গন্তব্য যখন বাবার বাড়ি

in hive-129948 •  6 months ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বাবার বাড়িতে এসেছি। এই পোস্টটি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু বছরে খুব বেশি বাবার বাড়িতে আসা হয় না। এত কাছে বাবার বাড়ি কিন্তু বছরে ২-৩ বারের বেশি সময় হয়ে ওঠেনা। এর প্রধান কারণ হলো আমার শ্বশুরবাড়ি অন্যদিকে হওয়ার কারণে। দেখা যায় বেশিরভাগ সময় বাচ্চাদের স্কুল ছুটি হলে বা ঈদের সময় আসলে শশুর বাড়ির ওই দিকটা যাওয়া হয়। এর জন্য আর বাবার বাড়ি আসা হয় না। কিন্তু এবার যেহেতু ঈদে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া হয়নি তাই এই সুযোগটি নিয়ে নিলাম। ঈদের একদিন পরেই রওনা দিলাম বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে। বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা মনে হলে কেমন যেনো একটা ভালো লাগা কাজ করে। প্রতিটি মেয়েরই হয়তো এরকম হয়। যেখানে ছোট থেকে বড় হওয়া সেই এলাকার নাম শুনলে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে।



IMG20240619132327.jpg


আমার ইচ্ছে ছিল ঈদের পরদিন রওনা দেওয়ার। কিন্তু তৌহিদা আপু আর আমি একসঙ্গে যাব। ও ঈদের পরদিন যেতে রাজি হল না। তাই একদিন পরে রওনা দিলাম। সকালবেলা বাসা থেকে দশটার দিকে রওনা দিয়েছি তৌহিদা আপুর বাসার উদ্দেশ্যে। যেহেতু ওর বাসার পাশেই বাসস্ট্যান্ড। তাই ওখানে গিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া হয়। ঈদের সময় ঢাকা একদম ফাঁকা থাকে। মাত্র ২৫ মিনিটের উবারে তৌহিদা আপুর বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তৌহিদা আপু রেডি না। পরে আবার উপরে উঠে ওর বাসায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারপরে সেখান থেকে রওনা দিলাম বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে।


IMG20240619113944.jpg


IMG20240619131754.jpg


শুরুর দিকে রাস্তা বেশ ফাঁকা পেয়েছিলাম। কিন্তু যতই বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসছিলাম ততই যেন জ্যামের পরিমাণ বাড়ছিল। সায়দাবাদের কাউন্টারে ঢুকতেই অনেক সময় জ্যামে বসে থাকতে হয়। গিয়ে দেখি কাউন্টারে প্রচন্ড ভিড়। তারপরে দেখি বাস ৩০ মিনিট পরে ছাড়বে। ঝটপট টিকিট কেটে নিলাম। কিন্তু ৩০ মিনিটের কথা বললেও বাস ঠিক এক ঘণ্টা পরে ছাড়লো। ছাড়ার পর মাত্র দুই ঘন্টা লাগে ফরিদপুর যেতে। কিন্তু সেদিন ঢাকা থেকে বের হতে এক ঘন্টা সময় পার হয়ে গিয়েছিল। এত জ্যাম ছিল ওই দিকটায়।


IMG20240619131757.jpg


IMG20240619134953.jpg


ওই এক ঘন্টা জ্যাম পার হওয়ার পর অল্প সময়ে লেগেছিল ফরিদপুর পৌঁছাতে। সবসময় এসি বাসে যাওয়া হয়। সেদিন আর কেন যেন দেরি করতে ইচ্ছা করছিল না। তাছাড়া ওয়েদারও খুবই চমৎকার ছিল। তার জন্য নন এসি বাসেই রওনা দিলাম। পরে মনে হল যে এই বাসে আসার সিদ্ধান্তটা খুব ভালো হয়েছে। এত চমৎকার ওয়েদারে জানালা খুলে বাতাস গায়ে লাগাতেও খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে পদ্মা সেতুর উপরে উঠার পর মনে হচ্ছিলো যে বাস বাতাসে পড়ে যাব। এত বাতাস হচ্ছিলো। আর ছবি দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে কিরকম মেঘলা ওয়েদার ছিল। মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এদিকটা রাস্তার মাঝে খুব সুন্দর ফুল গাছ লাগানো। এত রংবেরঙের ফুল দেখতে খুব ভালো লাগছিল।


IMG20240619134941.jpg


IMG20240619135438.jpg


রাস্তার প্রকৃতি দেখতে এতো ভালো লাগছিল যে তাই কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। সেতু পার হওয়ার পর খুব অস্থির লাগছিল যে কখন পৌঁছাব। এজন্য তারপরে আর ফটোগ্রাফি করা হয়নি।


অবশেষে আল্লাহর রহমতে সুস্থ মতো বাসায় পৌঁছতে পেরেছিলাম। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

@tipu curate

যেরকম আবহাওয়া পেয়েছেন তাতে এসি বাস ছাড়াই সৌন্দর্যটা ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছেন। এসি বাসে তো আর জানালা খোলা যায় না, এমন আবহাওয়া জানালা না খুললে পুরোপুরি উপভোগ করা যায় না। যাই হোক ঢাকা থেকে দুই বোন একসাথে ফরিদপুর বাবার বাড়িতে ফেরার গল্পটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া এসি বাসে গেলে এরকম আবহাওয়ার সৌন্দর্য উপভোগ করা যেত না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

বাবার বাড়ি গেলেন দু বোন মিলে।ওয়েদারটা সত্যি ই দারুন ছিল।তাই এসি বাসে ন গিয়ে ভালো ই করেছেন।শ্বশুরবাড়ি আর বাবার বাড়ি দুদিকে হলে ঝামেলাই বটে।যাক সুস্থ ভাবে পৌঁছাতে পারলেন এটাই বড় কথা।আশাকরি সময়গুলো চমৎকার কাটবে।

জি আপু বাবার বাড়িতে এসেছি। ফেরত যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ঈদের পরে সব মেয়েরাই বাবার বাড়িতে যাই। আর যখন তারা শুনে যে বাবার বাড়িতে যাবে তখন তাদের ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া হয় না। কখন বাবার বাড়িতে গিয়ে পা রাখবে। যাই হোক এটা এক অন্যরকম অনুভূতি। যা লিখে বা বলে বুঝানো সম্ভব হবে না। যাত্রাপথে যেতে যেতে পদ্মা সেতুর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালই লাগছে। এমন ওয়েদার থাকলে নন এসি বাসে ভ্রমণ করতে বেশি আরাম লাগে। ধন্যবাদ আপু

আমার কখনোই ঈদের পরে বা আগে বাবার বাড়িতে যাওয়া হয় না। কারণ শ্বশুর বাড়ি অনেক দূরে। ওই দিকেই যেতে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আসলে আমি মনে করি বিয়ের পরে প্রত্যেকটা মেয়ের মধ্যেই এই অনুভূতিটা কাজ করে থাকে। ঈদের পরে বাবার বাড়িতে আসার কথা শুনলে অনেক বেশি আনন্দ লাগে সব মেয়ের কাছেই। ঈদের পরে আপনি এবং তৌহিদা আপু একসাথে আপনাদের বাবার বাড়িতে এসেছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনারা সব বোনেরা মিলে এখন নিশ্চয়ই নিজেদের বাবার বাড়িতে এসে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করতেছেন। বাবার বাড়িতে আসার মুহূর্তটা সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এটা দেখে খুব ভালো লাগলো।

ঠিক বলেছেন আপু বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা না শুনলে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। আসলে এবার অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ঈদের পর পরই দেখছি বাবার বাড়িতে এসেছেন আপু। ঈদ উপলক্ষে এখন যেহেতু বাবার বাড়িতে রয়েছেন, মনে তো হচ্ছে খুবই ভালো সময় কাটানো হচ্ছে বাবার বাড়িতে এখন। আবার সব বোন এখন একসাথে । সব বোনেরা একসাথে হলে তো আবার আড্ডা বেশ ভালোই জমে। সবাই একসাথে থাকলে আরো ভালো সময় কাটানো যায়। আপনি এবং তৌহিদা আপু দুজন একসাথে গিয়েছিলেন এটা তৌহিদা আপুর পোস্টে পড়েছিলাম। আর আজকে আপনিও শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো।

জ্বী ভাইয়া অনেকদিন পর সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। এখন ফেরার সময় হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময় সবারই অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে। আর যেখানে আমাদের বেড়ে ওঠা সেই জায়গাতে যাওয়ার আনন্দটা সত্যি অনেক বেশি। তৌহিদা আপুসহ একসাথে বাড়ি গিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি আপু এই আনন্দটা অনেক বেশি।

একদম ঠিক বলেছেন আপু যেই জায়গায় বেড়ে ওঠা সেই জায়গার প্রতি অন্যরকম একটা আকর্ষণ থেকেই যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ঠিকই বলেছেন সেদিন ঢাকার ভিতরে তেমন একটা জ্যাম হয়নি । তবে বাসে উঠার পরে অনেক সময় বসে থাকতে হয়েছে । তবে সেদিনকার জার্নিটা কিন্তু অনেক ভালো লেগেছিল একটু বৃষ্টি হওয়ার কারণে । বিশেষ করে পদ্মা সেতুতে ওঠার পরে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ।খুব সুন্দরভাবে পৌঁছে যেতে পেরেছি এটাই বড় কথা ।

শুরুর জ্যাম পার হওয়ার পর জার্নিটা বেশ সুন্দর কেটেছিল। যা না না কালকে কি রকম ওয়েদার থাকবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।