ছুটির দিনে বাচ্চাদের হৈ-হুল্লোড় করে কেটে গেল আনন্দের একটি দিন

in hive-129948 •  2 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

IMG_2346.jpeg

আজ শনিবার, স্কুল বন্ধ। নরমালি শনি ও রবি এই দুইদিন স্কুল বন্ধ থাকে।আর স্কুল বন্ধ থাকলেই পড়তে হয় বিপাকে। কারণ বাসায় কোন কাজ নেই, শুধু মোবাইল, ট্যাব, টেলিভিশন নিয়ে পড়ে থাকা।কিন্তু যদি তাদের খেলার সাথী পেয়ে যায় তাহলে সারাটা দিন তাদের সাথেই কেটে যায়, তখন আর মনে থাকে না মোবাইল, ট্যাবের কথা।আজ ছুটির দিন তাই দুই মেয়ে তাদের দুই বেস্ট ফ্রেন্ডকে ইনভাইট করেছিল বাসায়।এমনিতেই তারা দুজন, সাথে অ্যাড হয়েছে আরও দুজন। ৪ জন বাচ্চা এক জায়গায় হলে বুঝতেই পারছেন পরিবেশ তখন কেমন হয়? সারাদিন হৈ-হুল্লোড় করে কেটেছে তাদের দিনটি।সকাল সাড়ে দশটায় এসেছে তারা, আর বাসায় গিয়েছে সন্ধ্যা সাতটায়।কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে তাদের খাওয়া দাওয়ায়।তারা আমাদের মত খাবার খেতে পারে না। মসলার তরকারি তারা মোটেও খেতে পারে না। সামান্য একটু ঝাল হলেই আর খেতে পারেনা। ভাতের সাথে ডিম ভেজে দিলে তা খেতে পারে। পরোটাও তারা খুব পছন্দ করে।যাইহোক তাদেরকে পরোটা, ভাত সহ আরও কিছু খাবার খেতে দিলাম।

তারা একবার বাসায় এলে আর ফিরে যেতে চায় না। আর তাদের গার্ডিয়ান জানিনা কেমন একবারও খোঁজ নেয় না, কখন আসবে? কি খাচ্ছে কোন চিন্তাই তাদের নেই।আমি কিন্তু আমার বাচ্চাদেরকে কখনো কারো বাসায় পাঠাই না। আর পাঠালেও এত দীর্ঘ সময়ের জন্য কারো বাসায় রেখে দিব না।আর তাদের সিস্টেম হচ্ছে বাচ্চাদেরকে কারো বাসায় পাঠাতে পারলেই তারা মনে হয় বেঁচে যায়।যেহেতু আমি আমার বাচ্চাদেরকে কারো বাসায় পাঠাই না, তাই তাদের ফ্রেন্ডদের কখনো আসতে নিষেধ করি না।আসলে বাচ্চারা সঙ্গ চায় কিন্তু এখানে তাদের বয়সি বাচ্চারা নেই বললেই চলে। ছোটবেলায় আমরা আমাদের সমবয়সী ছেলে মেয়েদের সাথে অনেক খেলেছি, কিন্তু তারা সেটা পাচ্ছে না।তাই আমি তাদেরকে এই সুযোগটা দেই।

IMG_2317.jpeg

IMG_2318.jpeg

IMG_2341.jpeg

IMG_2319.jpeg

বাচ্চাদের কাজ কর্ম চলছে।

একজন বাসা থেকে স্লাইম বানানোর জিনিসপত্র নিয়ে এসেছে। তাই সকলে মিলে সেই স্লাইম বানানো নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।আমিও বসে বসে তাগের অক্টিভিটিসগুলো দেখে নিলাম কিভাবে তারা বানাচ্ছে। খুব সহজেই তারা বানিয়ে ফেললো। সারাদিন তারা এটা ওটা করেই যাচ্ছে আর আমি যেন বিরক্ত না হই তাই মাঝে মাঝে আমাকে খুশি করার জন্য দু একটা বাংলায় কথা বলছে যেমন: কি করছো? ভালো আছি।আরও বলছে আমি নাকি অনেক কিউট। নানানভাবে আমাকে হ্যাপি করার চেষ্টা করছে।

এরপর খেলাধুলা শেষে বসে যায় টিভি দেখতে।টিভিতে তারা ইদানিং বাংলা কার্টুন ঠাকুরমার ঝুলির শাকচুন্নির পর্বটি দেখছে ইউটিউব থেকে নিয়ে।যদিও আমার মেয়েরা বাংলা ভালোভাবে বোঝেনা তাই আমি তাদেরকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছি। এরপর খুব বেশি এক্সাইটেড হয়েছে। এরপর তার ফ্রেন্ডদেরকে সেই কাহিনীটা বলেছে। এরপর তার ফ্রেন্ডরাও খুব পছন্দ করেছে। বাসায় এসে এই পর্বটি দেখছে আর ইংলিশ সাউন্ডে শাকচুন্নি শাকচুন্নি শব্দটি বলছে যা শুনতে বেশ ভালোই লাগছে।শাকচুন্নি পর্বটি আমারও অনেক পছন্দের ছিল। ছোটবেলায় টিভিতে দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম কবে হবে ঠাকুমার ঝুলি? এরপর শাকচুন্নি দেখে চলে গেল গার্ডেনে কিছুক্ষণ খেলাধুলা করতে। এরপর খেলাধুলা শেষে সাতটার সময় তারা যার যার বাসায় ফিরে যায়।

IMG_2330.jpeg

অনেক আনন্দের সাথেই কেটেছে তাদের আজকের দিনটি।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ছুটির দিনে মামনিরা ফ্রেন্ডদের সাথে দারুন সময় কাটিয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো।আসলে তাদের বাবা মা হয়তো সেভাবে বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তা করে না। সেজন্য সারা দিনেও খোঁজখবর নেয়নি। আপু আপনি মামনিদেরকে অন্য কারো বাসায় যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছেন। তবে তারা একটু একটু বাংলা বলেছে এটা শুনে সত্যিই ভালো লাগলো। বাচ্চারা আপনাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করেছে আপু। ঠাকুরমার ঝুলির শাকচুন্নি গল্পটা মনে হয় যাদের ভালো লেগেছে।

বাঙালি মায়েরা নিজেদের সন্তানদেরকে যেভাবে আগলে রাখে,আমার মনে হয় না অন্য দেশী মায়েরা সেভাবে নিজেদের সন্তানদেরকে আগলে রাখে। দক্ষিণ কোরিয়াতে থাকতে এমন ঘটনা মাঝেমধ্যে শুনতাম। যাইহোক আপনার মেয়েদেরকে অন্য কারো বাসায় দীর্ঘ সময়ের জন্য না পাঠানো ই ভালো। কারণ সেখানকার কালচারের সাথে একেবারে মিশে গেলে সমস্যা। ছুটির দিনে বাচ্চারা তাদের বান্ধবীদের সাথে বেশ ভালোই আনন্দ করেছে দেখা যাচ্ছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ছুটির দিনে দেখছি আপনার দুই মেয়ে তাদের দুই বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিল। আসলে বাচ্চারা একসাথে হলে দুষ্টামি তো করেই। আমি তো মনে করি আমাদের দেশের প্রত্যেকটা মা বাচ্চাদেরকে অনেক ভালো ভাবে আগলে রাখে। আর এরকম ভাবে অন্য দেশে আগলে রাখে বলে তো মনে হয় না। বাচ্চাদেরকে কোথাও দীর্ঘ সময়ের জন্য না পাঠালেই ভালো। নিশ্চয়ই তাদের সবার কাছে ঠাকুমার ঝুলির শাকচুন্নি পর্ব টা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে আপনার আজকের পোস্ট। এক কথায় দারুন ছিল পুরোটা।