নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে রস আইল্যান্ডের ঘোরার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নেবো ।আশা করি সকলের খুব ভালো লাগবে।
রস আইল্যান্ড এমন একটা আইল্যান্ড যেখানে না ঘুরলে আন্দামানে যাওয়াটাই কিন্তু বৃথা বলে মনে হয়। তার সাথে রস আইল্যান্ড জায়গাটি এতটাই সুন্দর দু চোখ ভরে দেখলেও মনে হবে আরো আরো যদি দেখা যেত । এই দেখার কোনো শেষ হবে না। কারণ আমরা প্রায় ১ ঘণ্টা এই আইল্যান্ডে থাকার পরও মনে হচ্ছিল একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে একইভাবে সৌন্দর্য উপভোগ করতেই থাকি।
পোর্ট ব্লেয়ার থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে এই রস আইল্যান্ড ।২০১৮ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামকরণ অনুসারে দ্বীপটির নামকরণ করা হয় "নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপ"।
রস দ্বীপের নামকরণ সামুদ্রিক জরিপকারী ড্যানিয়েল রসের নামে করা হয়েছিল। এই দ্বীপে যেতে হলে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে যেতে হবে। আর নেমেই অনেক হরিণ দেখা যাবে এবং সেই সকল হরিণ নিজের মতন করেই চারপাশে ঘুরে বেড়ায় এবং সেটা দেখতো ভীষণ ভালো লাগে। বহু পর্যটক হরিণের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে। এরা কোনো ক্ষতি করে না।
এছাড়াও এখানে ব্রিটিশ আমলের পাওয়ার হাউস, ওয়াটার প্লান্ট , বাংলো অফ চিপ কমিশনার এবং চার্জ আছে যেটা এখন ভগ্নাবশেষে পরিণত হয়েছে। তার সাথে ব্রিটিশরা এখানে জল পরিশোধনাগার ,ছাপাখানা ,টেনিস কোর্ট, গির্জা ক্লাব, গভারমেন্ট হাউস গড়ে তুলেছিল। সেগুলো সবই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ।
তাছাড়াও যত এগিয়ে যাওয়া যাবে মানে হেঁটে যতটা যাওয়া যাবে ভগ্ন বাংলো, অফিসারদের নাচ ঘর, বিলাসবহুল বাংলো,গির্জার সামনে দেখা যাবে না কোনো দেবতা না বাজছে কোনা ঘন্টা আসলেই দ্বীপে কোনো মানুষই বসবাস করে না। আসলেই এই আইল্যান্ড একটা অভিশপ্ত দ্বীপ।স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হাহাকার আর ক্রন্দনে যখন ভরে উঠেছিল আকাশ বাতাস, তখন উল্টোদিকের রস আইল্যান্ডে ব্রিটিশ অফিসাররা মগ্ন নানাবিধ বিলাসিতায়। আর এই রস আইল্যান্ডের কোনায় কোনায় সেই ধ্বংসস্তূপই বলে দেয় কতটা নির্দয় ছিল এই ব্রিটিশরা। এখন আছে শুধু বেশ কিছু হরিণ। শিকারের উদ্দেশ্যেই ব্রিটিশরা তাদের এখানে এনে ছেড়েছিল ।এখনো রয়ে গেছে তাদের বংশধারা ।অতীতের প্রাণ স্পন্দনের সব চিহ্নকে নিয়ে প্রাণহীন হয়ে পড়ে আছে এই দ্বীপ।
সব মিলিয়ে আমার এই রস আইল্যান্ড খুবই ভালো লেগেছিল।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি অনেক বেশী নির্দয় ছিল এই ব্রিটিশরা ইতিহাস তার স্বাক্ষী। ফটোগ্রাফিগুলো দেখছি আর মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি, চমৎকার প্রকৃতি। তবে হরিণের সাথে শেষের দৃশ্যটা বেশী ভালো লেগেছে দিদি । ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি উপভোগ করলাম দিদিভাই, তবে রস আইল্যান্ড দ্বীপের পিছনের এত করুণ কাহিনী সত্যিই আমাকে বিস্মিত করেছে। তবে সময়টা যে আপনারা বেশ ভালো কাটিয়েছেন, তা কিন্তু বুঝতে পারছি।
শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ সত্যিই রস আইল্যান্ড অনেক সুন্দর। আসলে এখানের পরিবেশটা সত্যিই আমাকে মগ্ধ করেছে। কত সুন্দর পানি পাথরের উপর আচঁড়ে পড়ছে। আর পুরাতন বেল্ডিং গুলো কালের স্বাক্ষী হিসাবে রয়ে গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্রিটিশরা আসলেই নির্দয় ছিলো। তারা বিভিন্নভাবে আমাদেরকে শোষণ করেছে। যাইহোক রস আইল্যান্ডের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি বৌদি। এমন জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটালেও মন ভরবে না। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রস আইল্যান্ড সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম দিদি, তোমার আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে। তাছাড়া এটা যে অভিশপ্ত আইল্যান্ড, সেটা আমি আগেও শুনেছিলাম। ব্রিটিশরা যে কতটা অত্যাচারী ছিল, সেটা এই জায়গায় গেলে কিছুটা উপলব্ধি করা যায়। যাই হোক, তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও বেশ খানিকটা ভালো লাগছে। এই জায়গায় না গিয়েও জায়গাটার অনেক দৃশ্য দেখতে পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit