বাগানের জন্য প্রস্তুতি

in hive-129948 •  6 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_1189.jpeg

প্রতিবছরের মতো এবারও শুরু হয়ে গেল বাগানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানেন প্রতি বছর আমার বাগানে নানান ধরনের শাকসবজি ফলমূল ও ফুলের চাষাবাদ করে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বিচি দিয়ে চারা উৎপন্ন থেকে শুরু করে গাছের ফল ধরা পর্যন্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। তবে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে ফল ধরার পেছনে আমার হাজবেন্ডের অবদান বেশি। সমস্ত কাজ সেই করে থাকে, আমি জাস্ট তাকে একটু হেল্প করি। সুতরাং প্রতিবারের মতো এবারও আমি আর হাসবেন্ড গত রাতে প্রথমে বিচিগুলোকে সারা রাত ভিজিয়ে রাখি একটি কন্টেইনারে। যেহেতু আমরা বিচিগুলো চিনি না এ কারণে প্যাকেটের গায়ে লেখা দেখে কন্টেইনারের গায়ে লিখে রাখি যেন সহজেই বুঝতে পারি কোন প্রকারের চারা। সাধারণত ফল গাছের চারাগুলো করতে হয় না, কারণ ফল গাছগুলো যেগুলো বাগানে রয়েছে তা থেকে প্রতিবারই ফল ধরে। শুধু মাত্র সবজির চারাগুলো করে থাকি। আর ফুলের চারাগুলো বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসি, শুধু গোলাপ ফুলের চারা ব্যতীত।যেহেতু আমার বাগানে কয়েক প্রকারের গোলাপ রয়েছে। আর এই গাছগুলো কখনো মরে না অন্যান্য ফুল গাছের মতো।

IMG_1179.jpeg

সবজিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সবজি বাংলাদেশি, কারণ বিচিগুলো বাংলাদেশ থেকে আনা হয়েছে। আর বাংলাদেশি বিভিন্ন ধরনের বিচি এদেশের বাঙালি শপগুলোতে পাওয়া যায়। বিচিগুলোর মধ্যে ছিল সিম, লাউ দুই প্রকারের, পুঁইশাক, বরবটি, টমেটো, কাঁচামরিচ, বোম্বাই মরি, দুই প্রকারের বেগুন, শসা, টমেটো ও ঢেঁড়স।এ ছাড়া পেঁপে ও আছে। যদিও গত বছর পেঁপে লাগিয়েছিলাম কিন্তু কোন চারা হয়নি, তারপরও এবারও চেষ্টা করে দেখছি।

IMG_1180.jpeg

আগের দিন রাতে কন্টেইনারে ভিজিয়ে রেখেছিলাম বিচিগুলো।

সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর আজকে সকাল বেলা আমার হাজব্যান্ড বিচিগুলোকে একটি পটের মধ্যে রোপন করে কমপোষ্ট সার দিয়ে। আর আমি তাকে হেল্পার হিসেবে সাহায্য করি।আমার কাজ ছিল পট গুলোতে হালকা একটু পানি ছিটিয়ে ক্লিন পেপার দিয়ে প্যাঁচিয়ে রাখা। সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই চারাগুলো গজিয়ে যায়। তবে যে সকল বিচি ভালো থাকেনা সেগুলো থেকে চারা গজায় না। এরপর এই পটগুলো যেখানে আলো বাতাস ও রোদ পায় সে জায়গাতে রেখে দিয়েছি। আমার কিচেনে জানালার পাশে খুব চমৎকার রোদ, আলো ও বাতাস তিনটাই পাওয়া যায় তাই সেখানে রেখে দিয়েছি।

IMG_1181.jpeg

কম্পোস্ট

IMG_1182.jpeg

বিচি রোপন সম্পূন্ন ।

IMG_1183.jpeg

এরপর হালকা পানি ছিটিয়ে ক্লিন পেপার দিয়ে মুড়ে রেখেছি।

IMG_1187.jpeg

IMG_1188.jpeg

টোটাল ২৪ থেকে ২৫ টি পট হয়েছে, সেগুলোকে সব রান্নাঘরের জানালার পাশ দিয়ে রেখে দিয়েছি।

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। এরপর যখন চারা গজাবে তখন পরবর্তী আপডেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যেহেতু সবজির বীজ গুলো বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন আর সেখানে বাংলাদেশের সবজিও তেমন পাওয়া যায় না সে ক্ষেত্রে সবজি বাগানে ভিন্ন সৌন্দর্যের পাশাপাশি বাংলাদেশি কিছু সবজির অভাব পূরণ করতে পারবেন। ভাইয়া আর আপনি দুজন মিলে সবজি বাগানের কাজ শুরু করেছেন। নতুন প্রজেক্ট এর কাজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

মনে পড়ছে গত বছরেও দেখেছিলাম আপনি বাগান লাগিয়েছিলেন ৷ যা হোক বিচি গুলো সারা রাত ভিজিয়ে রেখে তারপর রোপন করতে হয় ৷আমরাও এভাবে করি আপু ৷ আপনি তো দেখি অনেক রকমের সবজি চাষ করবেন ৷ আসলে সবজি তরাকরি খেতেও অনেক ভালো লাগে ৷ যা হোক ভালো লাগলো বাগানের প্রস্তুতি ভালোই আশা করি বাগান টা পরিপূর্ন হবে ৷
তখন আবারো পোষ্টে দেখতে পারবো এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷

প্রতি বছরের মত করে এবারও দেখছি চলে এসেছেন বাগান করার অনুভূতি নিয়ে। গত বছরও আপু আপনি আমাদের সাথে আপনার বাগান করার সব কিছু শেয়ার করেছিলেন। আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম আপনি এবং ভাইয়া অনেক কষ্ট করেন বাগান করার জন্য। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে নিয়েছেন বাগান করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপু।

কষ্ট হলেও নিজের সবজি বাগান থেকে ফ্রেশ সবজি রান্না করে খেতে দারুণ লাগে। তাছাড়া এসব কিন্তু আমরা সাধারণত শখের বশেই করে থাকি। তবে এটা ঠিক অনেক কষ্ট করতে হয়। আমি তো কিছুদিন আগে ছাঁদ বাগানে ১৫/১৬ টা গাছ লাগিয়েছিলাম বিভিন্ন ধরনের। তখনই বুঝেছিলাম কতোটা কষ্ট হয়। তবে আমাদের ভাইয়া আসলেই খুব এক্টিভ। উনি কতো সুন্দর ভাবে সবকিছু করে ফেললেন। আপনি শুধু ভাইয়াকে হেল্প করলেন বাগান করার জন্য। যাইহোক পরিশ্রমের ফল সবসময়ই সুমিষ্ট হয়। আশা করি ফলন খুব ভালো হবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile

মোটামুটি যত প্রকার শাকসবজি বাংলাদেশে পাওয়া যায়, তার প্রায় ফিফটি পার্সেন্ট দেখি আপনাদের ওখানেই রোপন হচ্ছে আপু। হা হা হা...🤭🤭 আমি অবশ্য ইউটিউবে কিছু ব্লগিং দেখেছি, তারাও এরকম বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন শাক সবজির বীজ নিয়ে গিয়ে ওখানে রোপন করে। অবশ্য নিজেরা বাড়িতে শাকসবজি তৈরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। সেটা কিনে খাওয়ার ভিতরে পাওয়া যায় না।