আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত বছর বৃক্ষ মেলায় গিয়ে অনেক গাছ কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বেশিরভাগ গাছগুলোই মারা গিয়েছে শুধু গোলাপ গাছ দুটি ছাড়া। গোলাপ গাছ দুটিতেও তেমন ফুল ফুটে না এখন আর। বৃক্ষ মেলায় বা নার্সারিতে গাছগুলো দেখে যত সুন্দর মনে হয় এই গাছগুলো বাসায় কিনে নিয়ে আসলে কেন যেন বেশি দিন বাঁচে না। তারপরও বৃক্ষ মেলায় গেলে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখা যায়। সেগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। এবারও বৃক্ষমেলায় যাওয়ার জন্য আগে থেকে প্ল্যান করে রেখেছিলাম। কিন্তু বৃক্ষ মেলা কবে শুরু হয়েছে তার খোঁজ নেইনি। হঠাৎ করে একদিন শুনি যে বৃক্ষ মেলা প্রায় শেষের দিকে। ভেবেছিলেন ছুটির দিনে যাব। ছুটির দিন ছাড়া তো আমাদের আবার যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ আমাদের বাসা থেকে বৃক্ষমেলা বেশ খানিকটা দূরে। যেদিন যাব তার আগের দিন হঠাৎ করে রংপুরে চলে যেতে হয়েছিল। সেজন্য আর যাওয়া হয়নি। তাই ভেবেছিলাম এবার হয়তো আর যাওয়াই হবে না। কিন্তু ফিরে এসে দেখি তখনো বৃক্ষ মেলা শেষ হয়নি। শনিবারে বৃক্ষ মেলা শেষ দিন। তাই ভাবলাম যে শেষের দিনে হলেও ঘুরে দেখে আসি।
ঢাকায় যাদের ড্রাইভার নেই নিজেরা গাড়ির ড্রাইভ করে তাদের জন্য যেকোনো জায়গায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া বেশ মুশকিল। ঢাকা শহরের সব জায়গায় পার্কিং তেমন একটা পাওয়া যায় না। বৃক্ষ মেলায় গিয়ে পার্কিং পাব কিনা সেই চিন্তা করে আর গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়নি। উবার কল করে উবারে করে গিয়েছিলাম। আমার বড় ছেলের আবার এক সমস্যা সে আমাদের গাড়িতে উঠলে কোন ঝামেলা করে না। কিন্তু উবারে উঠলেই তার খারাপ লাগে বমি পায়। কি আর করার তারপরও যেতে হল তাকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে। অবশেষে বৃক্ষ মেলায় পৌছালাম।
শুরুতে গেট দিয়ে ঢোকার পরপরই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এত মানুষের ভিড় তার উপরে আবার শুরুর ডেকোরেশনটা একেবারে গতবারের মতো করেছে। তখনই বুঝতে পেরেছি খুব একটা পরিবর্তন হবে না এবার। গতবারের তুলনায় কিছুটা হলেও ভিন্নতা আনতে পারতো। তাহলে লোকজনের ভালো লাগতো।
আকাশ খুবই মেঘলা ছিল। মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় বৃষ্টি আসবে। এই কারণে পরিবেশটা আরো বেশি গরম হয়ে গিয়েছিল। ঢুকে বুঝতে পারছিলাম যে আজকে ঘুরতে গেলে খুব কষ্ট পেতে হবে। তারপর শুরু করলাম একপাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি।
আজ এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে বৃক্ষ মেলায় ঘোরাঘুরির বাকি অংশটুকু শেয়ার করবো। সেদিনকার গরমের কথা মনে পড়ে আর ভালো লাগছে না। যাই হোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি নিয়ে দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | i phone 15 pro max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বৃক্ষ মেলায় গিয়ে দেখছি অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। বৃক্ষ মেলায় এভাবে ঘুরাঘুরি করতে কিন্তু ভালোই লাগে। কারণ অনেক রকম গাছের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। বৃক্ষ মেলার সৌন্দর্য আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে। বৃক্ষ মেলায় কাটানোর কিছু মুহূর্ত আজকে শেয়ার করেছেন, যেটা দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছে। পরবর্তী মুহূর্তগুলো আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পড়তে পারবো। বাকি অংশ আশা করছি তাড়াতাড়ি শেয়ার করে নিবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশি একটা ভালো সময় কাটাতে পারিনি ভাইয়া প্রচন্ড রকম গরম ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও গিয়েছিলাম বৃক্ষ মেলায়। আপনার মতো আমিও শেষ হওয়ার দু'দিন আগে গিয়েছিলাম। বৃক্ষ মেলা শুরু হওয়ার পরই আমি চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। তাই ভেবেছিলাম মনে হয় বৃক্ষ মেলায় যাওয়াই হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছি এটাই শান্তি। বৃক্ষ মেলায় গেলে অনেক গাছ দেখা যায় ও নতুন নতুন অনেক গাছ চেনা যায় বলে আমার বেশি ভালো লাগে। তাই চেস্টা করি প্রতি মেলায় যেতে। তবে আপনিও যে মেলার শেষ দিন গিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো বাচ্চাদের নিয়ে গিয়েছেন বলে। তারাও নতুন নতুন গাছ চিন্তে পারবে বলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনারও তো দেখছি আমার মত অবস্থা। আমি শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছিলেন। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও এই ব্যাপারটা খেয়াল করেছি আপু, বৃক্ষ মেলায় গাছগুলো দেখতে যতটা সুন্দর লাগে, বাড়ি এনে সেগুলোকে বড় করলে ততটা সুন্দর লাগে না। অনেক গাছ তো মরেও যায় কিছুদিন পর। তবে আপু বৃক্ষ মেলার আয়োজনটা দেখে আমার কাছে কিন্তু খুব বেশি একটা পছন্দ হলো না। যদিও আপনি শেষের দিন গেছেন সেই কারণে হয়তো এরকম হতে পারে। যাই হোক, পরবর্তী পর্বে হয়তো আরো অনেক কিছু দেখতে পাব বলে আশা রাখছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওরা অনেক বেশি যত্ন করে গাছগুলোকে তৈরি করে। বাসায় আনার পর যত্নের অভাবে এগুলো মারা যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit