উত্তর সিকিমের এলোমেলো ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আমরা খ্রিস্টমাসের দিকে নর্থ সিকিম ঘুরতে গিয়েছিলাম । শীতকালে নর্থ সিকিম ঘোরা কিন্তু মুখের কথা নয়।এই কারণে বললাম ওই জায়গায় শীতকালে অসম্ভব ঠান্ডা থাকে। আর সেই ঠাণ্ডার মধ্যে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম । কারণ বরফ দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। বরফ হয়তো অন্যান্য সময়েও দেখা যায় ।কিন্তু ওই সময় বরফ দেখার মজা একদমই আলাদা ।আমরা প্রথমে গ্যাংটক এ গিয়েছিলাম,তারপর গ্যাংটক থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে সেখান থেকে ৮ ঘণ্টা পর লাচুং এসে পৌঁছে ছিলাম । যত উপরের দিকে উঠছিলাম তত যেন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা লাগছিল ।যেহেতু আমরা গাড়ির ভিতর ছিলাম সত্যি বলতে একেবারেই বুঝতে পারিনি। কিন্তু যখন লাচুং এসে পৌঁছেছিলাম কি পরিমান ঠান্ডা বলে বোঝাতে পারবো না ।তখন ওখানের টেম্পারেচার ছিল -4° । জলে হাত দিলে মনে হচ্ছিল হাত কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থাতেই সেই রাতটা ঘুমিয়ে আবার না ঘুমিয়েও বলা যেতে পারে ,ভোর রাতে চারটের সময় উঠে লাচুং এর সাইট সিন অর্থাৎ কালাপাথার দেখতে গিয়েছিলাম। ওই জায়গায় যখন গিয়েছিলাম একটা সময় মনে হচ্ছিল দম আটকে আসছিল ।এই পরিমাণ ঠান্ডা ছিল ।বরফের সাদা পোশাকে আবৃত ছিল রাস্তা থেকে শুরু করে গাছপালা।মনে হচ্ছিল কোনো তুষার সাম্রাজ্যেই এসে পড়েছি। উঁচু পাহাড়ের সারি, উপত্যকা, রাস্তাঘাট— সবই সে সময় ঢাকা থাকে পুরু বরফের আস্তরণে। তাও আমার বরফ দেখে ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছিল। এই রকম বরফ দেখার সুযোগ আর হয়তো হবেনা ,এই কারণেই বলছি কারণ শীতকালে শীতের জায়গায় যাওয়াটা খুবই কষ্টের বলে আমার মনে হয়েছিল। কিন্তু ভীষণ মজা করেছিলাম ।তাই ওখানেরই কিছু ছবি আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।আশা করি সকলের ভালো লাগবে ।


আলোকচিত্র: ১

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.29.04 PM.jpeg


আলোকচিত্র: ২

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.29.05 PM.jpeg


আলোকচিত্র: ৩

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.29.02 PM.jpeg


আলোকচিত্র: ৪

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.33.16 PM.jpeg


আলোকচিত্র: ৫

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.29.03 PM (1).jpeg


আলোকচিত্র: ৬

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.29.03 PM.jpeg


আলোকচিত্র: ৭

WhatsApp Image 2023-02-27 at 11.40.10 PM.jpeg


ডিভাইসredmi note9
লোকেশনউত্তর সিকিম
ক্রেডিট@swagata21

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অসাধারন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য।তবে মাইনাস চার ডিগ্রী বাপরে।জমে যাও নি এটাই অনেক। তবে দারুণ ছিলো।💖

আমার অবস্থা কি হয়েছিল আমিই জানি। তুমি আর কি বুঝবে 🥹

সাথে যদি নিতে বুঝতাম তাহলে।

এটা পারলে বলতে ,এই সময় কোথায় ছিলে তুমি 😏

দাদার দুঃখটা দিদি বুঝতে পারলো না। হা হা হা

দাদার আর দুঃখ। নিজেই ওই সময়টা কলকাতার বাইরে ছিল🥺

বরফের সাদা দৃশ্য সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।-৪ ডিগ্রি আবহাওয়া পানি তো ঠান্ডা থাকবেই। সুন্দর সময় শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি।

দিদি টেম্পারেচার ছিল -4°। শুনেই কেমন জানি লাগছে। তবে ফটো গুলো দেখে মন হারিয়ে যাওয়ার মত। এত সুন্দর প্রাকৃতিক সুন্দর্য কবে যে দেখতে পারবো সৃষ্টিকর্তাই জানে। সব মিলিয়ে আপনার ভ্রমনটা ধারুন হয়েছে। ধন্যবাদ দিদি।

দিদি আপনি উত্তর সিকিমের কিছু ফটোগ্রাফি ডিসকর্ডে মনে হয় দিয়েছিলেন! আমি ভাবছি -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রায় কিভাবে ঠিকে ছিলেন! -ডিগ্রি মানেই হিমাঙ্কের নিচে টেম্পারেচার! এমন ওয়েদারে আমি গেলে তো আগেই দম বন্ধ হয়ে যাবে! আপনার মাধ্যমে সিকিমের কিছু ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হলো আমাদের!

দিদি, মাইনাস ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা শুনেই তো আমার এক্ষুনি ঠান্ডা লাগতে শুরু করেছে। আর আপনারা সেই মাইনাস ৪ ডিগ্রি সময়টুকু উপভোগ করেছেন। এমত অবস্থায় আপনাদের কতটা ঠান্ডা লাগতে পারে তা বেশ বুঝতে পারছি। দিদি যতটা কষ্ট হয়েছে তার চেয়ে বেশি মজা করতে পেরেছেন, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। উত্তর সিকিমের বরফে ঢাকা প্রাকৃতিক পরিবেশ সত্যিই দেখার মত। খুবই ভালো লাগলো কুয়াশায় ঘেরা, বরফে ঢাকা উত্তর সিকিমের এলোমেলো ফটোগ্রাফি। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শীতকালে নর্থ সিকিম ঘুরতে যাওয়া খুব কষ্টের।তখন প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছি। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।

এই জায়গাটাতে ঘুরতে যাওয়া অনেক দিনের শখ আমার। গত কয়েকদিন আগে আমার কয়েকজন বন্ধু সেখান থেকে ঘুরেও এসেছে। ওদের সাথে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ঝামেলার কারণে আর যেতে পারিনি। তবে আপনি গিয়েছিলেন একেবারে পারফেক্ট সময়ে। যদিও -৪° ডিগ্রি তাপমাত্রার কথা শুনে আমার উৎসাহে কিছুটা ভাটা পড়েছে। কারণ এই পরিমাণ ঠান্ডা আমি সহ্য করতে পারব বলে মনে হয় না। তবে সত্যিকারই বলেছেন আসলেই ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে বরফের সাম্রাজ্য। এমন সুন্দর জায়গায় গিয়ে নিশ্চয় দারুন মজা করেছেন। দারুন ছিল মুহূর্তগুলো। ধন্যবাদ দিদি।

প্রথমত দাদা একটাই কথা বলব ডিসেম্বর মাসটা নর্থ সিকিম যাওয়ার জন্য একদমই পারফেক্ট সময় নয় ।আমাদের যাওয়ার কথা ছিল অন্য জায়গায় যেহেতু সেটা ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছিল তাই এই জায়গাটা সিলেক্ট করেছিলাম ।আর এই নর্থ সিকিম যাওয়ার জন্য সবথেকে বেস্ট সময় হচ্ছে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ওই সময়টা তেও বরফ দেখা যায়।আর খুব ভালোও লাগবে ওই সময় গেলে । আর ডিসেম্বর মাসের এই ঠান্ডাটা সহ্য করার মতো থাকে না। কিন্তু যেহেতু আগে কখনো এভাবে বরফ দেখা হয়নি সেই হিসাবে খুবই ভালো লেগেছিল ।

দিদি আমার কাছে পারফেক্ট মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে। আমার বন্ধুরা ৩-৪ দিন আগে সিকিমের কিছু ছবি শেয়ার করেছে। আপনি যে ছবিগুলো শেয়ার করেছেন আমার বন্ধুদের শেয়ার করা ছবিগুলো অতোটা সুন্দর লাগছে না। কারণ বরফের পরিমাণ অনেক কম মনে হচ্ছে। এ কারণেই আমি আপনার সময়টাকে পারফেক্ট বলেছি। যদিও আপনি যখন গিয়েছেন তখন মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা ছিল। কিন্তু আমার মনে হয় এই সমস্ত জায়গাতে যখন ঠান্ডা বেশি থাকে। তখন এই জায়গা গুলোর সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। আপনার ছবিগুলো দেখে আসলেই মনে হচ্ছিলো বরফ রাজ্য। আপনার ছবিগুলো দেখার পর আমার যাওয়ার আগ্রহ আরো বেড়ে গিয়েছে।

-4° তাপমাত্রা ভাবতেই তো ভয় লাগছে দিদি। এই বরফ ঢাকা জায়গাগুলো দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগে। তবে ঠান্ডা কিন্তু খুবই বেশি। একদিকে চলাফেরা করা যেমন কষ্টের অন্যদিকে অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মন ভালো হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো দিদি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন।

উত্তর সিকিমের এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হলাম ।এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করা জন্য ধন্যবাদ আপু। বরফের সাদা দৃশ্য সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার। প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।

তাপমাত্রা অনুভূতিটা পড়ার পরে যেন কেমন একটা অনুভব করছি। তবে যাই হোক নতুন একটা স্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম আপনার আজকের এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। হয়তো জীবনে কখনো এই স্থানে যেতে পারব কিনা তবে প্রিয় মানুষগুলো যখন নতুন নতুন স্থান আমাদের মাঝে তুলে ধরে তখন আমার খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।