হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ২০২৫ সালের প্রথম বিকেল মুহূর্তের অনুভূতি।
২০২৫ সালের প্রথম দিনটা অনেক সুন্দর কাটলো। একটু সময় করে আমি আমার প্রিয় গাছটা দেখতে গেছিলাম। আমার প্রিয় গাছটার নাম জাম গাছ। গাছটা বাড়ি থেকে দেড় কিলো। তবুও পায়ে হেঁটে ভ্রমন করতে করতে চলে গেলাম। তারই পাশে পুকুর আর পুকুর। তার উত্তর পাশে বেশ অনেক ফসলের জমিও রয়েছে। তবে আমাদের বাড়ি থেকে বের হয়েই সোজাসুজি দীর্ঘ জাম গাছ পর্যন্ত পুকুর। বলতে গেলে আমাদের একটি লিজের পুকুর থেকে শুরু পুকুরের সূচনা। আর সেই জাম গাছের কাছে পুকুরের সমাপ্তি। তবে তার পশ্চিম সাইড করে একদম রাস্তা পর্যন্ত পুকুর রয়েছে। কিন্তু উত্তর হিসেবে সেটাই লাস্ট পুকুর। এরপর বিভিন্ন ফসলের জমি তারপরেও আবার পুকুর। যাইহোক দীর্ঘ পথ এগিয়ে যেতে থাকলাম,গাছটার গায়ে একটু হাত রাখার জন্য এবং কয়েকটা ছবি তোলার জন্য। দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে বেশ কষ্ট অনুভব হয়েছিল। যদিও আমার বাম পায়ে একটা সমস্যা আছে, তবুও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে চলে গেছিলাম। বছরের প্রথম দিনে প্রিয় গাছটাকে দেখার জন্য।
আমার ইচ্ছে ছিল গাছের কাছে অবস্থান করব, ছোটবেলার সেই স্মৃতি স্মরণ করব। প্রথম যেদিন এই গাছটার স্থানে এসেছিলাম। গল্পটা কিছুদিন পরে না হয় প্রকাশ করব,অনুভব করেছিলাম একদম মাগরিবের আজান পর্যন্ত এখানে অবস্থান করবো। ২০২৫ সালের প্রথম সূর্যমামা ডুবার মুহূর্ত পর্যন্ত এখানে থাকবো। ঠিক এমনই একটা অনুভূতি নিয়ে অবস্থান করলাম। কিন্তু প্রচন্ড বাতাস যেন নিজেকে সেখানে থাকতে দিবে না। আমি যখন বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। তখন বেশ ঠান্ডা। এরপর দীর্ঘ পথ হাটাহাটি করতে করতে অনেকটা গা গরম হয়ে গেছিল। তবে গায়ে শীতের পোশাক নিয়ে গেছিলাম। প্রচন্ড বাতাস আমাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। আশেপাশে মানুষজন পশু পাখি ছিল কিন্তু সেগুলো ফটোগ্রাফি মধ্যে আনতে রাজি নয়। শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ আমি আর গাছ।
প্রিয় জাম গাছের পাশে অবস্থান করে এদিকে ওদিকে একটু ঘুরলাম। এর আগে যে কয়বার এসেছি সেই কয়বার গাছে উঠেছি। কিন্তু এবার গাছে ওঠার তেমন মন মানসিকতা ছিল না। শুধুমাত্র প্রিয় গাছটির গায়ে হাত রেখেছি। গত বছর যখন এসেছিলাম তখনও গাছে উঠেছি। তার আগেরবার আমি আর ইমন এসেছিলাম। তাই হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে বারবার ইমানের @emonv কথা মনে পড়ল। ইমনের পরীক্ষা চলছে, সিরাজগঞ্জ রয়েছে। তাই ডিস্টার্ব করি নাই। একদম লাস্টের দিকে মনে হলো দেখি না পরীক্ষা তো শেষ হয়ে গেছে। তাই তখনই ইমনের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিলাম। ইমন ফোন ধরলো। তাকে বললাম একটু ভিডিও কলে আয়। সে সাথে সাথে ভিডিও কলে আসলো। যখনই সে জামগাছটা দেখল,দেখে সে অনেক শান্তি পেল। কারণ দীর্ঘদিন আমি আর ইমন বাসা থেকে হাঁটতে হাঁটতে এই আম গাছে কাছে এসেছি। সেউ জানে এই গাছটা আমার অতি প্রিয়। আমি নিজেই তাকে সাথে করে এনেছি অনেকবার। জাম গাছটিকে দেখতে পেয়ে সে অনেক শান্তি পেল এবং অনেক সুন্দর হাসি দিয়ে বলল কাকের সাথে করে এনেছেন। আমি বললাম আমি একা এসেছি। সে জানে, একমাত্র তাকে সাথে করে আনতাম। আলাদা কাউকে সাথে করে এখানে আনবো না। বেশ কিছুটা সময় ভিডিও কলে তাকে দেখালাম আর কথা বললাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এরপর ফোন রেখে আবারো এদিকে সেদিকে ঘুরতে থাকলাম আর সূর্যমামাকে উপলব্ধি করতে থাকলাম। গাছের সৌন্দর্য নিয়ে কিছুই বলবো না,ফটোতে দেখতে থাকেন।
কিছুটা পথ এদিকে ওদিকে হয়ে যাচ্ছিলাম ফটো ধারণ করতে করতে। তবুও বারবার ফিরে আসছিলাম গাছের কাছে। ভাবছিলাম সূর্যমামা যখন ঢুকবে তখনই আমি এই স্থান ত্যাগ করব। তাই বারবার লক্ষ্য করছিলাম সূর্যের দিকে। একটি মুহূর্তে লক্ষ্য করে দেখলাম আশেপাশের পুকুরে অবস্থান করা মানুষেরা সব মাঠ ত্যাগ করল। এখানে শত শত পুকুর রয়েছে। বিকেল মুহূর্তে আমাদের মত সবাই মাছের খাবার দিতে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মুহূর্তে যে যার মত দূরের এই মাঠ ত্যাগ করে উপরে চলে গেল। শুধু লক্ষ্য করে দেখলাম একজন ব্যক্তি রয়েছেন যে ধানের চারা গাছে পানি দিচ্ছেন। আর এভাবেই জনশূন্য হয়ে পড়ল গোধূলির লগণ। কখন জানি সূর্যমামা ডুবে গেল। একদম লাস্টের দিকে প্রিয় জাম গাছের গায়ে আবারও হাত রেখে। কিছুটা পথ এগিয়ে যেতে থাকলাম বাড়ির দিকে আবারো গাছের দিকে তাকাই। এভাবেই বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকলাম এবং গাছের দিকে তাকাতে থাকলাম। কবে আবার প্রিয় এই গাছের কাছে আসবো তার ঠিক নেই। তবে এই গাছের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি, গাছে উঠে ফটো ধারণ করা রয়েছে ল্যাপটপে। সেগুলো কোন এক সময় শেয়ার করব। এভাবে বিভিন্ন চিন্তা মাথায় নিয়ে, প্রিয় গাছকে ছেড়ে পথ চলতে চলতে বাসায় ফিরে আসলাম।
বিষয় | প্রিয় গাছ |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
02-01-25
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি দেখতেছি ২০২৫ সালের প্রথম দিন জামগাছের নিচে সময় কাটিয়েছেন। গাছটি আপনাদের বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। এই গাছের সাথে হয়তো বা আপনার অনেক সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। আসলে এসব স্মৃতির জায়গাগুলোতে সময় কাটালে নিজের কাছে ভালো লাগে। আর ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অসাধারণ। আর নিরিবিলি জায়গা গুলো এমনিতে ভালো লাগে। যাইহোক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ অনেক ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়েছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit