নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত একটি পর্বে আমি নিউ জলপাইগুড়িতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলাম ।আজকে আমি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটকে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
২৬ ডিসেম্বর নিউ জলপাইগুড়িতেই রাতটা কাটিয়েছিলাম। ২৭ তারিখ ভোর চারটের সময় উঠে রেডি হয়ে গ্যাংটকের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটকের দূরত্ব মোটামুটি সাড়ে চার ঘন্টা মতো। তাছাড়াও চারটের সময় উঠে রেডি হলেও গাড়ি ছেড়েছে ৫:৫০ মতো। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটক বলতে গেলে অনেকটাই উঁচুতে। যত উপরের দিকে উঠছিলাম তত প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগছিল। অনেকে বলে গাড়ি যখন রাউন্ড করে উপরের দিকে উঠে তখন অনেকেরই একটু মাথা ঘুরায় ।যাদের অভ্যাস থাকে না, আমারও অভ্যাস একেবারে নেই বললেই চলেছিল কিন্তু সেরকম কোনো অসুবিধা হয়নি। যত উপরের দিকে উঠছিলাম পাহাড়গুলো তত ভালো করে দেখতে পাচ্ছিলাম এবং সব থেকে ভালো লেগেছিল যখন তিস্তা নদীর সামনে দিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল।তখনও সূর্য সেরকম ভাবে ওঠেনি চারিদিকটা কুয়াশা ছিল। বিশেষণ সুন্দর লাগছিল চারিপাশটা।
আর মাঝখানে আরো অনেকটা রাস্তা যখন পেরিয়েছি তখন চোখ খুলে রাখতে আর পারিনি কারণ হালকা আমার মাথাটা ঘুরছিল বলে। তাছাড়া ও ব্রেকফাস্ট করার জন্য একটুখানি থামতে হয়েছিল আমাদের।ব্রেকফাস্ট করতে মোটামুটি ৩০ মিনিটের মত লেগেছিল ।আবার গাড়িতে উঠে সাড়ে দশটা নাগাদ গ্যাংটক এসে পৌঁছেছিলাম ।যখন গ্যাংটক এসে এসেছি ,এ কথাটা না বলে থাকতে পারছি না বিভৎস রকম ঠান্ডা মানে সহ্য করার বাইরে ছিল। কারণ আপনারা অনেকেই জানেন কলকাতায় ঠান্ডা কিন্তু তেমন পড়ে না কিন্তু গ্যাংটক এসে যে আমরা এতটাও ঠান্ডা পাবো বুঝতে পারিনি। কারণ নর্থ সিকিমে ঠান্ডা থাকবে সেটা আমরা জানতাম কিন্তু গ্যাংটকেও যে এতটা ঠান্ডা থাকবে মানে ভাবতেই পারছিলাম না। আর আমাদের রুমভিউটা ভীষণ সুন্দর ছিল ।কিন্তু সূর্য না ওঠায় আরো বেশি ঠান্ডা ছিল।
তবে যাই হোক হোটেলে এসে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে এম জি মার্গে ঘুরতে বেরোলাম । এছাড়া সেদিন আর সাইড সিন কিছু দেখার মত আমাদের সময় ছিল না। অলরেডি দুপুর গড়িয়ে গেছিল।আর এই মার্কেটটা ভীষণ সুন্দর ,ভীষণ সাজানো। তার কিছু ছবি আজকে ভাগ করে নিচ্ছি ।আর সেই দিনটা আমরা এম জি মার্গেই ঘুরেছিলাম। গ্যাংটকে ঘুরতে এসে এখানকার স্পেশাল খাবার হচ্ছে মোমো। তাই সেদিনকে আমরা মার্কেটে গিয়ে মোমো খেয়েছিলাম তার সাথে থাই স্যুপ ছিল।এবং কিছু কেনাকাটি করেছিলাম । সেই দিনটা আমরা গ্যাংটক এ এভাবেই সময়টা কাটিয়েছিলাম। আর তারপরের দিন আমাদের লাচুং যাওয়ার কথা ছিল এর পরবর্তী পর্বে লাচুং যাওয়ার মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নর্থ সিকিম ভ্রমণের কথাগুলো অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। বিশেষ করে গ্যাংটক জায়গাটি যে ভীষণ ঠান্ডা সেটা আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।গ্যাংটকের স্পেশাল খাবার যে মোমো এটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর আপনার ভ্রমণকৃত এলাকার অতি চমৎকার এবং অসাধারণ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নর্থ সিকিম ভ্রমণের এবারের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ঠান্ডার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। তাইতো সূর্যি মামার দেখা মেলেনি। মাঝে মাঝে প্রকৃতি নতুন রূপ ধারণ করে। আর প্রকৃতির সেই নতুন রূপ দেখতে অনেক ভালো লাগে। আর কোথাও ঘুরতে গেলে সেই স্থানের জনপ্রিয় কিছু খাবার থাকে। গ্যাংটকের স্পেশাল খাবার মোমো জেনে ভালো লাগলো। আর স্পেশাল খাবারগুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। কারন সেই খাবার গুলোর মাঝে আলাদা রকমের টেস্ট থাকে। ভালো লাগলো দিদি আপনার পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি আমাদের হয়তো সিকিম কখনো ভ্রমণ করা সম্ভব হবে না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সিকিমে অনেক ঠান্ডা সেটা আমি দাদার পর্ব করে জানতে পেরেছিলাম। আজকে আপনার পর্ব পরেও সেটা অনুভব করতে পারলাম। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সিকিমের এবং গ্যাংটকের অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পারলাম। বিশেষ করে পাহাড়ি রাস্তাগুলো দেখে আমার মন ছুঁয়ে গেছে। ধন্যবাদ দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit