লাইফ স্টাইলঃ নতুন ফ্রিজ কেনার অনুভূতি ❤️❤️

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি.........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার নতুন ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি।বেশ কিছুদিন ধরে লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করা হয়নি। তাই ভাবলাম আজ লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আশা করি আমার শেয়ার করা লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেখে আসা যাক আজকের লাইফ স্টাইল পোস্টটা।

বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তাভাবনা করছিলাম বাসায় একটা নতুন ফ্রিজ দরকার। কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য হয়ে উঠেনি। অবশ্য আমার বাসায় একটা ৮ সেপ্টি ফ্রিজ আছে সেটা একটু ছোট আর পুরানো হয়ে গেছে। আর যেহেতু আমি বাসায় থাকি তো ছোট ফ্রিজ হলেও সমস্যা নাই। ফ্রিজ চেঞ্জ করার মূল কারণ হলো পুরানো হয়ে গেছে।এরপর যেমন ভাবনা ঠিক তেমনি কাজ।বিকালবেলা আপনাদের ভাই ও আইয়ান বাবুকে নিয়ে বের হয়ে গেলাম ফ্রিজ কেনার উদ্দেশ্যে। আমি ওয়ালটনের পণ্যগুলো বেশি পছন্দ করি। আমি আমার বাসায় যে পণ্যগুলো ব্যবহার করি সবই ওয়ালটনের জিনিস।আমার বাসা থেকে যেহেতু বাজারটা বেশি দূরে না তাই আমরা ১০ মিনিটের মধ্য বাজারে পৌঁছে যাই।বাজারে গিয়ে দু একটা ওয়ালটন শোরুমে আমরা প্রথম যাই এবং সেখানে গিয়ে ফ্রিজ দেখতে থাকি। তবে আমি ফ্রিজটা নিবো ২৩ সালের মডেল। আমি যেদিন শোরুম গুলোতে গিয়েছিলাম সেখানে ২৩ এর মডেল দু একটা করেছিল কিন্তু আমার মন মত পছন্দ হচ্ছিল না। এরপর জানতে পারলাম ওয়ালটন প্লাজাতে আমরা সব রকম পণ্য পাব তাও আবার মন মত। এরপর আর দেরি না করে আমরা সোজা ওয়ালটন প্লাজাতে চলে যাই। বাহ্ সেখানে গিয়ে দেখলাম আবার কিস্তিতেও যেকোনো পণ্য ক্রয় করা যায়। কিন্তু আমি তো আর কিস্তিতে নিব না, আমি নগদ টাকা দিয়ে ফ্রিজ কিনবো। যেহেতু আমি নগদ টাকা দিয়ে ফ্রিজ কিনব তাই ১২ % ডিসকাউন্ট পেলাম। যেহেতু আমি ২৩ এর মডেলটা নিব আর ওয়ালটন প্লাজাতে গিয়ে মন মত পেয়েও গেলাম। এরপর আপনাদের ভাইও আমি একটা ফ্রিজ পছন্দ করলাম। ফ্রিজটা ছিল ১৪ সেপ্টি । বাসায় আমার এর চেয়ে বড় ফ্রিজের প্রয়োজন নেই। যেহেতু আমার পরিবারের লোক সংখ্যা আমরা মাত্র তিনজন সেহুতু এই ফ্রিজটাই আমাদের জন্য ঠিক।

বিশেষ করে ২৩ সালের মডেলটা পছন্দ হওয়ার কারণ এটা ডিপে ও আলো জ্বলে। আপনারা হয়তো ছবির মাধ্যমেও দেখতে পারছেন আলো জ্বলছে । আর এই আলো জ্বলার কারণে অনেকটায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আর সাধারণ সব ফ্রিজের নরমালে তো আলো জ্বলেই। যেহেতু আমাদের ফ্রিজ পছন্দ করা হয়ে গেছে তাই ওখানকার কর্মচারী ভাইদেরকে আমরা বলি ফ্রিজটা ঠিক আছে কিনা সবকিছু চেক করে দেওয়ার জন্য। এরপর সেই ভাইয়েরা আমাদের সামনে সবকিছু লাইন চেক করলো এবং আমরা দেখলাম সবকিছু ঠিক আছে।

এরপর যেহেতু আমাদের এদিকের কাজ সব কমপ্লিট করা হয়ে গেছে, তাই আমরা এবার মেমো করতে চলে যাই। ফ্রিজের মূলদাম ছিলো ৪০,৯৯০ টাকা। যেহেতু আমরা ১২% ডিসকাউন্ট পেয়েছি তাই সেই টাকাটা বাদে আমাদের কে ৩৪,৪০০ টাকা দেওয়া লাগলো। এরপর শোরুমের যে ভাইটি মেমো করছিল তার হাতে আপনাদের ভাই টাকাটা বের করে দিল। এরপর টাকা-পয়সার কার্যক্রম মিটে গেলো এবং আমাদেরকে মেমো দিয়ে দিল। এরপর ওই ভাইটা আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করল আপনারা কি ভ্যান সাথে করে নিয়ে এসেছেন ফ্রিজ নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন আপনাদের ভাই বলল না ভাই। তারপর শোরুমের ওই ভাইটি বলল ঠিক আছে তাহলে আমরা ভ্যানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আপনাদেরকে। আপনাদের ভাই বলল আচ্ছা ঠিক আছে ভাই।

এরপর ভ্যান চলে আসলো। যেহেতু ফ্রিজ কার্টুন করা হয়ে গিয়েছিলো তাই আর বেশি দেরি হয়নি। ভ্যান আসার সাথে সাথেই ফ্রিজটা ভ্যানে উঠে উঠানো হয়। যেহেতু বাজার থেকে আমার বাসায় বেশি দূরে না তাই ১৫০ টাকা ভ্যান ভাড়া চাইলো। আমি বললাম ঠিক আছে। তারপর সেই লোকটা আমাদেরকে বলল আপনারা যেহেতু বাইকে যাবেন তাহলে আপনারা আগে আপনাদের বাসায় চলে যান। আমি ফ্রিজ টা নিয়ে চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের সামনে আসতেছি। তখন আমরা বললাম ঠিক আছে ভাই তাহলে আপনি সাবধানে আস্তে আস্তে আসেন। তারপর সেই ভাইটি ফ্রিজ নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আমার বাসার সামনে এসে হাজির হলো। যেহেতু ফায়ার সার্ভিসের অফিস আর আমার বাসায় একসাথে তাই উনার চিনতে কোন সমস্যা হয়নি। এরপর আর কি নতুন ফ্রিজ বাসায় চলে আসলো। ফ্রিজটা দেখে খুবই আনন্দ হচ্ছিল। আর আমি কতটা আনন্দিত ছিলাম সেটা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না।আসলে ঘরে যখন নতুন একটা জিনিস আছে তখন কার না ভালো লাগে বলুন।