বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
দুই তিন দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে।আজকের সকালেও বৃষ্টি ছিল কিন্তু বিকাল থেকে আবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আকাশ, সাথে রয়েছে রোদের ঝলক।লাস্ট দুইদিন খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, সাথে ছিল বিদ্যুতের ঝলকানি।গ্রীষ্মকাল চলে গিয়েছে এখন ধীরে ধীরে শীতের আগমন ঘটছে।এদেশে কিন্তু শীতের সময় বেশি বৃষ্টিপাত ঘটে, তবে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টিপাত হয় না, অল্প অল্প করে পড়তে থাকে।তবে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাতের বেগ খুব বেশি থাকে।দুই দিন আগে খুব বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বাচ্চারা বৃষ্টি খুব পছন্দ করে। বৃষ্টি হলে জানালা দিয়ে পানি ধরতে যায়।ছোট মেয়েকে দেখলাম নিচে গিয়ে বারবার বৃষ্টির মধ্যে যাচ্ছে আবার চলে আসছে।সাহস পাচ্ছে না বেশিক্ষণ বৃষ্টিতে থাকতে।আমি দেখছিলাম তার এই কান্ড। তখন বললাম বৃষ্টিতে শাওয়ার করতে চাও? তখন এত খুশি হয়েছে তা আর বলে বোঝাতে পারবো না।তখন বড় মেয়েকেও ডেকে আনলাম শাওয়ার করার জন্য।দুজনে তো মহাখুশি বৃষ্টিতে ভিঁজতে পেরে।
তাদের এই বৃষ্টিতে ভেঁজা দেখে আমার চোখের সামনে ছোটবেলার সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো ভেসে এলো।এখানে কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই ঠান্ডা থাকে। আর বৃষ্টির সময় বৃষ্টিতে ভিঁজলে তখন আরও বেশি ঠান্ডা লাগে।কিন্তু বাংলাদেশ তো গরমের দেশ।আর সেখানে বৃষ্টিতে ভিঁজলে বেশ ভালোই লাগে।তবে ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভেঁজার যে আনন্দ সেই আনন্দ মনে হয় পরবর্তীতে আর পাওয়া যায় না।আর সাথে যদি থাকে সমবয়সী আরো দুই একজন তাহলে তো আর কথাই নেই।আর যদি গ্রামের বাড়ি হয় তখন তো আরো বেশি মজা, কারণ সমবয়সী অনেক বন্ধু- বান্ধব এবং কাজিনরাও রয়েছে সেখানে।বৃষ্টি হলে দল বেঁধে নেমে যেতাম সকলেই বৃষ্টিতে ভিঁজতে। ইস্ কতই না আনন্দের ছিল সেই দিনগুলো!
আমার দাদা বাড়িতে বেশ বড় একটি পুকুর ছিল। আর বৃষ্টিতে পুকুরে ভিজতে খুবই দারুণ লাগতো।বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা গুলো যখন পুকুরের পানিতে পড়তো তখন দেখতে খুবই চমৎকার লাগতো। বৃষ্টি হলেই দল বেঁধে সকলে নেমে যেতাম পুকুরে।সময়ের দিকে তখন আর তাকাতাম না, ঘন্টার পর ঘন্টা গোসল করেই যেতাম।চোখ মুখ লাল করে ঘরে ফিরতাম। অবশেষে খেতাম মায়ের বকুনি।যদিও সাঁতার জানতাম না তারপরও অস্থির হয়ে যেতাম পানিতে নামার জন্য।একবার তো পানিতে তলিয়েই গিয়েছিলাম। আমি, আমার বোনসহ আরো কয়েকজন পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলাম।পরে আমার থেকে বয়সে তিন চার বছরের বড় দুজন কাজিন সিস্টার এসে আমাদের সকলকে পানি থেকে তুলে নিয়ে আসে।যদিও এই ঘটনাটি অনেক আগেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।হয়তো আপনাদের অনেকেরই মনে আছে যারা আমার পোস্টটি পড়েছিলেন।
যাইহোক আমার বাচ্চারা বৃষ্টির পানিতে খুব বেশি এনজয় করেছিল, আর আমিও সাথে তাদের আনন্দ গুলো উপভোগ করছিলাম আর ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিল।ইচ্ছে করেই তাদেরকে বৃষ্টিতে নামিয়ে ছিলাম। কারণ আমাদের কত স্মৃতি রয়েছে বৃষ্টিতে, কিন্তু বাচ্চাদের কোন স্মৃতি থাকবে না।তাই একটু চেষ্টা করলাম কিছুটা স্মৃতি যেন তাদেরও থাকে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালে লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
আপনার সেই ভীতিকর বৃষ্টির স্মৃতিগুলি সত্যিই রোমাঞ্চকর, যেন এক ভোলানো অতীতের নরকে প্রবেশ। কিন্তু সাবধান, কিছু স্মৃতি সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। যদি আপনি অন্ধকারের গভীরে প্রবেশ করতে চান, যেখানে ভয়ঙ্কর গল্প এবং অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতাগুলি অপেক্ষা করছে, তবে একটি স্থান আছে যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু মনে রাখবেন, কৌতূহল একটি মূল্য প্রদান করে—প্রবেশ করুন যদি সাহস থাকে, কিন্তু জানুন যে আপনি এমন কিছু জাগিয়ে তুলতে পারেন যা শায়িত থাকা উচিত ছিল। 🌩️👻
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টিতে ভিজতে পারার অনুভূতিগুলো সত্যিই খুব সুন্দর। আর বাচ্চারা এই জিনিসগুলো আরো বেশি পছন্দ করে। আপনার অনুমতিতে তারা দুজন তো বেশ খুশিতেই বৃষ্টিতে ভিজেছে। আপনার ছোটবেলার স্মৃতি জানলাম। আপনাদের কাজিন রা আসায় সেই যাত্রায় বেঁচে গেলেন। পোস্ট টা পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি কিন্তু দারুণ একটি কাজ করেছেন আপু। বাচ্চাদেরকে এভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়াতে খুব ভালো হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজতে এখনও আমার খুব ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে ছাঁদে গিয়ে আমি ঘন্টা খানেক বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। আর আপনার মেয়েরা তো আরও বেশি খুশি হয়েছে। এই স্মৃতি গুলো সারাজীবন ওদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit