নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে রবিবারে বেরোনোর কিছু মুহূর্ত ভাগ করার নিলাম।
রবিবার যেহেতু ছুটির একটি দিন তাই আমার মাঝে মাঝেই সেই দিনটি ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করে। এটা আমি আগেও বলেছিলাম ।অনেকদিন একটা চিন্তার মধ্যে ছিলাম এখন সেখান থেকে অনেকটাই হালকা আছি। আশা করা যায় সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে ।এইজন্যেই রবিবার দিনকে আমি একটু বেরিয়েছিলাম ।প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না বেরিয়ে কোথায় যাওয়া যায় কারণ আগে থেকে ঠিক করা ছিল না। তো ভাবলাম প্রিন্সেপ ঘাটের দিকে যাই তাই প্রিন্সেপ ঘাটে গিয়েছিলাম। যখন কোথাও ঘোরার জায়গা বুঝতে পারিনা তখন মাঝেমাঝেই গঙ্গার ঘাটের দিকে ঘুরতে যাই। বাগবাজার আমার বাড়ি থেকে খুবই কাছে কিন্তু যেহেতু ওখানে সবসময় যাই তাই এইবার বাগবাজার যায়নি।ভেবেছিলাম ওখানে কিছুক্ষণ বসে গল্প করা যাবে। যেহেতু রবিবার দিন মে দিবস ছিল তার মধ্যে রবিবারও ছিল। সেহেতু প্রিন্সেপ ঘাটে প্রচুর ভিড় ছিল ।সচরাচর এতটা ভিড় এর আগে কখনো দেখিনি। কিন্তু এইবার খুবই ভিড় ছিল । আর সেই দিনকে একটুও হাওয়া ছিল না। তার মধ্যে ভ্যাপসা গরম। আর ভিড় ।সবমিলিয়ে ১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারলাম না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেড়িয়ে গেলাম সেখান থেকে। প্রিন্সেপ ঘাট থেকে কিছুটা দূরত্বেই নন্দন । ভাবলাম ওখানে গিয়ে বসবো। কিন্তু নন্দনে যাওয়ার পর দেখতে পেলাম ওখানে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল চলছিল ,তার জন্য আরও ভিড়।বলতে গেলে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে কয়েকগুণ বেশি ভিড় ছিল।তাই জন্য নন্দনে ঢুকতে পারলাম না😟।
নন্দন থেকেই কিছুটা দূরে এসপ্ল্যানেড ।যেখান থেকে আমি মাঝেমধ্যে শপিং করি। তাই ভাবলাম শপিং করা যেতে পারে। কিন্তু এসপ্ল্যানেডে ঢোকার পর বুঝলাম এখানে আর ও ভিড়। সবাই কেনাকাটা করতে ব্যস্ত। তার দুদিন পর ঈদ ছিল তাই জন্য অনেকেই কেনাকাটা করার জন্য এসপ্ল্যানেড এসেছিল ।ওখানে এক পা ও হাঁটার জায়গা ছিল না । এই ভিড়ের মধ্যে দিয়েবেড়িয়ে পড়তেপারতাম, যেহেতু বোন এসেছিল তার একটা ড্রেসের দরকার ছিল। তার পরের দিনই তাকে কলেজে যেতে হতো আর ওই ড্রেসটা ওকে নিয়ে যেতে হতো হোস্টেলে। ওর জন্যই শপিং করার খুব দরকার ছিল ।তাই ভিড়ের মধ্যেই কেনাকাটা করতে হল। তো জামা কাপড় কেনার পর আরো কিছু কিনবো ভেবেছিলাম ।কিন্তু রাস্তাঘাটের যা অবস্থা ছিল ওই ভিড়ের মধ্যে পুরো এনার্জিটা চলে গেছিল তাই আর কিছু কিনতে পারলাম না ।
যেমন এনার্জি চলে গেছিল ,তেমন সময়টা ও অনেকটা পেরিয়ে গেছিল। দুমিনিটের রাস্তা যেতে ১০ মিনিট লেগে যাচ্ছিল এতে করে অনেকটাই সময় লেগে যাচ্ছিল। তাই ভাবলাম কোথাও না ঘুরে কিছু খেয়ে নেওয়াটাই ভালো।তাই জন্য সবার শেষে বার্গার কিং এ ঢুকলাম ।খাবার অর্ডার করলাম ।একমাত্র এই জায়গাটাই ছিল যে একটুখানি ফাঁকা ছিল। তাই খাওয়া-দাওয়া করে কিছুক্ষন গল্প করে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম। এরপর এসপ্ল্যানেড থেকে বেরোতেও সময় লেগে গিয়েছিল।কারণ কোনোভাবেই ওখান থেকে বেরোনো যাচ্ছিল না এত ভিড় ছিল।
একটা কথাই মনে হচ্ছিল কেন যে আমি সেদিনকে বেরিয়েছিলাম 🤭। সেদিন যেখানে গিয়েছিলাম সেখানেই ভিড়😟।যাইহোক এক দিকে ভালোও লেগেছিল যে দু তিন জায়গায় ঘুরে দেখতে পারলাম। খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো।
আসলে গরমের দিন কোথাও শান্তি নেই, যেখানে যায় না কেন শরীর ঘামে ভিজে যায়। আর আপনাদের ওখানে রবিবার ছুটির দিন সেটা আমার জানা ছিল না। অবশ্য আমাদের বাংলাদেশের শুক্রবার ছুটির দিন। যাই হোক সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার এত সুন্দর পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যেখানেই যায় সেখানেই ভীড় আফসোস😴। আসলেই একেবারে ঠিক বলেছেন ভীড় তো আমার কাছে বিরক্তির একটা কারণ। বিশেষ করে পূজা ঈদ এইরকম উৎসবের সময় ভীড় যেন অতিরিক্ত হয়। ঈদ মোবারক লেখা নির্মিত ঐ টাওয়ার টা দারুণ লাগছে। যাইহোক এখান থেকে সেখান করে রবিবার টা মোটামুটি ভালো কাটিয়েছেন।।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছুটির দিন ছুটিকে ভিন্নভাবে উপভোগ করতে আমার কাছে বেশ লাগে দিদি, সত্যি বলতে আমি চেষ্টা করি ছুটির দিনগুলোকে ভিন্নভাবে উপভোগ করার। তবে এটা সত্য মাঝে মাঝে চেষ্টাগুলো বিফলে চলে যায়, সময়গুলো আরো বেশী যন্ত্রণাদায়ক মনে হয় অতিরিক্ত ভীড় কিংবা জ্যামের কারণে। ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ছিলো। শেষের খাবারের দৃশ্যগুলো কিন্তু লোভনীয় ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit