিল তাকে পূজা করবে অর্থাৎ উপযুক্ত শাস্তি দেবে কিন্তু কৌশল করে মিলন তার হাত থেকে পালিয়ে এসেছিল কিন্তু আজকে সামনে পেয়েছে তাকে এখনো রক্ষা করবে কে। কিন্তু হঠাৎ করে মিলন আবারো কৌশল করে গোল্লাকে দুলাভাই ডাকে। এরিফাকে গোল্লা শুধু পেয়ে গেল দুলাভাই ডাক শোনার। তাই মিলনকে বলে দিল সে যদি নিয়মিত দুলাভাই ডাকে তাহলে গুলা তাকে ক্ষমা করে দিবে। আর এভাবে এবারও মিলন গোল্লার হাত থেকে বেঁচে যায় কিন্তু শিবানী কিছুতেই মিলনকে ক্ষমা করতে পারছে না। কেন সে তাকে দুলাভাই ডাকলো। এই নিয়ে পথের মধ্যে বারবার ঝগড়া করছে মিলনের সাথে।

এদিকে নজর আলী কৃপণ পথ চলতে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তো চুমকি ওরে রেশমার আব্বা ডাক এবং বিভিন্ন অত্যাচারের সম্মুখীন হয়ে কিন্তু এখন সে দেখতে পারলো হঠাৎ করে রেশমা তার আর বিরক্তি করছে না। নজর আলীর সামনে দিয়ে রেশমা পার হয়ে চলে গেল কোন কথা না বলে। এতে নজর আলী বুঝতে পারলো তার বাবাকে অপমান করাটা ঔষধের মত কাজ করেছে। কিন্তু এখনো তো চুমকি রয়ে গেছে তাকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় সেই চিন্তা নজর আলীর মনের মধ্যে। কিন্তু দেখা যায় একপর্যায়ে নজর আলীর এমন অপমানজনক কথার জন্য তার ছোট ছেলে নহর রেশমার বাবার পা ধরে ক্ষমা চাইলেন। কারণ দীর্ঘদিন সে প্রেমিকার সাথে কথা বলতে পারছে না দেখা হচ্ছে না তাই মন থেকে যেন থেমে থাকতে পারছে না। আর এভাবে সে তার মনের কষ্টটা অনুভবে বোঝার সুযোগ করে দিলেন জব্বার চাচার কাছে।

এদিকে মিলন আর শিবানী এসে উপস্থিত হল নজর আলী কৃপণের বাড়িতে। শিবানী অভিযোগ করতে থাকলো নজর আলীর স্ত্রীর কাছে। পথের মধ্যে গোল্লা তাদেরকে এমন অপমান করেছে এবং মিলনকে দিয়ে জোরপূর্বক দুলাভাই ডাকিয়ে নিয়েছে। এই সমস্ত কথাগুলো কমল বানু শোনার পর মাত্র একটা কথাই বলেন "ও আচ্ছা" সে গোল্লার কাছে সব জানবে। এমন সামান্য ভাবে নেওয়াতে শিবানী বেশ রেগে গেল। সে যেন জোরে জোরে চেঁচামেচি শুরু করে দিল কমলা বানানোর কাছে। কারণ তার কাছে কথা হচ্ছে সে যেন গোল্লা কে উপযুক্ত শাস্তি দেয়। কিন্তু কমলা বানু শান্তি প্রিয় একজন মানুষ, বেশি কথা পছন্দ করেন না। তাই দেখা গেল কমলা বানু নীরব হয়ে গেলেন, শিবানী তার মত চিল্লাপাল্লা করে চলে গেল।

হাড় কিপটে নাটকের এই পর্বে আমরা একটা বিষয় বেশি লক্ষ্য করে দেখেছি গোল্লা আগের মতো আর বুদ্ধি ব্যবহার করছে না এবং অন্যদের বুদ্ধি দিচ্ছে না। কারণ এই মুহূর্তে সে অপমানিত হয়েছে মিলনের কাছে তাই মনের মধ্যে একটা চিন্তা কিভাবে মিলনকে অপমান করা যায়। এদিকে নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে নহর বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছেন কারণ আগের মত প্রেমিকার সাথে দেখা হচ্ছে না তার বাবা হবু শশুরকে অপমান করেছে তাই। তাই আমরা বলতে পারি এখানে সবচেয়ে বেশি অভিনয় লক্ষ্য করা গেছে গোল্লা শিবানী আর মিলনের কথোপকথন ধারা। আর একদিকে লক্ষ্য করেছি ফরহাদের দোকান চালানো ও কৃপণতা। তবে ফরহাদের অভিনয়টা বেশ দর্শক নন্দিত হয়ে উঠেছে। কারণ এখানে ইউনিক কৃপণতা খুঁজে পাওয়া যায় যেগুলো সমাজে নেই বললেই চলে। আর এভাবেই প্রত্যেক জনতার নিজ নিজ স্থান থেকে দারুণ ভূমিকা রেখেছে অভিনয়ের। নাটকটা যেমন জনগণের কাছে অনেক প্রিয় ঠিক তেমনি এই অভিনয়ের অভিনয় গুলো তেমন প্রিয়। সব মিলে বলতে পারি সকল সদস্যের অভিনয় দারুন ছিল।