হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে আমারও ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছে জাগে দেশের যে কোন প্রান্তে। ঠিক তেমনি ভ্রমণ কাহিনী আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
বাংলাদেশের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। এটা বাংলাদেশের দক্ষিনে অবস্থিত। বিশেষ করে সাতক্ষীরা থেকে শুরু করে খুলনা বিভাগের দীর্ঘ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। আর এই সুন্দর বনে রয়েছে নাম না জানা বিভিন্ন রকমের গাছ ও পশু পাখি। তাই সারা বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এসে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আমরা তিন বন্ধু সুন্দরবন ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছিলাম সাতক্ষীরায় অবস্থান করে। সাতক্ষীরা সদর থেকে সুন্দরবন প্রায় 100 কিলো দূর। এরপরেও আমরা তিন বন্ধু উদ্যোগ নিয়েছিলাম সাতক্ষীরা সদর থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে যাব। রাতে যেমন চিন্তা করলাম সকালে ঠিক সেভাবেই হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে বের হয়ে পড়লাম অচেনা জায়গার উদ্দেশ্যে। দীর্ঘ পথ লোকাল বাসে চড়ে পৌঁছে গেলাম সাতক্ষীরা শ্যামনগরে। এরপর সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম দীর্ঘ নদী।
নদীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে সুন্দরবন। নদীর এই প্রান্তের শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ বাজার। নদী ভ্রমণ নদী পারাপারের জন্য রয়েছে বেশ ফেরিঘাট এছাড়াও রয়েছে বিজিবি সংরক্ষিত এলাকা। আর কিছুটা পথ এগিয়ে গেলে "আকাশ নীলা ইকো ট্যুরিজম পার্ক" আমরা পার্ক ভ্রমণের উদ্দেশ্য করে আসি নাই এসেছিলাম সুন্দরবন ঘুরতে হবে কিন্তু এখানে যে আকাশ নীল আকাশ ট্যুরিজম পার্ক ছাড়াও আরো পার্ক করেছে এটা আমাদের জানা ছিল না। তবে আমরা উপস্থিত হয়ে স্থানীয় একটি দোকানের চা খেয়েছিলাম এবং বিস্তারিত জায়গাটা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। সমবয়সী একটি চায়ের দোকানদার বিস্তারিত আমাদের মাঝে খুলে বলল আর তার কথা অনুসারে আমরাও পথ চলতে থাকলাম তিন বন্ধু মিলে। দেখলাম আকাশলীলা ইকো ট্যুরিজম পার্ক নদীর পাড় ঘেঁষে বিশাল এরিয়া ঘিরে বিজিবি কর্তৃক সংরক্ষিত একটি পার্ক।
আমরা পার্কে প্রবেশ করার পূর্বে ঘাটে কিছুটা সময় কাটালাম। বেশ ভালো লাগছিল, এই নদীর পরে সুন্দরবন। আমরা সুন্দরবন ঘুরতে যাব এটাই সবচেয়ে ভালো লাগা ছিল আমাদের কাছে। নিজেদের কাছে স্বপ্নের মত লাগছিল কোনদিন ভাবিনি হুট করে আমরা সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবনে চলে আসব। তিন বন্ধু রাতের সাতক্ষীরা সদর হোটেল, হাসান হোটেল থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম, আর চলে আসলাম তিন বন্ধুর। যখন উপস্থিত হলাম তখন সত্যি আমাদের কাছে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছিল সেখানে। প্রথমে আমরা তিন বন্ধু মিলে ইচ্ছে মতো করলাম এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন রকমের গাছগুলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করলাম। খেয়াল করে দেখলাম এখানে বেশ জোয়ার ভাটা হয়ে থাকে। স্থানীয় কয়েকজন মানুষের কাছে জানতে পারলাম যখন জোয়ারের পানি নেমে যায় তখন নৌকা গুলো চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে তাই জোয়ারের পানির আশায় অপেক্ষা করে। আমরা লক্ষ্য করে দেখলাম দীর্ঘ ৩০-৪০ গজ পর্যন্ত দূর দূরে পানি উঠে চলে যায় যখন জ্বর আসে। আর সে সমস্ত জায়গা গুলো কাঁদায় পরিণত হয়ে থাকে। কিছু কিছু গাছ রয়েছে যেগুলো মানুষের চেয়েও উঁচা কিন্তু জোয়ার পানিতে সেগুলোও পানির নিচে চলে যায়।
আমরা কিছুক্ষণ ঘাটের দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করলাম এবং নদীর সৌন্দর্য দেখতে থাকলাম। সুন্দরবনের পাশ ঘেষে দীর্ঘ এই নদীটা যেন সাপের মতো আঁকাবাঁকা ভাবে চলে গেছে পূর্ব-পশ্চিমে ও কিছুটা উত্তর দক্ষিনে। নদীতে মাঝেমধ্যে লক্ষ্য করে দেখলাম ছোট ছোট নৌকা এস্তেমার ভেসে বেড়াচ্ছে এদিক থেকে ওদিকে ছুটে চলছে। এরই মধ্যে আমার বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নিল চলো আমরা একটু নৌকা ভ্রমণ করি। এরপরে সিদ্ধান্ত হলো সুন্দরবনের ভিতরে প্রবেশ করব যতদূর নৌকার মাঝে নিয়ে যায়। প্রথম অবস্থায় একটু ভাই ভাই তারপরে আবার ভালোলাগা কাজ করছিল। কারণ এখানে তো মানুষজন চলছে ভয়ের কি আছে। তাই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা আগে পার্কের মধ্যে প্রবেশ করব। আকাশলীলা একো ট্যুরিজম পার্ক এর মেন গেটে যেতে হলে প্রায় ১৫ মিনিট হাটা লাগবে। তারপর সেখানে প্রবেশ করে ওখান থেকে নৌকায় চড়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করব। আর এভাবে আমরা ঘাট থেকে পার্কের দিকে অগ্রসর হই।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
What3words location | Satkhira sundarban |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
04-12-24
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা গেলো চমৎকার সময় উপভোগ করেছেন। শ্যামনগর সুন্দরবন দেখতে তো অনেক সুন্দর ভাই। সময় সুযোগ হলে অবশ্যই একদিন যাবো ইনশাআল্লাহ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ এটা অনেক সুন্দর জায়গা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit