ফটোগ্রাফি পোস্টঃ আমার ধারণ করা কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি 📸

🌿🥰👰🥀আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি আমার পরিবার পরিজনকে নিয়ে আপনারাও নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন পরিবারের সকল সদস্যদেরকে নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।ফটোগ্রাফি করতে বরাবরই আমি অনেক পছন্দ করি। আশা করি আমার ধারণ করা ফটোগ্রাফি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

_Location

প্রথম ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পারছেন এটি একটি গোলাপি রঙের জবা ফুল। জবা ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর। ছোট ছোট সবুজ পাতার ফাঁকে বড় বড় জবা ফুলগুলো যখন ফুটেছিল দেখতে খুবই দারুণ লাগছিল। জবা ফুলের কালারটা অনেক গারো গোলাপি রঙের। জবা ফুলের পাপড়ি গুলো খুবই নরম। জবা ফুলের মাঝে একটি কলি আছে এবং কোলির মাথায় ছোট ছোট হলুদ রঙের হুল টাইপের আছে এজন্য ফুলটি দেখতে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

_{ফটোগ্রাফার - তানহা}

_{ডিভাইস - রেডমি নোট ১১
Location}

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পারছেন এ ফুলটির নাম আমি সঠিক মনে করতে পারছি না। আজ আমি নার্সারিতে গিয়েছিলাম কিছু গাছ কেনার জন্য। নার্সারিতে গিয়ে বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ দেখে সাথে সাথে আমাদের ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে ফেলি।আমি নার্সারি থেকে এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। ফুলটি দেখতে খুবই চমৎকার লাগছিল। ফুলের রংটি ও বেশ দারুন। ফুলের পাপড়ি গুলো খুবই পাতলা দেখতে এবং নরম। এই ফুল গাছের পাতাগুলো দেখতে অনেক চমৎকার। গাছগুলো অনেক বড় বড় এবং ঝাপালো হয়ে থাকে।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

_{ফটোগ্রাফার - তানহা}

_{ডিভাইস - রেডমি নোট ১১
Location}

তৃতীয় ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন এটি একটি রঙ্গন ফুলের ফটোগ্রাফি। ফুলগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। সবুজ পাতার ফাঁকে যখন লাল লাল ফুলগুলো ফুটে থাকে তখন দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগে। রঙ্গন ফুল আমার অনেক পছন্দের।এই ফুলগুলো যখন গাছে ফুটেছিল তখন আমি দেখেই সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। রঙ্গল ফুল গাছের পাতাগুলো বেশ বড় বড় এবং লম্বা লম্বা। রঙ্গন ফুলের চারটি করে পাপড়ি থাকে এবং পাপড়ি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এক কথায় বলতে গেলে ফুলটি দেখতে খুবই চমৎকার।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

_{ফটোগ্রাফার - তানহা}

_{ডিভাইস - রেডমি নোট ১১
Location}

চতুর্থ ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পারছেন এই ফুলটির নাম আমি সঠিক জানিনা। এই ফুলকি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি যখন প্রথম এই ফুলটি দেখেছিলাম তখন ভেবেছিলাম ঢেঁড়স গাছের ফুল। ঢেঁড়স গাছ যেমন দেখতে এই ফুলগাছটি ঠিক তেমনি দেখতে।শুধুমাত্র ও ফুলের রং আলাদা।এই ফুল গাছের পাতাগুলো অনেক বড় বড় এবং ফুলগুলোও বেশ বড় বড় আকারের ফুল হয়। ফুলের পাপড়ি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর এবং ফুলের কালার টা ও বেশ চমৎকার।এই ফুলের মাঝে ছোট কলি থাকার জন্য আরো অনেক বেশি চমৎকার লাগছে।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

_{ফটোগ্রাফার - তানহা}

_{ডিভাইস - রেডমি নোট ১১
Location}

পঞ্চম ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো আপেল পাতাবাহার গাছ।আজ আমি যে নার্সারিতে গিয়েছিলাম ফটোগ্রাফি টা আমি সেখান থেকেই করেছি। আমি এই গাছটির নাম জানতাম না পরে নার্সারি মালিক ওই আঙ্কেলের কাছ থেকে নামটি জেনে নিয়েছি।আপেল পাতাবাহার কাজটি দেখতে খুবই চমৎকার। এই গাছের পাতাগুলো গোল গোল এবং ঢেউ কাটা।সবুজ পাতার সাথে সাদার মিশ্রণে মিশ্রিত এজন্য দেখতে পাতাগুলো অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

_{ফটোগ্রাফার - তানহা}

_{ডিভাইস - রেডমি নোট ১১
Location}

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পারছেন এটা হল সাধারনের অলকানন্দা ফুলের ফটোগ্রাফি। ফুলের পাপড় গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। সাদা ফুলের মাঝে হলুদ রঙের মিশ্রণে মিশ্রিত এর জন্য দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে।ছোট ছোট সবুজ পাতার ফাঁকে যখন এই সাদা ফুলগুলো ফুটে থাকে তখন দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। এই ফুল গাছের পাতাগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ফুলগুলো। পাপড়িগুলো অনেক বড় বড় এবং অনেক নরম।কথায় বলতে গেলে অসাধারণ একটি ফুল।

পোস্টের ধরন	ফটোগ্রাফি পোস্ট
ফটোগ্রাফার	তানহা তানজিল তরসা
ডিভাইস	রেডমি নোট ১১
লোকেশন	পাবনা

আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।

১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।