পুরী ভ্রমণ (দ্বিতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  10 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত পর্বে আমি পুরীতে যাওয়ার কথা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পুরীতে যাওয়ার পর দিনের বেলা কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।



সকাল বেলায় ব্রেকফাস্ট করে আমরা স্নানের জন্য রেডি হয়ে সমুদ্রে চলে আসলাম। সেখানে এসে সকলে একসাথে স্নান করা থেকে শুরু করে অনেক হইহুল্লার আনন্দ করলাম। আর জলের মধ্যে সমুদ্র সৈকতে ভীষণ মজা । সমুদ্রে আনন্দ করার কোনো বয়স থাকে না। সত্যি বলতে গেলে বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই কিন্তু সমুদ্রে আসলে খুব আনন্দ করে। যেহেতু আমরা পরিবারের এতজন মিলে গিয়েছিলাম তাই আমরাও ভীষণ মজা করেছিলাম।

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.44 (1).jpeg

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.43 (2).jpeg

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.44.jpeg

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.22.12.jpeg


দেড় ঘন্টা থাকার পর হোটেলে ফিরে একসাথে লাঞ্চ করলাম । তারপরেই বিকেল বেলার সমুদ্র সৈকত দেখতে বেরোলাম এবং সেখানে গিয়ে সামুদ্রিক মাছ ,কাঁকড়া খেয়ে ছিলাম । বিকেলবেলার সমুদ্রের গর্জন যেন ভীষণ সুন্দর লাগে ।তাই আমরা প্রায় এক ঘন্টা মত বসে ছিলাম এবং সবার সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম ।বিচের সামনে অনেক বড় মার্কেট বসে, যেখানে ঝিনুকের তৈরি অনেক রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায় এবং পুরীতে আসলেই সেই সকল জিনিস সবাই কিনে নিয়ে যায়। তাছাড়া পুরী বিখ্যাত যেহেতু জগন্নাথ মন্দিরের জন্য তাই জগন্নাথের মূর্তি এখানে আসলে প্রত্যেক মানুষ কিনবেই।

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.42.jpeg

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.42 (2).jpeg

WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.42 (1).jpeg

তারমধ্যে পুরীর গজা ও বিখ্যাত। আসলেই পুরীর গজার যে স্বাদ সেই গজার স্বাদ কিন্তু অন্য কোথাও গেলে পাওয়া যায় না ।এবং জগন্নাথ দেবের জন্য যেমন পুরীতে মানুষ আসে আর এখানে পুজো দিয়ে কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষ গজার প্যাকেট কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়। আমরা ওইখান থেকে অনেক কিছু কেনাকাটা করেছিলাম। কেনাকাটা করার সাথে সাথে রাত হয়ে গেলে ডিনার করে হোটেলে চলে এলাম। এর পরের দিন আমরা অনেক ভোরে উঠে পূজো দিতে গিয়েছিলাম ।সেই দিনের পুজো দেওয়ার মুহূর্ত গুলো আমি আপনাদের সাথে পরের পর্বে ভাগ করে নেবো।


WhatsApp Image 2024-01-05 at 01.20.43 (1).jpeg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক চমৎকার একটি সময় আপনার উপভোগ করেছেন দিদি। একদিকে সমুদ্রের গর্জন এবং এবং অন্যদিকে প্রিয় মানুষের হাতে হাত। এই দুটো জিনিস থাকলে আর কোন কিছুই হয়তো প্রয়োজন পরে না। অনেক চমৎকার কিছু দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দিদি। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের পুরী যাত্রার ভ্রমণ গল্প পড়ে।।

জায়গাটা অনেকে সুন্দর,, বিশেষ করে সমুদ্রের বড় বড় ঢেউগুলো। সমুদ্রের গর্জন শুনতে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে রাতে । খুব সুন্দর সবাই আড্ডা দিয়েছেন খাবার খেয়েছেন। আর সাথে প্রিয় মানুষটা থাকলে আর কি লাগে।😌

সকাল সমুদ্রে স্নান এবং হইহুল্লোড় এবং বিকেলে আবার সমুদ্রে বসে থেকে সময় কাটানো। সমুদ্রের পাশে বসে আছেন এবং ঢেউগুলো আচড়ে এসে পড়ছে পায়ের কাছে। ব‍্যাপার টা সত্যি বেশ রোমাঞ্চকর। পুরীর গজা বিখ‍্যাত এটা আপনার পোস্ট থেকেই জানতে পারলাম। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দিদি ।।

Posted using SteemPro Mobile

আসলেই বৌদি সমুদ্রের পানিতে নেমে মজা করতে বড় ছোট সবাই ভীষণ পছন্দ করে। আমি তো ২/৩ ঘন্টার আগে উঠতেই চাই না। বিকেলে সমুদ্রে সৈকতে হাঁটাহাঁটি করে সমুদ্রের গর্জন শুনতে এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার কাছে মনে হয় সমুদ্র সৈকত হচ্ছে বেস্ট জায়গা দুর্দান্ত সময় কাটানোর জন্য। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনটা একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে বৌদি। টিনটিন বাবু তো মজা করে ডিনার করছে দেখছি। পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম বৌদি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

সবাই মিলে তাহলে পুরীতে দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন দিদি। আপনাকে আর দাদাকে সমুদ্রের পাড়ে খুব সুন্দর লাগছে। প্রিয় মানুষের পাশে হাত ধরে সমুদ্রের বিশালতা উপভোগ করাটাই অন্যরকম 🌼

সমুদ্রের পাশে গেলে ছোট-বড় সকলেই বাচ্চা হয়ে যায় আসলে।আর আপনারা পরিবারের এতো জন গেলেন তাইতো আনন্দ আরো বেশী হয়েছে।দিদি আপনাদের ফটোগ্রাফিটি চমৎকার লেগেছে।😍চমৎকার ফটোগ্রাফি ও বর্ননায় ভীষণ ভালো লাগলো।টিনটিন বাবু তো দেখছি বড় মানুষের মতো নিজের হাতে খেয়ে নিচ্ছে।🥰

ফটোগ্রাফি গুলো দেখছিলাম আর কিছুটা হলেও মনে মনে অনুমান করতে পেরেছি, দিদি ভাই আপনাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছে পুরীতে।

আপনাকে আর দাদাকে একদম সমুদ্রের সামনে, রোমিও জুলিয়েটের মত লাগছে। আপনাদের জন্য ভালোবাসা রইলো অফুরন্ত।

দিদি সমুদ্র সৈকতে আসলে বুড়োরাও বাচ্ছা হয়ে যায়। সবার আনন্দ দেখে বড়রাও খুশি হয়। সমুদ্রের সব থেকে সুন্দর বিষয় হলো ঢেউ। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ।