টিনটিনকে নিয়ে মোমো খেতে যাওয়া

in hive-129948 •  4 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা,


আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে টিনটিনকে নিয়ে মোমো খেতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিলাম ।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।


মোমো খেতে কে না ভালবাসে । আমার মোমো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বিকেলবেলার স্ন্যাকসে যদি মোমো হয় তাহলে কিন্তু আর কিছু লাগে না। বেশিরভাগ সময় আমি কোনো রেস্টুরেন্টে গেলে যদি সেখানে মোমো পাওয়া যায় আমি কিন্তু সবার আগে মোমো ট্রাই করি। বিশেষ করে মোমোর সাথে যে স্যুপ থাকে সেটাও আমার খুব ভালো লাগে।

WhatsApp Image 2024-06-30 at 01.52.14 (2).jpeg


আর তেমনভাবেই গতকাল পাসপোর্ট এর কাজের জন্য আমরা বেরিয়ে ছিলাম অনেক সকাল সকাল। কিন্তু ফিরতে অনেক লেট হয়ে গেছিল। তার মধ্যে আমরা ভীষণ টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম। কিন্তু এদিকে টিনটিনকে যাওয়ার সময় কথা দিয়েছিলাম যে বিকেল বেলা ওকে মোমো খাওয়াতে নিয়ে যাব। আর ওকে কোনো কথা দিলে ও এমন ভাবে মনে রাখে যে কোনো বাচ্চা যে এইভাবে মনে রাখতে পারে সেটা ওকে না দেখলে বিশ্বাসই করা যাবে না ।

WhatsApp Image 2024-06-30 at 01.52.13.jpeg

বিকেলবেলা ওকে ওর টিচার আসে পড়াতে আসে। পড়া হওয়ার সাথে সাথেই নিজে নিজেই রেডি হয়ে কয়েকবার এসে নক করে গিয়েছিল ।আর তখন আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। তাই আর ডাকেনি। কিন্তু বারবার আসাতে ঘুম ভেঙ্গে গেছে তো ,আর যেই না দেখেছে ঘুম ভেঙ্গে গেছে অমনি আমাদেরকে বলে যে এখনই রেডি হও ঘুরতে যাব। ঘুম ঘুম চোখ নিয়েই কোনা রকম রেডি হয়েই ওকে নিয়ে বেরিয়ে গেলাম ।

WhatsApp Image 2024-06-30 at 01.52.14 (1).jpeg


টিনটিনের আবদার কিন্তু আমরা সব সময় রাখার চেষ্টা করি ।যেহেতু বাচ্চা মানুষ সেই ভাবে স্কুল ছাড়া কোথাও বেরোনো হয় না ।তাই কোথাও বেরোনোর কথা বললে আমরা যেভাবে হোক ওকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।
আমাদের বাড়ি থেকে মোমো খাবার জায়গা প্রায় ১৫ মিনিটের দূরত্ব ছিল ।সেখানে গিয়েই আমরা অর্ডার করলাম।এটা একদম রাস্তার সাইডেই ।

WhatsApp Image 2024-06-30 at 01.52.15.jpeg

সত্যি বলতে রাস্তার সাইডে মোমো বিক্রি হয় ঠিকই কিন্তু এখানের মোমো এতটাই টেস্ট একবার খেলে দ্বিতীয়বার আবার খেতে ইচ্ছা করবে ।আমি তো প্রায় সময় এই মধ্যমগ্রামে মোমো খেতে আসি ।এখানে ৫০ টাকায় ৬ পিস মোমো তার সাথে স্যুপ থাকে ।আর সুপ দ্বিতীয়বার চাইলে আবার পাওয়া যায় ।যেহেতু সেদিন অনেক বেলা করে খেয়েছিলাম আর তাই পেট ভরাই ছিল। তাই আমরা স্পেশালি টিনটিনের জন্যই এক প্লেট মোমো নিয়েছিলাম। ও ঠিক দু পিস খেল ।তারপর আমাদেরকেই বাকি ৪ পিস খেতে হল।

টিনটিন আমাদের মত মোটামুটি মোমো খেতে ভালোইবাসে। আর ওকে নিয়ে বিকেলবেলা বেরোনোর জন্য আমাদেরও বেশ ভালোই ঘুরুঘুরু হয়ে গেল।



VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png


ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

BoC- linet.png
-cover copy.png

|| Community Page | Discord Group ||


Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি যেহেতু টিনটিনকে কথা দিয়ে দিয়েছিলেন, তাই সে এটাও ভালোভাবেই মনে রেখেছিল। ও তো শুধু আপনাদের ঘুম ভাঙ্গার জন্য অপেক্ষায় ছিল। মোমো গুলো দেখে কিন্তু অনেক বেশি মজাদার বলে মনে হচ্ছে। বাচ্চাদেরকে এরকম বাহিরে নিয়ে আসলে তারা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। আর আপনারা তার ইচ্ছাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করেন শুনে খুব ভালো লাগলো। তাকে দেখেই বুঝতে পারছি সে অনেক খুশি হয়েছে বাহিরে এসে। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

@tipu curate

আমি তো মনে করি আমাদের চেয়ে বাচ্চাদের ব্রেন বেশ শার্প। ওরা একবার যেটা শুনে সেটাই মনে গেথেঁ নেয়। আর টিনটিন বেচারাই বা কি করবে? স্কুল আর ঘর। তা তো একটু ঘুরতে চাইবেই। কিন্তু আমি ভাবছি আপনাদের ওখানে কি করে এত কম টাকায় মোমো আর স্যুাপ দেয়? ইস্ যদি কাছে হতো তাহলে তো প্রতিদিন যেয়ে খেয়ে আসা যেত। ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

বাচ্চাদের কোন কথা দিলে তারা সেই কথা খুব মনে রাখে।আর বাইরে যাওয়ার কথা হলে তো একটু বেশীই মনে রাখে।মোমো কিন্তু আমার ও ভীষণ পছন্দ। বাইরের খাবার যদিও খেতে চাইনা।তবে মোমো হলে খাব। আমি বাসায় নিজেই মোমো তৈরি করে খেয়ে থাকি।আপনি টিনটিন বাবুকে মোমো খাওয়াতে নিয়ে এলেন এখানকার মোমোর টেস্ট ভালো বললেন।টিনটিন বাবু মাত্র দুটো খেয়ে নিল। সত্যি কথা বলতে বাচ্চারা খাওয়ার চেয়ে ঘুরতে বেশী পছন্দ করে।অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে এরকম ভাবে মাঝে মাঝে বাহিরে নিয়ে আসা ভালো। তাহলে তারা মাঝেমধ্যেই এরকম ভাবে বাহিরের সৌন্দর্যটা উপভোগ করতে পারবে। টিনটিনকে যেহেতু কথা দিয়েছিলেন তাই অনেক বেলা হয়ে গেলেও, তাকে নিয়ে বাহিরে এসেছিলেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। আর তাকে মোমা খাইয়েছেন শুনে অনেক ভালো লেগেছে। নিশ্চয় মজা করে খেয়েছিল। আর সে যেহেতু ছোট মানুষ তাই এতগুলো খেতে পারবে না। বাকিগুলো আপনারা খেয়েছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে দিদি।

ছোট বাচ্চারা এমনই হয় কোন কথা দিলে সেগুলো তারা সহজে ভুলতে চায় না। কথা ঠিকই আদায় করে নেয়। টিনটিনও আপনাদের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও কথা কিন্তু ঠিকই আদায় করে নিয়েছে।। অবশ্য ভালোই হয়েছে এই সুযোগে আপনাদেরও একটুও বাইরে ঘোরাঘুরি হয়ে গিয়েছে। মোমো আমার কাছেও ভালো লাগে। মোমো গুলো দেখে লোভনীয় লাগছে। ভালো লাগলো দিদি আপনাদের ঘুরাঘুরি মুহূর্ত দেখে।

হ্যা, বাচ্চাদের আবার এই বিষয়গুলো খুব বেশী মনে থাকে। তবে এটা সত্য যে মোমো কম বেশী সবারই প্রিয়, দারুণ স্বাদের জিনিষ বলে কথা। টিনটিনকে বেশ হাসিখুশি দেখে ভালো লাগলো।

টিনটিন বাবুর ব্রেন আমাদের দুই দাদার মতোই অনেক শার্প। তাইতো সবকিছু মনে থাকে। যাইহোক মোমো আমারও ভীষণ পছন্দ। বিকেল বেলা কিংবা সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মোমো খেতে দারুণ লাগে। এতো বড় সাইজের ৬ টা মোমো এবং সাথে স্যুপ দাম মাত্র ৫০ টাকা,আর আমাদের এখানে তো ৫/৬ টা মোমো ১০০ টাকা রাখে। আমরা আসলে সবকিছুই অনেক দাম দিয়ে কিনে থাকি। মাঝেমধ্যে মনে হয় টাকা চিবিয়ে খেলেও পেট ভরে যাবে। সবজি কিনতে গেলে ৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। যাইহোক টিনটিন বাবুর সাথে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বৌদি। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বেশ ভালো উপভোগ করলেন তাহলে টিনটিন বাবুকে নিয়ে মোমো খেতে গিয়ে। যেহেতু আপনি মোমো খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন আর স্যুপ খেতেও পছন্দ করেন তাহলে তো দারুন হয়। অনেক সময় রাস্তার পাশে হলেও খাবারের মান অনেক ভালো থাকে। যেহেতু রাস্তার ধারে হলে কাস্টমার অনেক বেশি পাওয়া যায় সেই হিসেবে দোকান গুলো দেওয়া হয়। অনেক ভালো রিভিউ দিলেন আপনি ভালো লাগলো শুনে।

টিনটিনের মত দিদিভাই, আমার বাবুটাও। বিকেল হলেই ওকে নিয়ে বাহিরে যেতেই হবে। মোমো খেতে গিয়ে টিনটিনের সঙ্গে যে সময়টা আপনারা বেশ ভালই কাটিয়েছেন, তা কিন্তু বুঝতেই পারছি।

শুভেচ্ছা রইল।

দিদি, মধ্যমগ্রামে গিয়ে আমিও বেশ কয়েকবার মোমো খেয়েছি। এখানে কম টাকায় বেশ ভালো মোমো পাওয়া যায়। ৫০ টাকায় ছয় পিস মোমো, সেই সাথে স্যুপও পাওয়া যায় যা বেশ দারুন ব্যাপার। যাইহোক, তোমাদের মত টিনটিনও যে মোমো খেতে মোটামুটি ভালোবাসে , সেটা জেনে ভালো লাগলো দিদি।