নর্থ সিকিম ভ্রমণ পর্ব -১

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।অনেক দিন পর আজ এই পোস্টটা করতে চলেছি। আজকে আমি আমার নর্থ সিকিম ভ্রমণের সুন্দর সুন্দর অনেক গল্প এবং মুহুর্ত আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো বেশ কয়েকটি পর্ব নিয়ে। চলুন তাহলে আজকের প্রথম পর্বটি শুরু করা যাক ।


লাস্ট তিন চার বছর ধরে খ্রিস্ট মাসের ছুটিতে আমাদের পরিবারের সবাই মিলে কোথাও না কোথাও ঘোরার প্ল্যান হয় । লাস্ট তিন চার বছর বললে ভুল হবে এই তিন চার বছর ধরে সমুদ্র বাদে অন্য কোথাও ঘোরার প্ল্যান হচ্ছে। কিন্তু এর আগে আমি সত্যি বলতে পুরি ছাড়া সেই ভাবে কোথাও যায়নি। যে যে জায়গায় টিকিট কেটেছিলাম ঘোরার জন্য সেই জায়গা কোনো না কোনো ভাবে পরীক্ষার জন্য বাধা পেয়েছি। আর যেহেতু পরীক্ষা ফেলে ঘোরা সম্ভব নয় তাই আমার টিকিট ক্যানসেল করতে হয়েছে প্রত্যেকবার। প্রত্যেকবারই তাই অনেক বড় বড় টুর মিস করে গেছি ।আমি একাই মিস করেছি সেই ক্ষেত্রে আমার মা-বাবা গিয়েছিল বাধ্য হয়ে একপ্রকার। আর এদিকে আমি আর বোন এরকম বহু বার একা থেকেছি। আর যেহেতু একসাথেই থাকি সবাই তাই আমাদের একা থাকতেও কখনো কোনো সমস্যা হয়নি ।

WhatsApp Image 2023-03-14 at 12.16.52 AM.jpeg

কিন্তু লাস্ট বছর এরকম দিন আসেনি কারণ মোটামুটি আমার পড়াশোনার লাইফটা কিছুটা হলেও শেষ। তাই একটু ফ্রি ছিলাম বলতে গেলে। ডিসেম্বরে খ্রিস্ট মাসের মাসের ছুটিতে আমরা প্ল্যান করেছিলাম যে কেরালা যাবো। কিন্তু কেরালা যাওয়ার ট্যুর ১৭-১৮ দিন থাকায় সেটা ক্যান্সেল করে নর্থ সিকিম ঘোরার প্ল্যান করি। এই সিকিম যাওয়ার জন্য মোটামুটি তিন মাস আগে টিকিট কেটে রেখেছিলাম ।খুব এক্সাইটেড ছিলাম ,প্রথমবার পাহাড় দেখবো বলে মানে এই এক্সাইটমেন্ট হয়তো মুখে বলে বোঝাতে পারবো না ।কারণ আমি প্রথমবার শুধু পাহাড় দেখব না প্রথমবার বরফও দেখবো। যেটা আমার কল্পনাতিত ছিল কারণ কিছু প্রকৃতির দৃশ্য এমন আছে যা কোনোদিন চোখে না দেখলে সেটা ফিল করা সম্ভব নয় ।আর তেমনি আমি কিছু মুহূর্ত দেখেছি যা আপনাদের সাথে আজকে ভাগ করে নেবো আসতে আসতে।

WhatsApp Image 2023-03-14 at 12.16.52 AM (1).jpeg


আমাদের ঘোরার জার্নি শুরু হয় ২৬ শে ডিসেম্বর থেকে। ঘোরার তিনদিন আগে থেকে ভীষণ জ্বর সর্দি কাশি হয়ে যায় তাই স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল ছিলাম ।কিন্তু অদ্ভুতভাবে যখন ২৬ শে ডিসেম্বর আমরা ট্রেনে উঠি কখন থেকে ঠান্ডা লাগাটা কমে যায় । কিন্তু সেই দিন ভোর সাড়ে পাঁচটা ট্রেন ধরেছিলাম। বুঝতেই পারছেন শীতকালের সাড়ে পাঁচটা মানে কতটা ভোরেই আমাদের বেরোতে হয়েছিল। আমাদের প্রথমে গন্তব্যস্থল ছিল নিউ জলপাইগুড়ি ।আমাদের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে নামার সময় ছিল সন্ধ্যে সাড়ে ছটা । প্রায় ১২ ঘণ্টার জার্নি ছিল। তাও আমাদের সময়টা অনেক তাড়াতাড়ি কেটে গিয়েছিল গল্প করতে করতে, খাওয়া-দাওয়া করতে ,তার সাথে ট্রেনের বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে। কিভাবে যে ট্রেনের সময়টা চলে গেছিল নিজেও বুঝিনি। ট্রেনে যাওয়ার কিন্তু একটা আলাদা মজা রয়েছে যেটা প্লেনে গেলে হয় না। কিছুই দেখা যায় না বাইরে থেকে🤭ট্রেনে গেলে কিন্তু প্রাকৃতিক অনেক দৃশ্য দেখা যায় তাছাড়া নানান রকম বাঁধ ও দেখা যায়। যাইহোক এক ঘণ্টার ট্রেন লেটে আমরা সাড়ে সাতটার সময় ট্রেন থেকে নামি ।


WhatsApp Image 2023-03-14 at 12.22.44 AM (1).jpeg

WhatsApp Image 2023-03-14 at 12.22.44 AM.jpeg

ফারাক্কা বাঁধ



ট্রেন থেকে নেমেই নিউ জলপাইগুড়িতে হোটেল বুক করে সেই রাতটা সেখানেই কাটাই ।ট্রেনে উঠার সময় কলকাতার যতটা গরম পেয়েছি ,যখন আমরা নিউ জলপাইগুড়ি নেমেছিলাম হাড় কাপানো সেদিন ঠান্ডা ছিল। ভালো করে বুঝতে পারছিলাম যে নর্থ সিকিমে কেমন কনকনে ঠান্ডা হবে। তারপরের দিনই ভোর ভোর গ্যাংটক বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ।সেই হিসেবেই আমরা ভোর চারটের সময় উঠে যাই এবং গ্যাংটকের দিকে যাত্রা শুরু করি । আজ আপাতত নিউ জলপাইগুড়ির গল্পটাই থাক ।এর পর দিন গ্যাংটকে কেমন কাটালাম তার কিছু মুহূর্ত আমি পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব ।

WhatsApp Image 2023-03-14 at 12.19.31 AM.jpeg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার কাছে ভ্রমন কাহিনী মানে দারুন কিছু। আপনার নর্থ সিকিম ভ্রমণ পর্ব পড়ছিলাম আর কোথাও বেরিয়ে পরার ইচ্ছে জাগছিলো মনে। যাক এবার ভ্রমনের আগে কিছুটা জ্বর হলেও বেরিয়ে পরেছেন পরিবারের সাথে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ট্রেন জার্নি সত্যিই দারুন কারন বাইরের প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ দেখা যায়। যাক আপনারা নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এসেছেন, সামনে পর্বটা দারুন হতে চলেছে। ধন্যবাদ দিদি চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য।

কিছু প্রকৃতির দৃশ্য এমন আছে যা কোনোদিন না দেখলে সেটা ফিল করা সম্ভব নয়

দিদি একদম সত্যি কথা বলেছেন, এমন কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য আছে যা স্বচক্ষে না দেখলে হয়তো কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আর তাইতো নর্থ সিকিম ভ্রমণ আপনার খুব আনন্দ উপভোগেই কেটেছে। বিশেষ করে শীতের সকালে ট্রেন জার্নি তাও আবার ১২ ঘন্টা, প্রথমবার পাহাড় দেখা সেই সাথে প্রথমবার বরফও দেখা।আর প্রথমবার এই দৃশ্যগুলো স্বচক্ষে দেখতে পেয়ে আপনার কতটা ভালো লেগেছে তাই উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি। যাই হোক দিদি, নর্থ সিকিম ভ্রমণ পর্ব ১ পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। তাই পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপু আপনার নর্থ সিকিমে যাওয়ার গল্পটা পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। প্রথমে আপনারা জলপাইগুড়িতে নেমেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে কুয়াশায় সব অন্ধকার হয়ে আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ওখানে এখনো খুব ঠান্ডা। যাক এবারে যে ঘুরতে যেতে পেরেছেন পরীক্ষার জন্য আর বাধা পড়েনি সেটাই অনেক খুশির ব্যাপার। সবাই মিলে খুব ভালোই আনন্দ করেছেন আপনার নার্থ সিকিম ভ্রমণের পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টগুলো পড়তে আমার কাছে দারুন লাগে। যখন পোস্টগুলো পড়ি তখন মনে হয় আমিও সেই জায়গাটাতে ঘুরতে চলে গিয়েছি। আপনার বর্ণনা থেকে আমি মজাটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দিদি।