ব্যস্তময় সন্ধ্যাবেলায় চিকেন ফ্রাই ও ঝালমুড়ি খাওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  2 years ago 

আজ - শুক্রবার

২৯ পৌষ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230110_193010912_BURST0001_COVER.jpg



আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম



হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের গাংনীবাজারে সন্ধ্যাকালীন সময় কাটানো কিছু মুহূর্ত নিয়ে এবং পাশাপাশি থাকবে রাত্রিকালীন আমাদের স্কুলের দৃশ্য ও বাগানের বর্ণনা। চলুন বিস্তারিত নিচে দেখা যায়।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট



ফটোগ্রাফি সমূহ:


১ নং ফটোগ্রাফি

আপনারা অনেকেই জানেন আমি আর মারুফ শীতকালীন সবজি চাষ করছিলাম কিছুটা ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেখানে সেচ ব্যবস্থা রেখেছিলাম ১২ ভোল্টের সাবমারসিবল পাম্প এবং সৌর প্যানেলের ব্যাটারি। তা দিয়ে পুকুর থেকে পানি উঠাতাম। যেহেতু সবজি চাষ করেছিলাম পুকুরপাড়ে। তবে কিছুদিন আগে সৌর প্যানেলের ব্যাটারিটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ব্যাটারির দাম অনেক বেশি। আমি আর মারুফ নষ্ট ব্যাটারিটা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে গাংনীতে নিয়ে গেলাম। এখন পুরাতন ব্যাটারির দাম বেশি। ১৯০০ টাকা দিয়ে ব্যাটারিটা বিক্রি করলাম। যেহেতু আমাদের দিনের টাইম সময় নাই তাই সন্ধ্যা বেলায় যেতে হয়েছিল সেখানে। ইতোমধ্যে মাগরিবের আজান হয়ে গেল। তাই আমি আর মারুক চলে গেলাম চিকেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য গাংনি এস এম প্লাজার নিকটে। মাগরিবের পর পরে সেখানে চিকেন ফ্রাই তৈরি করা হয়। গাংনী বাজারের মধ্যে এই জায়গার চিকেন ফ্রাইটা খুবই নামকরা। তাই মাঝেমধ্যে এখানেই খাওয়ার চেষ্টা করি সকলের। আমরা যখন চিকেন ফ্রাই খাচ্ছিলাম তখন কিছুটা ফাঁকা থাকলেও এরপরে খুবই ভীড় হয়ে গেল দোকানটার চারিদিক জুড়ে।ছেলে মেয়ে উভয় প্রকৃতির মানুষই এখানে চিকেন ফ্রাই খেতে আসে।

IMG_20230110_190751_584.jpg

IMG_20230110_191525_546.jpg

IMG_20230110_191530_525.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp


২ নং ফটোগ্রাফি

চিকেন ফ্রাই খাওয়ার শেষে বিশেষ একটি জিনিস কেনার জন্য মারুফ হীরা বাজারে উঠলো। এদিকে যেহেতু পুরাতন ব্যাটারিটা বিক্রয় করা হয়েছে নতুন একটি ব্যাটারি কেনা লাগবে তাই তার সন্ধান করতে থাকলাম। একটি ব্যাটারির দোকানে সন্ধান নিয়ে জানতে পারলাম বৃহস্পতিবারে ভালো ব্যাটারি পাওয়া যাবে যেমনটা আমাদের প্রয়োজন। মারুফীরা বাজার থেকে ফিরে আসলো তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে। যেহেতু এই জায়গাটা গাংনী বাজারের মধ্যে প্রধান স্থান,তাই খুবই জাকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে রাত দশটা পর্যন্ত। লক্ষ্য করে দেখেছিলাম আশেপাশের সব জায়গাতে কাচা সবজি ফলমূল সহ অনেক কিছু নৃত্য প্রয়োজনে জিনিস জাঁকজমক ভাবে বেঁচে কেনা চলছে। আর কিছুটা পথ আমি আর মারুফ এগিয়ে গেলাম ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য। তাই মোটরসাইকেলটা নির্দিষ্ট একটি স্থানে রেখে সেখানে চলে গেলাম।

IMG_20230110_193144_610.jpg

IMG_20230110_193150_039.jpg

IMG_20230110_193153_265.jpg

IMG_20230110_193158_023.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp


৩ নং ফটোগ্রাফি

এই জায়গার ঝালমুড়িটা গাংনী অন্যান্য ঝালমুড়ি বিক্রেতার থেকে বিখ্যাত। তাই আমি আর মারুফ ইচ্ছেমতো ঝালমুড়ি খাওয়ার চেষ্টা করলাম সন্ধ্যাকালীন। পরশু দিনের বেলায় স্কুল থাকাকালীন খুবই গ্যাসের সমস্যা বোধ করছিলাম তার পরেও যখনই এসেছি ঝালমুড়ি খাওয়ার উদ্দেশ্যে না খেয়ে আর পারলাম না। ঝাল মুড়ি বিক্রেতার প্রস্তুত করা আইটেম দেখে খুব ভালো লাগছিল। দেখেছিলাম উনি ধনেপাতা, কাঁচা ঝাল, পেঁয়াজ, ছোলা সহ বিভিন্ন প্রকার মসলা ও চানাচুর ইত্যাদি দিয়ে ঝালমুড়ি তৈরি করেন। অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল এই ঝালমুড়ি। রাত্রিকালীন আমাদের এই ছোট্ট গাংনী বাজারে এই সেই খাওয়ার জন্য বেড়াতেও বেশ ভালো লাগে। এরপরে সবজি বাজার থেকে গাজর কিনে খেলাম। যেহেতু কাঁচা গাজর খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এভাবেই সুন্দর একটি মুহূর্ত গানে বাজারে পার করেছিলাম।

IMG_20230110_192953_317.jpg

IMG_20230110_191539_042.jpg

IMG_20230110_193232_614.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
Location


received_305654148004402.webp


৪ নং ফটোগ্রাফি

গাংনী বাজার থেকে ফিরতে পথে আমাদের মড়কা বাজার। অর্থাৎ আমাদের গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল, যে স্কুলে আমি চাকরি করি। শুনেছিলাম রাত্রে বেলায় স্কুলের তিনটা বাল্ব জ্বালিয়ে রাখা হয় তাই বেশ ভালো লাগে দেখতে। তাই কিছুটা সময় স্কুলের ফুল বাগানের মধ্যে কাটানোর উদ্দেশ্যেই গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। প্রতিটা দিন দিনের বেলায় সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি আমাদের স্কুল বাগানের। কিন্তু কখনো রাত্রে বেলায় তার সৌন্দর্য কেমন উপভোগ করি নাই। গেট টোপকে স্কুল মাঠে নেমে পড়লাম। চলে গেলাম আমার সেই প্রিয় চেনা ফুলবাগানের নিকটে। যে ফুলবাগান নিজের হাতে আমি আর মুস্তাফিজ তৈরি করেছি। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম ফুলবাগানের পাশে। যেহেতু সেখানে তেমন ভালো লাইটের আলো লাগছিল না তাই ফটোগ্রাফি করি নাই। শুধু ফটোগ্রাফি গুলো করেছি স্কুলের দৃশ্যটা। লক্ষ্য করলাম বেশ ঠান্ডা পড়া শুরু হয়ে গেছে যেহেতু চারপাশে ফসলের মাঠ। তাই ১০-১৫ মিনিট অতিবাহিত করার পর আবার গেট টপকিয়ে বের হয়ে চলে এলাম বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে। তবে স্কুলের যে কোন স্টাফ রাত্রে কালীন স্কুলে আসলে স্কুলের জন্য ভালো। কারণ অন্যান্য মানুষ জানবে স্কুলের শিক্ষকরা বা স্কুলের স্টাফের মধ্যে কেউ রাত্রে কালীন স্কুল দেখার জন্য আসে অর্থাৎ ফুলগাছ নষ্ট করার সুযোগ থাকবে না কারোর। কিছুদিন আগে একজন গেট টোটকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিল এবং মাঠের মাঝখানে বসে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছিল। গেটের বাইরে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে তারা হয়নি ভিতরে প্রবেশ করেছিল আর এভাবেই একেক জন যদি রাতের কালির ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে কে না কে ফুলবাগান নষ্ট করে দিয়ে যেতে পারে। আর এই সমস্ত বিষয়গুলো আমরা খুবই মাথায় রাখার চেষ্টা করি। আশা করি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন সকলে।

IMG_20230110_195452_828.jpg

IMG_20230110_195512_176.jpg

IMG_20230110_195453_882.jpg

IMG_20230110_195554_697.jpg

IMG_20230110_195826_424.jpg

IMG_20230110_195642_791.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স


received_305654148004402.webp

R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png


আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।

💌আমার পরিচয়💌


আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি।




পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

image.png

image.png

আমার পরিচিতিকিছু বিশেষ তথ্য
আমার নাম@sumon09🇧🇩🇧🇩
ফটোগ্রাফি ডিভাইসমোবাইল
ব্লগিং মোবাইলInfinix hot 11s
ক্যামেরাcamera-50mp
আমার বাসামেহেরপুর
আমার বয়স২৬ বছর
আমার ইচ্ছেলাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা

zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই আপনি বেশ ভালো একটি উদ্যেগে নিয়েছেন মারুফ ভাই সহ ৷ আসলে আমাদের সবার উচিত এভাবে করেই জমিতে ভিন্ন ভিন্ন চাষ করা ৷ কারন এখন দ্রব্যমূল্যের দাম ৷
যা হোক সৌরপ্যানল ব্যাটারি নষ্ট হওয়াতে আপনারা বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে গিয়ে অনক ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ ধন্যবাদ ভাই প্রায় অনেকদিন পর আপনি পোষ্ট করলেন ৷ এখনো নিয়মিত হবেন এমনটাই প্রতার্শা ৷

শীতকালীন সবজি শেষের দিকে এবার শুরু হবে বর্ষাকালীন সবজি

দেখেই বোঝা যাচ্ছে গাংনী বাজারে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনার বন্ধুর সঙ্গে। নষ্ট ব্যাটারির যে এত দাম সেটা সত্যিই জানা ছিল না অবশেষে ভালো টাকায় ব্যাটারিটা বিক্রি করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফিও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝলাম সন্ধ্যা কালীন মুহূর্তে সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি লোভনীয় কিছু খাবার খেয়েছেন।

এখন ব্যাটারির খুবই দাম, হোক সেটা নতুন অথবা পুরাতন।

দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি মারুফ ভাইকে নিয়ে খুব সুন্দর সময় পার করলেন। নষ্ট ব্যাটারির দাম শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। ১৯০০ টাকা ব্যাটারিটা বিক্রি করলেন। মনে হয় ওই জায়গাতে ব্যাটারিগুলোর দাম অনেক বেশি। তবে এভাবে ঝাল মুড়িগুলো খেতে আমারও ভালো লাগে। তবে আপনারা দুইজন খুব চমৎকার সময় পার করলেন। সন্ধ্যাবেলা এইরকম সময় কোথাও গেলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত হয়েছিল আমাদের দুজনার