কুষ্টিয়া শহর থেকে হনুমানের ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  9 months ago 
আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বেশ কিছু হনুমানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি আশা করি বেশ ভালো লাগবে সুন্দর এই ফটোগুলো এবং বিস্তারিত বর্ণনা পড়ে।

IMG_20240118_120037_1.jpg

ফটোগ্রাফি সমূহ:



দিনটা ছিল বেশ ঠান্ডা। আমার আম্মুকে নিয়েছিলাম অনেক চিন্তিত। মাঝে মধ্যে অসুস্থতার কারণে খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যায় ওনার। তাই কুষ্টিয়া সেফ ড্রাইগনস্টিক সেন্টার এর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম সকাল ভরে। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে রেডি হই তখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল। ঠান্ডার দিনে এমন অবস্থা হতে বের হওয়া বেশ কঠিন কিন্তু কিছু করার নেই পরিস্থিতির শিকার হতে হলে এমনটাই হয়। এরপর মোটামুটি কুষ্টিয়া শহরে পৌঁছে যায়।

IMG_20240202_155923_3.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location



কুষ্টিয়া আমিন বাজারের নিকটে সেফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ পর লক্ষ্য করলাম সামনে ইয়া বড় একটা গরু নীরবে পথ চলছে। তার কিছুটা সামনে তাকাতে লক্ষ্য করলাম বেশ অনেকগুলো কুকুর ঘেউ ঘেউ করছে। চোখের পলক না ফেলতে লক্ষ্য করলাম থেকে চারটা হনুমান এসে উপস্থিত একটি দালানের উপর। আর তাদেরকে দেখতে বেশ অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছে ওই মুহূর্তে। এই মুহূর্তে আমার মাথায় কাজ করলো কিছু ফটো আর ভিডিও ধারণ করি।

IMG_20240118_120934_911.jpg

IMG_20240118_120608_1.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location


অন্যান্য মানুষের মতো আমিও এগিয়ে গেলাম। এরপর সাধ্যমত চেষ্টা করলাম কিছু ফটো ধারণ করতে। ঠিক এখানেই রয়েছে মেরিট একাডেমী। ঐদিন ছাত্র-ছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল এই একাডেমিক ভবনের মধ্যে। লক্ষ্য করলাম অনেক ছাত্র-ছাত্রী এসে উপস্থিত হচ্ছে একের পর এক আর আনন্দ করছে। তবে ওই মুহূর্তে হনুমান গুলোকে দেখে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ফটোগ্রাফি করতে শুরু করলো আমার মত। মনে হল যেন তারা সবকিছু ভুলে হনুমান দেখায় পাগল আর ইচ্ছেমতো কথাবাত্রা আড্ডা দিতে থাকলো।

IMG_20240118_115948_715.jpg

IMG_20240118_120001_6.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location



হনুমান গুলোর উদ্ভট আচরণ দেখে একটু অবাক হতে থাকলাম। অনেকেই তাদের খাবার ছুড়ে মারছে আবার কেউ কেউ আনন্দ প্রকাশ করছে কেউ আবার সেলফি তুলছে ঠিক এমনই সুন্দর দৃশ্য মন রাঙিয়ে তুলল। কিছুটা সময়ের জন্য মনের কষ্ট দূর হয়েছিল আমার যেহেতু আম্মার অসুস্থতা মনটা খুবই খারাপ ছিল। লক্ষ্য করে দেখলাম সিনিয়র জুনিয়র বলে একটা কথা রয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী জুনিয়র তাদের মাঝে বা সামনে দাঁড়িয়ে এভাবে ছবি তোলা ঠিক হচ্ছে না।

IMG_20240118_120031_9.jpg

IMG_20240118_120022_9.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location



এরপর লক্ষ্য করলাম পাশে একটা অফিস আর সেই অফিসের গেটের মধ্যে কয়েকজন লোক আমার মত ভিডিও বা ফটো ধারণ করছে। আমি তাদের নিকটে উপস্থিত হলাম আর সেখান থেকে পুনরায় ফটো ধারণ করলাম। বেশ কিছুটা সময় ধরে অনেকটা আনন্দ করলাম ওই মুহূর্তে। আর ইতোমধ্যে আমার আম্মার রক্ত প্রদান করা হয়েছিল, আর বেশ কয়েকটা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষার মুহূর্তেই এই সুন্দর মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম।

IMG_20240118_120153_8.jpg

IMG_20240118_120617_6.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
location

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শহরের ভিতরে হনুমান দেখলে মানুষের কৌতুহল বেড়ে যায়। যার ফলে ঐখানে ছাত্রছাত্রী সহ সাধারন মানুষের জমায়েত হয়েছে। ফটোগ্রাফি করার সময় যদি হনুমান মোবাইল নিয়ে যেতো তাহলে সবাই পিছনে দৌড় দিতো, হে হে হে। ধন্যবাদ।

সুন্দর একটা আনন্দঘন পরিবেশে সৃষ্টি হতো তাহলে

কুষ্টিয়া শহর থেকে বেশ কয়েকটি হনুমানের ফটোগ্রাফি করে নিয়ে এসেছেন এবং তার মধ্যে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আগেকার দিনে গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রায় হনুমান দেখা যেত। কিন্তু এখন আর খুব একটা হনুমান আমাদের গ্রামাঞ্চলের দিকে আসতে দেখা যায় না।

Posted using SteemPro Mobile

কিছুদিন আগে এসেছিল আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাদিয়াপাড়া তে

ওহ আচ্ছা। হনুমান আসাটা নাকি গ্রামের জন্য ভালো কিন্তু কথাটা কতটুকু সত্যি আমি জানিনা।

প্রথমে আপনার বাবার সুস্থতা কামনা করছি ভাই। উনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। যাইহোক, আসলে ভাই হনুমান আমাদের এখানে খুব কমন। মাঝেমধ্যে তো আমাদের বাড়ির ছাদের উপর এসে বসে থাকে। তবে আমার একটা বিষয় বেশ অবাক লাগলো, যে আপনি এত কাছ থেকে ফটো তুললেন কি করে! ওরা তো কাছে গেলেই চড় মেরে দেয় কিংবা ফোন হাত থেকে কেড়ে নিয়ে চলে যায়🐒🐒। আপনার সাহস আছে মানতে হবে। যদিও হনুমান আমি প্রতিনিয়ত দেখি, এজন্য আমার কাছে খুব বেশি একটা অদ্ভুত লাগছে না। আমি তো এগুলো দেখলে সেখান থেকে এভয়েড করে চলে যাই।

দোয়া করবেন ভাই আমার আম্মাজানের দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তবে যারা দেখতে পায় না তাদের কাছে অদ্ভুত বিষয়টা

অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই আপনার আম্মাজানের জন্য।

তবে যারা দেখতে পায় না তাদের কাছে অদ্ভুত বিষয়টা

ঠিক বলেছেন, নতুন নতুন যারা এমন দেখবে তাদের কাছে বিষয়টা অদ্ভুত তো লাগবেই।

Posted using SteemPro Mobile

প্রথমে ভাইয়া আমার আম্মুর সুস্থতা কামনা করি। কিছুদিন আগে আমি আমার আম্মুকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।আপনার মতে এরকম কখনো সামনে থেকে হনুমান দেখি নাই। আপনি কুষ্টিয়া আমিন বাজারের সামনে যাওয়ার পর হনুমান গুলো দেখেছেন। একটা নয় দুইটা নয় চারটা হনুমান দেখেছেন একসাথে। হয়তোবা অনেকেই হনুমান গুলো দেখে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও করতেছে। তবে অনেকে বলে হনুমান নাকি ছোট বাচ্চা ফেলে তাদেরকে নিয়ে যেতে চাই। যাই হোক খুব সুন্দর করে কুষ্টিয়া শহর থেকে হনুমানের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ অনেকজন ভিডিও ধারণ করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।