মসজিদে কিছু চারা ডোনেশন

in hive-129948 •  last year  (edited)
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনারা অনেকেই ইতিমধ্যে দেখেছেন আমি প্রায়ই আমার বাগানের আপডেট দিয়ে থাকি। বাগান করা আমাদের খুবই শখ। বাগানে আমাদের নানান ধরনের শাকসবজি, ফল ও ফুল রয়েছে। প্রতিবছরই আমরা এ ধরনের ধরনের শাকসবজি ফুল ও ফল আমাদের বাগানে করে থাকি। আর আমরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি করে বীজ থেকে চারা বানিয়ে থাকি যা আমাদের বাগানের জন্য বেশি হয়ে যায় তাই প্রতিবছরই সামান্য কিছু রেখে (যতটুকু আমাদের দরকার) বাকি সবটুকু মসজিদে দান করে দেই।

আমাদের এখানে একটি মসজিদ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা আসে নামাজ পড়তে। যেহেতু ইংল্যান্ড একটি মাল্টিন্যাশনাল কান্ট্রি তাই এ দেশে সব ধরনের মানুষই বসবাস করে।পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই যেখানকার মানুষ এখানে পাওয়া যাবে না। তাই এই মসজিদেও বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিমরাও আসে নামাজ পড়তে। মসজিদটি আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা খুবই কম, তবে বাংলাদেশের মতো এখানেও শুক্রবারে মুসল্লির সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রতিবছরই আমরা যখন সবজি ফলাই তখন কিছু সবজির চারা মসজিদে দান করে দেই। সবজির মধ্যে রয়েছে টমেটো, কাঁচা মরিচ, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, সিম, বেগুন, শঁসা।এছাড়া তরমুজের অনেকগুলো চারা হয়েছে যেগুলো ডোনেট করেছি। চারাগুলো মসজিদের এক সাইডে রেখে দেওয়া হয়।নামাজ শেষে মুসল্লিরা যার যার পছন্দ মতো যেটা ভালো লাগে সেটা তাদের ইচ্ছেমতো পয়সা দিয়ে কিনে নিয়ে যায়, এখানে কোন দামদর নেই। গত বছর একটু প্রবলেম ছিল তাই দিতে পারিনি। তার আগের বছর দিয়েছিলাম প্রায় ৩০০ পাউন্ড এর মত উঠেছিল যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৪২,০০০ টাকার মত।

IMG_4584.jpeg

IMG_4587.jpeg

IMG_4585.jpeg

ডোনেশনের জন্য রেডি।

যেহেতু এদেশের সব কিছুরই দাম খুব বেশি তাই ছোট ছোট চারা সেগুলোর মূল্যও অনেক বেশি।ছোট্ট একটি টমেটোর চারা যার মূল্য হবে প্রায় তিন থকে চার পাউন্ড। টমেটো, কাঁচামরিচ আর শঁসার ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি কারণ সব দেশের মানুষের কাছেই এগুলো বেশি পরিচিত। এরপর লাউ, সিম, মিষ্টি কুমড়া, করলা এগুলোর চাহিদা বাংলাদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গতবার একটি লাউয়ের চারা প্রায় ১০ পাউন্ডের মতো বিক্রি হয়েছিল যা বাংলাদেশি টাকার প্রায় ১৪০০ টাকার মতো। এবার চারাগুলোকে সেপারেট করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে।কারণ হাজব্যান্ড খুবই বিজি ছিল। আরো আগে সেপারেট করতে পারলে চারাগুলো আরো বেশি বড় হতো।যাইহোক কি আর করা যদি কারো ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কিনে নিবে সেই সাথে মসজিদেরও কিছু উপকার হবে।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ তো।খুবই ভালো লাগলো জেনে।বাড়তি গাছ মসজিদে দিয়ে মসজিদের উপকার করছেন।এটা তো অনেক সওয়াবের কাজ।আর এ ধরনের কাজ করলে আল্লাহ খুশিও হোন।খুব ভালো লাগলো আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার মনের ইচ্ছাগুলো ও পূরণ করে দিন,আমিন।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

বাহ্ বেশ চমৎকার একটি আইডিয়াতো। মসজিদে সবজি গাছের চারা ডোনেশন। আর শুনেই তো অবাক হয়ে গেলাম। মসজিদে ডোনেশন করা চারা থেকে ৪২০০০/- টাকা আয়। ঐ দেশে এতো দাম গাছের চারার। আমার কিন্তু আপু্ আইডিয়াটি বেশ পছন্দ হয়েছে। এতে করে দুই দিকে দিয়েই উপকার। যে চারাগাছগুলো কিনলো তারও লাভ । আর চারা গাছগুলো বিক্রি করে তো মসজিদের জন্য কিছু অর্থ আয় করা যায়। আপু আপনাদের জন্য আমার পক্ষ হতে অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

ইংল্যান্ডের মসজিদে বিভিন্ন দেশের মানুষ নামাজ পড়ে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আরো বেশি ভালো লাগলো যে শুক্কুরবারে দিনটা অধিকতর মুসলমান এখানে নামাজ পড়তে আসে। ইংল্যান্ডের সব জিনিসের দাম বেশি সেটা বুঝতে পারছি আপু তবে একটু অবাক হয়ে গেলাম একটি লাউয়ের চারার দাম ১০ পাউন্ড অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১৪০০ টাকা। যদি কেনার মত কোন সম্ভব হতো তাহলে অবশ্যই কিনে নিতাম আপু। কারণ মসজিদে কোন জিনিস কিনলে সেটা সাদগাই হিসেবে ধরা হয়।

Posted using SteemPro Mobile

আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। মসজিদে কিছু চারা ডোনেশন লেখাটি দেখে প্রথমে বুঝতে পারিনি মসজিদে চারা লাগিয়ে কিভাবে কি হতে পারে।তবে পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম, মসজিদে আসা মুসল্লিগণ তাদের পছন্দমত চারাগুলো কিনে নিয়ে যায়, আর সেই টাকা মসজিদের উপকারে আসে। এমন উদ্যোগ সত্যিই আপু খুবই প্রশংসনীয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মসজিদে কিছু চারা ডোনেশন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অনেক সুন্দর একটি উদ্যোগ আপু।প্রথমে বুঝতে পারিনি কিভাবে মসজিদে চারা ডোনেশন করবে।এখন পুরো পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। আসলে মসজিদে কিছু দিতে পারলে মনের ভিতরে একটু আলাদা রকম শান্তি পাওয়া যায় এবং মহান আল্লাহ তায়ালাও খুশি হন। অনেক ধন্যবাদ আপু মসজিদে কিছু চারা ডোনেশন দিয়ে সুন্দর ও ইউনিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।