বিকালবেলায় সসেজ ফ্লাওয়ার এর মজার নাস্তা

in hive-129948 •  last year 

আসসালামুআলাইকুম,

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।


IMG_5153.jpeg

আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সসেজ এর মজার বিকালের একটি নাস্তার রেসিপি নিয়ে। সসেজ আমার অনেক পছন্দের, এমনকি আমার বাচ্চারাও পছন্দ করে। এই সসেজ বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়।তবে আজকে একটু ব্যতিক্রম ভাবে তৈরি করে ফেললাম, ডিম দিয়ে টেস্ট করে দেখলাম। নরমালি ওভেনেই করা হয়, তেলে ভেজে বেশি খাওয়া হয় না। আজকে হালকা একটু তেল দিয়ে সাথে ডিম এ্যাড করে দারুন মজার সসেজ রেসিপি তৈরি করে ফেললাম। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।

চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ

উপকরণপরিমাণ
সসেজএকটি বড় সাইজের অর্ধেক
ডিম১টি
লবনপরিমান মত
সয়াবিন তেল১ চা চামচ

কার্যপদ্ধতিঃ

IMG_5122.jpeg

IMG_5123.jpeg

যেহেতু সসেজ এর সাইজ অনেক বড় তাই মাঝ বরাবর কেটে নিয়েছি।

IMG_5127.jpeg

এরপর এভাবে চাকা চাকা করে কেটে নিয়েছি। পুরোটা কেটে ফেলিনি,একটু রেখে দিয়েছি যেন সেপারেট না হয়ে যায়।

IMG_5128.jpeg

এরপর এভাবে লম্বালম্বি ভাবে কেটে নিয়েছি।

IMG_5129.jpeg

এরপর দুই পিস এভাবে এক জায়গায় করে ফুলের মত বানিয়ে নিয়েছি।

IMG_5130.jpeg

এরপর দুটি বারবিকিউ এর কাঠি নিয়েছি ভালোভাবে জোড়া লাগানোর জন্য।

IMG_5132.jpeg

এরপর কাঠি দুটি ভেঙ্গে সসেজ পিস গুলো ভালোভাবে জোড়া লাগিয়ে নিয়েছি।

IMG_5133.jpeg

IMG_5134.jpeg

এরপর একটি ফ্রাই পেনে তেল গরম করে কাঠি দিয়ে লাগানো সসেজ গুলো দিয়ে দিয়েছি।

IMG_5135.jpeg

এরপর এর মাঝে ফাঁকা অংশে একটি ডিম ছেড়ে দিয়েছি।

IMG_5137.jpeg

এরপর ডিমে হালকা লবণ ছিটিয়ে নিয়েছি।

IMG_5138.jpeg

এরপর মিডিয়াম আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখেছি ৫-৬ মিনিটের জন্য।

IMG_5139.jpeg

IMG_5140.jpeg

এরপর ৫-৬ মিনিট পরে ঢাকনা খুলে সসেস গুলো উল্টিয়ে দিয়েছি।

IMG_5141.jpeg

এরপর আবারও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৪-৫ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি মিডিয়াম আঁচে।

IMG_5142.jpeg

৪/৫ মিনিট পরে হয়ে গেল আমার মজার সসেজ ফ্লাওয়ার এর রেসিপি।

IMG_5144.jpeg

IMG_5145.jpeg

পরিবেশনের জন্য রেডি।

IMG_5146.jpeg

Photographer@tangera
DeviceI phone 13 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে আপু সসেজ কি জিনিস সেটার সাথে আমি পরিচিত নয়। তবে যেহেতু ডিমের সাথে তেলে ভাজা রেসিপি তাই আমার ধারণা অনেক সুস্বাদু হবে আর মাঝখানে ডিমের অংশটুকু দেখে এমনিতেই লোভ লেগে যাচ্ছে যাই হোক টেস্ট না করলে এই রেসিপি সম্পর্কে কোন আইডিয়া হবে না। ভিন্ন ধরনের ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনার তৈরি করা এই নাস্তার রেসিপি দারুন হয়েছে। যদিও কখনো এই খাবারটি খাওয়া হয়নি। তবে মনে হচ্ছে খেতে দারুন লাগবে। আর যে কোন খাবারে ডিম দিলে খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। কারণ ডিম আমার ভীষণ পছন্দের। এত মজার খাবার বাচ্চারা তো পছন্দ করবেই। তাই তো বাচ্চারা অনেক পছন্দ করেছে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

দারুন মজার সসেজ রেসিপি শেয়ার করলেন। কিছুটা ডিফারেন্ট করে কোন খাবারের রেসিপি করলে তার স্বাদ আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনি মাঝে ডিম দিয়ে সসেজ ফ্লাওয়ার রেসিপি শেয়ার করলেন আপু। দেখতে কিন্তু দারুন হয়েছে। খেতেও ভীষণ মজার। আর বাচ্চাদের তো এই সসেজ খুব পছন্দের। খুব ভালো লাগলো আপনার রেসিপির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

দারুন একটি ইউনিক রেসিপি আজ শেয়ার করেছেন আপু। মাঝে মাঝে পছন্দের রেসিপি গুলো একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি করলে মন্দ হয়না। ডিম দিয়ে এভাবে চিকেন সসেস রেসিপি গুলো বাচ্চারা বেশ পছন্দ করে। আর আপনার করা আজকের রেসেপিটি কিন্তু বেশ লোভনীয় হয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর আর লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

এতদিন শুধু মুভি গুলোতেই এমন সসেজ আর বেকন ফ্রাই দেখতাম। আজ আপনার রেসিপিতে দেখে অনেক ভাল লাগছে, সেই সাথে জীভে জল ও চলে আসছে। ধন্যবাদ আপু নতুন ধরনের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

বাহ্! দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটা দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো। বিকেলের নাস্তায় এমন রেসিপি পেলে তো আর কোনো কথাই নেই। এককথায় বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। এই রেসিপিটা অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম। তবে আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

বাহ দারুন একটি রেসিপি শিখলাম। বাংলাদেশে এই সসেজটি আছে কি না সেটা আমার জানা নেই। যদি কখনো মার্কেটে পায় লুফে নিতে ভুলবো না। ডিম পোষ্ট করার দৃশ্যটা দারুন। ধন্যবাদ আপু।