মজার পেয়ারা খাওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  20 days ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_5498.jpeg

পেয়ারা আমার অনেক পছন্দের।বাংলাদেশে অনেক স্মৃতি রয়েছে এই পেয়ারা নিয়ে।দাদাবাড়ি ও নানু বাড়ি উভয় জায়গাতেই পেয়ারা গাছ ছিল।দাদা বাড়িতে একটি পেয়ারা গাছ ছিল যা আমার জন্মের আগে থেকেই ছিল, গাছটি মোটামুটি বেশ ভালোই বড় ছিল।যদিও পেয়ারা গাছগুলো বেশি বড় হয় না।যেহেতু গাছটির অনেক বয়স বেশি ছিল তাই তুলনামূলকভাবে একটু বেশি বড় ছিল। ছোটবেলায় গাছে ওঠার অনেক চেষ্টা করতাম, কিন্তু উঠতে পারতাম না, সামান্য একটু উঠে আর উপরের দিকে যেতে পারতাম না।তাই কখনোই গাছ থেকে পেয়ারা পাড়া হয়নি।আব্বু গাছে উঠে ব্যাগ ভরে পেয়ারা পেড়ে আনতো। অনেক বড় গাছ, প্রচুর পেয়ারা ধরতো সেই গাছে। আর পেয়ারার স্বাদ ছিল অতুলনীয় যা বলে বোঝাতে পারবো না।খুব সাধ জাগতো গাছে উঠে নিজ হাতে পেয়ারা পেড়ে আনতে, কিন্তু সেটা আর সম্ভব হয়নি। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়েছে নানু বাড়িতে গিয়ে।নানু বাড়িতে একটি পেয়ারা গাছ ছিল এবং সেই পেয়ারা গাছ খুবই ছোট ছিল, সহজেই যে কেউ উঠে যেতে পারত।খুব খেলেছি সেই গাছে, কয়েকজন মিলে গাছে উঠে বসে থাকতাম। দারুন ইনজয় করতাম সেই গাছটিতে।হাজবেন্ড সেদিন শপিং করে এনেছিল, সাথে দেখি কয়েকটি পেয়ারা। এই পেয়ারা গুলোকে সম্ভবত কাজী পেয়ারা বলে। এই পেয়ারাগুলো দেখে আমার সেই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।

IMG_5499.jpeg

কাজী পেয়ারাগুলো কিন্তু খেতে বেশি মিষ্টি হয় না।বাংলাদেশে আমি যতবার খেয়েছি ততবারই দেখেছি সেগুলো বেশি টেস্টি হয় না।কিন্তু সেদিন যে পেয়ারাগুলো এনেছিল আমি তো মুখে দিয়েই অবাক! এত মিষ্টি ও সুস্বাদু ছিল তা আর বলে বোঝাতে পারবো না।আর এই পেয়ারাগুলো কামড় দিলে নরম অনুভূত হয় না, কসমসে।এমনকি কয়েকদিন পরে বের করে খেলেও নরম হয়নি, শক্ত ছিল।বাংলাদেশের পেয়ারাগুলো দেখেছি কয়েক দিন ঘরে রেখে দিলে নরম হয়ে যেত, সেই স্বাদ আর থাকত না।নরম পেয়ারাগুলো খেতে একদমই ভালো লাগেনা।জানিনা এই পেয়ারা গুলো কোন দেশের ছিল।আর এটাও জানিনা বাংলাদেশে এখন পেয়ারার সিজন কি না? যাইহোক কাজি পেয়ারা আমার অতটা পছন্দের ছিল না, কিন্তু এখানকার পেয়ারাগুলো খেয়ে সত্যিই অবাক হয়েছি।আমাদের এখানকার লোকাল শপগুলোতে এই পেয়ারা গুলো পাওয়া যায় না, তবে লন্ডনের বিভিন্ন শপগুলোতে এই পেয়ারা গুলো পাওয়া যায়।এখন মনে হয় পেয়ারার সিজন চলছে, কারন হাজবেন্ড বলল শপগুলোতে প্রচুর পেয়ারা উঠেছে। শুধু পেয়ারাই নয়, পেয়ারার সাথে প্রচুর পরিমাণে বড়ইও পাওয়া যাচ্ছে। হাসবেন্ড প্রায় তিন চার রকমের বরই কিনে এনেছে।কিছু বড়ই মিষ্টি, কিছু টক, আর কিছু বড়ই এর কোন স্বাদই পেলাম না।তবে আমার কাছে টক বড়ই বেশি ভালো লাগে।বড়ই আমার হাজবেন্ডের বড়ই খুবই পছন্দের।বাজারে গেলে বড়ই পেলেই কয়েক রকমের বডই কিনে আনে।ফ্রেশ বড়ই পাওয়া না বলে ফ্রোজেন বড়ই কিনে আনে খাওয়ার জন্য।আমার কাছে ফ্রোজেন বড়ই একদমই ভালো লাগে না। যাইহোক অনেক কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম।এখন তাহলে বিদায়ের পালা।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালে লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পেয়ারার ফটোটি দেখে তো মনে হচ্ছে পাকা পেয়ারা ছিল এরকম পাকা পেয়ারা গুলোতে আমাদের দেশে তেমন একটা মিষ্টি থাকে না। বর্তমান বাংলাদেশে পেয়ারা গাছে কড়া এসেছে আপু কিছুদিন পর পেয়ারা হবে। ভালো লাগলো আপনার গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে খাওয়ার আশাটি পূর্ণ হয়েছিল এটা জেনে। পেয়ারা খাওয়া নিয়ে আপনার সুন্দর একটি অতীতের অনুভূতি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে,ভালই লাগলো পড়ে।

আপনার দাদাবাড়ি-নানুবাড়ির পেয়ারা গাছ থেকে শুরু করে লন্ডনের মিষ্টি কাজী পেয়ারার অভিজ্ঞতা, প্রতিটি বর্ণনাই মন ছুঁয়ে গেল। ছোটবেলার সেই গাছে ওঠার গল্পগুলো যেন আমাদের শৈশবের দিনগুলো মনে করিয়ে দিল। খুব ভালো লাগলো পড়ে।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

কতো পেয়ারা খেয়েছি আপু গাছে উঠে । এমনকি মানুষের গাছ থেকে চুরি করেও খেয়েছি পেয়ারা 😁। সে সময়টা বড্ড মিস করি! বাংলাদেশে এখন পেয়ারার সিজন চলছে সাথে বরই ও পাওয়া যাচ্ছে। পেয়ারা খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমারও আপু।

পেয়ারা এমনিতেই অনেক ভালোলাগার একটি ফল। আমি এই ফলটাকে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। বর্তমান আমাদের দেশে ব্যাপক পরিমাণ পেয়ারা উৎপাদন হয়। বাজারে গেলেই সুন্দর সুস্বাদু সুমিষ্ট এই ফলগুলো পাওয়া যায়। আপনি পেয়ারা খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার।

গাছে উঠে কখনোই পেয়ারা খাওয়া হয়নি আমার। তবে বিট লবণ দিয়ে পেয়ারা খেতে বেশ ভালো লাগে এখন। তাছাড়া মাঝেমধ্যে কাসুন্দি দিয়ে পেয়ারা মেখে খেতেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক বেশ মজা করে পেয়ারা খেয়েছেন দেখছি। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

পেয়ারা আমারও খুবই পছন্দের।আর আমাদের বাড়িতে ও মামাবাড়িতেও অনেক পেয়ারা গাছ ছিল।আপনার হাজবেন্ড দেখছি দাসা পেয়ারা এনেছেন, আপনার শৈশবের গল্প পড়ে ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপু এখন পেয়ারা বারো মাস ই ঢাকায় পাওয়া যায়। আর এখন বরই এর সিজন। আপনি ঠিক বলেছেন কাজি পেয়ারা গুলো আগে তেমন মিষ্টি লাগতো না,পানসে ই বেশী পাওয়া যেতো। কিন্তু ইদানীং কাজি পেয়ারা গুলো ভীষন মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে। আর বরইয়ের কথা কি আর বলবো নানা রকমের বরই পাওয়া যায় আজকাল।কোনটা আপেলের মতো মিষ্টি, কোনটা আবার টক।ভাইয়ার বরই খুব পছন্দ জেনে ভালো লাগলো।আসলে আমাদের সবারই উচিত দেশীয় সব ধরনের ফল খাওয়া।আপনারা দেশের বাইরে থেকেও দেশীয় ফল গুলো খাচ্ছেন এটা বেশ আনন্দের।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ই ভালো লাগলো। অনেক শুভকামনা রইলো আপু।

ঢাকাতেও এখন প্রচুর পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছে। আর খেতেও বেশ মজা। আমারও পাকা কেজি পেয়ারা খেতে বেশি ভালো লাগে। দেশী পেয়ারার স্বাদই অন্য রকম। আর এখন বাজারে অনেক বরইও পাওয়া যাচ্ছে। এখন দেশে ঘুরে যান দুটোই মজা করে খেতে পারবেন। ফ্রোজেন বরই খেতে হবে না।