শপিং এবং সাথে কিছু ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  8 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_0847.jpeg

ঈদের এক সপ্তাহ পরে গিয়েছিলাম শপিং করতে। আসলে শপিং করাটা মেইন উদ্দেশ্য ছিল না।উদ্দেশ্য ছিল আমার মোবাইলটি হারিয়ে যাওয়ার পর মোবাইলে যে ব্যাংকিং অ্যাপসটি ছিল সেটি আর ভেরিফিকেশন হচ্ছিল না। এ কারণে ব্যাংকে গিয়েছিলাম অ্যাপসটি ঠিক করার জন্য।আর সেই সাথে কিছু দরকারি জিনিসপত্র কিনে নিলাম, যেহেতু ব্যাংকের পাশেই ছিল বড় একটি শপিং মল তাই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে নিলাম। আর তখন বাচ্চাদের স্কুল হলিডে ছিল তাই পরিবারের সকলে মিলে চলে গেলাম শপিংয়ে।আর বাচ্চারা শপিং করতে খুবই ভালোবাসে। তাদের শপিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে খেলনা কেনা।শপিং এ গেলে তাদের মাস্ট খেলনা কিনে দিতে হবে। আর এ খেলনার কারণেই তারা খুব এক্সাইটেড থাকে শপিং করার জন্য।

সবার প্রথমেই চলে যাই ব্যাংকে। আর ব্যাংকে যাওয়ার সাথে সাথেই আমার কাজটি হয়ে গেল।কারণ ব্যাংকে এতটা ভিড় ছিল না তখন। তাই কাজটি দ্রুত সেরে ফেললাম। আর ব্যাংকিং ওই অ্যাপসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ কোথায় কি খরচ করছি? ব্যালেন্স কত আছে ব্যাংকে কত টাকা ঢুকলো বা গেল কিছুই দেখতে পারছিলাম না। যাইহোক ব্যাংকিং কাজটি সেরে ফেলে চলে গেলাম Crawley শপিং মলে। তাহলে চলুন উপভোগ করা যাক আমাদের কেনাকাটা ও ফটোগ্রাফি গুলো।

IMG_0434.jpeg

IMG_0446.jpeg

IMG_0445.jpeg

IMG_0443.jpeg

IMG_0442.jpeg

উপরের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম ব্যাংক থেকে শপিংমলে যাওয়ার সময়।

IMG_0437.jpeg

IMG_0436.jpeg

প্রথমেই চলে যাই বড় মেয়ের জন্য একটি স্কুল ব্যাগ কেনার জন্য। কারণ ওর ব্যাগটি দরকার ছিল।

IMG_0438.jpeg

IMG_0439.jpeg

এরপর আমাদের টুকটাক কিছু জিনিসপত্র কেনার পর ঢুকে যাই টয় শপে। সেখান থেকে তাদের পছন্দমত কিছু টয়েস কিনে ফেলি।

IMG_0449.jpeg

IMG_0450.jpeg

তাদের ওই টয়গুলোর মধ্যে এই পুতুলটা ছিল দারুণ, দেখার মত। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল তাই শুধু এই টয়টির ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। দেখুন হাতে সুন্দর একটি ব্যাগ ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করা, আর চোখেও রয়েছে একটি সানগ্লাস।জাস্ট দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।

IMG_0441.jpeg

পাশে ছিল বড় একটি হালাল গ্রোসারী শপ। সেখান থেকে প্রায়ই আমরা কেনাকাটা করে থাকি। পরোটা, বাচ্চাদের জন্য নাগেটস, এছাড়া কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, শালগম, পেঁপে, ডাল এবং আরো দরকারে কিছু জিনিসপত্র কিনে নিলাম।

IMG_0453.jpeg

এখান থেকে শুধুমাত্র এই পেঁপের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। কারণ এই পেঁপের মূল্য ছিল ৭ পাউন্ডসের উপরে, যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় এক হাজার টাকার উপরে। জানিনা বাংলাদেশের পেঁপের দাম কত? কিন্তু আমার কাছে এক হাজার টাকা খুব বেশি মনে হয়েছে। অবশ্য পেপেঁটি কিন্তু খেতে দারুণ মিষ্টি ছিল। হয়তো গুণের কারণেই এত দাম নিয়েছে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে ছোট বড় সকালেই শপিং করতে ভালোবাসে,আর বাচ্চা রা তো খেলনার প্রতি আসক্ত।কোথায় কি নতুন নতুন খেলনা পাওয়া যায় তাই নিয়েই তাদের চিন্তা। যাই হোক আপনার ব্যাংকিং অ্যাপসটি তাড়াতাড়ি ঠিক হলো জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

শপিং করতে গিয়ে সেই স্থানের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এই ফটোগুলো দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। এত সুন্দর জায়গা দেখে যেন মন জুড়ে গেল। সুন্দর সব ফটোগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৭ পাউন্ডসের উপরে একটি পেঁপের দাম ভাবতে অবাক লাগছে আপু। বাংলাদেশী টাকায় ১০০০ টাকার উপরে। এত টাকা দিয়ে পেঁপে কিনেছেন আর পেঁপেটি মিষ্টি ছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। যদি খেতে খারাপ হত তাহলে ভীষণ খারাপ লাগতো। আর পুতুলের ফটোগ্রাফিটি সত্যি দারুন ছিল। যাই হোক আপু ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে শপিং-এ গিয়েছেন আর দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।

মোবাইল পরিবর্তন করা হলে ব্যাংকিং অ্যাপসগুলো ভেরিফিকেশন করতে ঝামেলা হয়ে যায়। তাই ব্যাংকে যাওয়াটাই ভালো। যাইহোক ব্যাংক থেকে শপিং মলে গিয়ে অনেক কিছুই কিনেছেন দেখছি। বাচ্চারা টয়েস পেলে তো আর কিছুই লাগে না তাদের। পুতুলটা দেখতে খুবই কিউট লাগছে। তাছাড়া পেঁপের ছবি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুবই মিষ্টি লেগেছিল। পাকা পেঁপে কেনা হয় না প্রায় ২ বছর ধরে। তাই পেঁপের দাম সম্পর্কে সঠিক জানা নেই আমার। শ্বশুর বাড়ি থেকে প্রায়ই গাছ পাকা পেঁপে পাঠানো হয় আমার জন্য। কারণ আমি পাকা পেঁপে খুবই পছন্দ করি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।