নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৫৯ তম পর্ব

in hive-129948 •  last month 


আজ - সোমবার

১০ অগ্রহায়ণ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম



হাই! বন্ধুরা

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৫৯ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করি।


Screenshot_20241125-115634.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ


নামহাড় কিপটে
রচনাবৃন্দাবন দাস
পরিচালকসালাউদ্দিন লাভলু
অভিনয়েআমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে।
দেশবাংলাদেশ
ভাষাআঞ্চলিক বাংলা
ধরণকমেডি,ড্রামা
পর্বের সংখ্যা১০৫
রিভিউ৫৯ তম পর্ব
দৈর্ঘ্য১৮ মিনিট
প্ল্যাটফর্মইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল


চরিত্রেঃ

  • মোশাররফ করিম (গোল্লা)
  • আমিরুল হক চৌধুরীর (নজর আলী)
  • চঞ্চল চৌধুরী (বহর আলী)
  • বৃন্দাবন দাস (ভূপেন) সহ আরো অনেকে


কাহিনীর সারসংক্ষেপ

হাড় কিপটে নজর আলী তার বড় ছেলের বিয়ে দেওয়ার সম্মতি দিয়েছে শর্তসাপেক্ষে। মেয়ের বাবা যদি পাঁচ বিঘা জমি তার নামে লিখে দেয় তাহলে তার বড় ছেলেকে বিয়ে দিবে। এমন কথা শুনে তার স্ত্রী কমলা বানু খুবই কষ্ট পেলাম। কমলা বানু ভাবতে থাকলো কিভাবে সে চুমকির বাবাকে একথা বলবে। এদিকে গোল্লা তার মামীর কাছে এসে উপস্থিত হলো এবং বিস্তারিত জানতে চাইল। গোল্লার কাছে সবকিছু খুলে বলল। গোল্লা জানে তার মামা এমন কথাই বলবে। কিন্তু গোল্লা সুযোগে রয়েছে কিভাবে মায়ের সম্পত্তি বের করতে হয়। সে তার মামার কাছে গেল। মামাকে কৌশলে ইঙ্গিতে বলতে থাকলো সকালে মামা যেন বাসায় থাকে লোকজন আসবে বাড়িতে। তার মামা বলল কিসের লোকজন আসবে, কাউকে সে তো দাওয়াত করেনি। তখন গোল্লা বলল জমি জায়গার বিষয় নিয়ে লোক ডেকেছে সে। এমন কথা শুনে নজর আলীর জান শুকিয়ে গেল। শুধু পরের জমি লোভ করলে হবে না, তার জমির ভাগও তো দিতে হবে।

Screenshot_20241125-115720.jpg

Screenshot_20241125-115751.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


এদিকে নহর মিয়া মন খারাপ করে শুধু পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু রেশমার দেখা নেই। সে যে রেশমার বাপ তাকে বকা দিয়েছিল তারপর থেকে রেশমা আর তাদের চোখের সামনে আসে না। মনের কষ্ট নিয়ে সে ঘুরে বেড়ায়। এদিকে বড় ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তার বিয়ের কোন নাম গন্ধ নেই। বাবার কাছে বলতে গিয়েছিল কিন্তু তার বাবা বলেছে রেশমার বাবার কাছ থেকে সে তো সবসময় জমি কিনতে আছে তাহলে আর তার জমি জায়গা নিয়ে চিন্তা কি। হঠাৎ পথের মধ্যে মিলনের সাথে দেখা হয়। মনের কষ্টগুলো তার কাছে খুলে বলার চেষ্টা করে। মিলন তাকে মিথ্যা ভাবে রেশমার সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করে দিবে আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সে নহরকে আরো হতাশা সৃষ্টি করে দেয় মিথ্যা বলে। সে রেশমার সাথে কোন দেখাই করেনি কিন্তু বলে যে রেশমা তাকে পাত্তা দিল না। রেশমার মানে অহংকার বেশি সে নহরকে ভালোবাসে না। এমন মন ভাঙতে কথা দিয়ে যেন নহরকে মন থেকে দূরে হেঁটিয়ে দিল।

Screenshot_20241125-115838.jpg

Screenshot_20241125-115926.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


এদিকে নজর আলী এবং তার মেজ ছেলে বহর কৃপণ দুইজনে মিলে যুক্তি করল যে বহিরাগত মানুষগুলো তাদের বাড়ি থেকে তাড়তে হবে। তারা তাদের বাড়িতে বসে খাচ্ছে এবং তাদের উপর ষড়যন্ত্র করছে। এমন সুযোগ তাদের হাড় দেয়া হবে না। বাড়িতে থাকা গোল্লা আর দুলাভাইকে তাড়তে হবে। বহর তাদের ঘরের মধ্য থেকে দুলাভাইয়ের ব্যাগ বের করে এনে গলায় ঝুলিয়ে দিল এবং তাড়াতাড়ি বিদায় হতে বললো। বহরের আচরণ দেখে তার মা খুবই রাগান্বিত হয়ে তাকে ধামকি মারল। দুলাভাইয়ের সাথে কেউ এমন আচরণ করে। তার অধিকার রয়েছে শ্বশুরবাড়িতে আসার এবং থাকার। আর এর মধ্য দিয়ে প্রথম মেয়ের নাম উল্লেখ হল হিরা মতি। হিরামতি জানেনা তার স্বামীর সাথে শুয়োর বাড়ি কেমন আচরণ হয়। সে যদি বিষয়টা জানতে পারে তাহলে আরও বিষয়টা খারাপ দিকে যাবে। তাই বহর এবং তার বাবার ষড়যন্ত্র কাজে আসলো না দুলাভাই থেকে গেল।

Screenshot_20241125-115902.jpg

Screenshot_20241125-115952.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


এদিকে ফজরের মনের মধ্যে অনেক আনন্দ চুমকিকে নিয়ে। খুব শীঘ্রই তাদের বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে গোল্লা তাদের বাড়িতে বরিশালে নিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে বলেছে। আরেক দিকে দুলাভাই বলেছে বরিশালে অতদূর যাওয়ার দরকার নেই তাদের নিজের বাড়িতে বিয়ের ব্যবস্থা করবে। এদিকে কমলা বানু অর্থাৎ ফজরের মা তাদের জন্য দোয়া দিয়ে বলে ডাকতে পাঠিয়েছে চুমকিকে। এমন অবস্থায় ছোট ভাইয়ের মন খারাপ আর মেজো ভাই তো হিংসে করছে। কিন্তু তাদের মনের মধ্যে ফুর্তি আর ফুর্তি। তারা আনন্দের সাথে ছুটে চলছে বাড়ির দিকে।

Screenshot_20241125-120122.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


ব্যক্তিগত মতামত:

আমরা হাড় কিপটে নাটকের ৫৯ তম পর্বে লক্ষ্য করে দেখেছি নজর আলী কৃপণের পরিবার নিয়ে বিস্তারিত অভিনয়। যেখানে নজর আলী রিপনের বড় ছেলে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ বিঘা জমি লিখে নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে জমি জায়গার খবর নেই তার ছেলে আর চুমকি আনন্দ করে বেড়াচ্ছে বিয়ের বিষয় নিয়ে। এদিকে বাহির থেকে আশা তাদের বাড়ির জামাই বোনের ছেলেকে কিভাবে বের করতে হয় সেই নিয়ে মেজ ছেলের সাথে ষড়যন্ত্র। উল্টা দিকে গোল্লা ও চেষ্টায় রয়েছে কিভাবে মামার জমি থেকে ভাগ নেওয়া যায়। এদিকে তার ছোট ছেলে রয়েছে প্রেম বিরহে। বাবা যেমন মেনে নিচ্ছে না প্রেমিকা ও তেমন দেখা করছে না। সবমিলে আমরা তাদের সুন্দর অভিনয় লক্ষ্য করেছি। তবে বলা যায় এই পর্বে অভিনয়ের গুরু হাড় কিপটে নিজেই। তবে এখানে তার বুদ্ধি ফেল হয়ে গেছে। তবুও তার নরম অভিনয় নিয়ে দারুণ চরিত্র দেখিয়েছেন। কিছুটা কমলাবানুর জয়ী লক্ষ্য করা গেছে। তবে আজ পর্যন্ত হারকিপটা নাটকের নজর আলীর মেয়েকে আমরা দেখলাম না। শুধুমাত্র নজর আলীর মেয়ের নাম হিরামতি এটা জানতে পেরেছি। আগামীতে আমরা তার মেয়ের দেখা পাব এমন প্রত্যাশা করি। এছাড়া বড় ছেলের বিয়ের বিষয়টা কোন দিকে যায় সেটা দেখব। তবে প্রত্যেক অভিনেতা তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিকট অভিনয় করে এ কথা সত্য। এই অভিনয় যেমন আমার কাছে খুব ভালো লাগে তেমনি ইউটিউবে লক্ষ্য করে দেখেছি অনেক দর্শক তাদের মতামত পেশ করেছেন নজর আলীর সুন্দর অভিনয় দেখে। তাই সে ক্ষেত্রে বলতে পারি বাংলাদেশের সেরা নাটক গুলোর মধ্যে অন্যতম হার কিপটে নাটক।


ব্যক্তিগত রেটিং:

৮.২৫/১০

নাটকের লিংক


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzpQii6mQVp5A4gDGCDR68W9RxwfgYXDkuSdrT6M7Y7xaaSUX484gjnbdCNf4usUnqiHpgSG4y2v9nUyHY.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

হাড় কিপটে নাটক যতবার দেখি ততবারই দেখতে মন চায়ল। প্রত্যেকের অভিনয় এতটা নিখুত যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। চঞ্চল চৌধুরীর সেই ডায়লগ টা এখনো মনে আছে খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি মেরে দেবো নে খিদা কম লাগবে। হাহাহা আপনি দেখছি ভালই উপভোগ করছেন নাটকটি।

হ্যাঁ ভাই এ সমস্ত কথাগুলো খুবই ভালো লাগে।

25-11-24

Screenshot_20241125-223137.jpg

Screenshot_20241125-223301.jpg

Screenshot_20241125-223711.jpg

দারুন একটি নাটকের রিভিউ আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এর আগের সব কয়টি পর্ব আমি পড়িনি তবে কয়েকটি পর্ব আমার চোখে পড়েছিলো সেগুলো আমি পড়েছি। হাড়কিপটে নাটকটি আসলেই অসাধারণ প্রত্যেকের অভিনয় একেবারে নিখুঁত। মোশারফ করিম এবং চঞ্চল চৌধুরীর কথাগুলো আসলে ভোলার মতো না।নাটক রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

তাদের কথাগুলো খুবই আনন্দদায়ক।

আমার কাছে হাড় কিপটে নাটকের ৫৯ তম পর্বের রিভিউ খুব ভালো লেগেছে পড়তে। পুরো কাহিনীটা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সবার মাঝে তুলে ধরেছেন। প্রত্যেকটা পর্বের মতো এই পর্বের কাহিনীটাও অনেক সুন্দর ছিল। অপেক্ষায় থাকলাম এ নাটকের পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য।

আশা করে নাটকটা দেখবেন ভালো লাগবে

নাটকের রিভিউ যদি পড়া হয়, তাহলে নাটক আর দেখা লাগে না। কারণ রিভিউর মাধ্যমে নাটকের পুরো কাহিনীটা সুন্দরভাবে জেনে নেওয়া যায়। সবাই অল্প সময়ের মধ্যে এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে নাটকের পুরো কাহিনীটা জেনে নিতে পারবে। আশা করছি আপনি এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাবেন। এটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।