আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি

in hive-129948 •  yesterday 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে একটি রেসিপি শেয়ার করবো। তা হলো বাইম মাছের রেসিপি। বাইম মাছ মাঝে মধ্যে খেতে বেশ ভালোই লাগে। কিন্তু আমার হাজবেন্ড তেমন একটা পছন্দ করে না। এজন্য খুব একটা খাওয়া হয় না। আমার কাছে বাইম মাছের চামড়াসহ খেতে ভালো লাগে। কিন্তু এবার যখন বাইম মাছ নিয়ে এসেছিল তখন বাজার থেকে চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিল। আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকার লোকজন এই টাইপের মাছের চামড়া ফেলে দিয়ে খায়। এজন্য হাজবেন্ড ওভাবেই নিয়ে এসেছিল। যে কোন মাছ রান্না করতে গেলে আমার কাছে আলু বেগুনের কথা প্রথমে মনে আসে। তাই বেশিরভাগ সময় সবজি দিয়ে রান্না করতে গেলে আলু বেগুন দিয়েই রান্না করি। আলু বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুব মজা লাগে। আজকের রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছিল। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।


IMG20240521095705.jpg




বাইম মাছ
আলু
বেগুন
পিঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
আদা বাটা
রসুন বাটা
পিঁয়াজ বাটা
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
ধনিয়া গুঁড়া
জিরা গুঁড়া
ধনিয়া পাতা
লবণ
তেল


GridArt_20240925_224126120.jpg



প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে আলুগুলো ভেঁজে একটি বাটিতে উঠিয়ে রেখেছি।


IMG20240521092103.jpgIMG_20240925_224335.jpg

ওই তেলের মধ্যে পিঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ দিয়েছি। পিঁয়াজ কাঁচা মরিচ একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলা দিয়েছি।


IMG20240521092303.jpgIMG20240521092438.jpg

বাটা মশলা একটু ভেঁজে নিয়ে গুঁড়া মশলা দিয়েছি। মশলাগুলো কষিয়ে নিয়ে মাছগুলো দিয়েছি।


IMG20240521092549.jpgIMG20240521092717.jpg

মাছগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে আবারো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।


IMG20240521092954.jpgIMG20240521093454.jpg

মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে উঠিয়ে রেখে ওই মসলার ভিতর আলু বেগুন দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240521093538.jpgIMG20240521093540.jpg

আলু বেগুনগুলো মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।


IMG20240521093557.jpgIMG20240521093716.jpg

তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি আলু বেগুন সেদ্ধ হওয়ার জন্য। আলু বেগুন সিদ্ধ হয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240521093733.jpgIMG20240521094354.jpg

তারপর আরো একটু পানি দিয়ে দিয়েছি ঝোলের জন্য। কিছুক্ষণ পর রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এখন জিরা গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240521094412.jpgIMG20240521095218.jpg

তারপর ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।


IMG20240521095332.jpgIMG20240521095525.jpg

IMG20240521095657.jpg


এখন একটু বাটিতে পরিবেশন এর জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাইম মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা বাইম মাছের রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বাইম মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। বেশ মজাদার হয়েছিল।

IMG_3039.png

IMG_3040.png

IMG_3041.png

image.png

আরে আপনি তো দেখছি আজ আমার ফেভারিট রেসিপিটা তৈরি করলেন। রেসিপিটা দেখে ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলি। আসলে পছন্দের রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো যায় না। এত মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখেই ভালো লাগছে। যে কেউ কিন্তু সহজে এই রেসিপিটা তৈরি করে নিতে পারবে আপনার উপস্থাপনা দেখে। কারণ তৈরি করার পদ্ধতি আপনি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। দেখে বুঝতে পেরেছি মজা করে খাওয়া হয়েছে এই খাবারটা।

হ্যাঁ বাইম মাছের চামড়া সহ খেতে অনেক মজা লাগে। চামড়ার অংশটায় প্রচুর চর্বি থাকে যেটা বেশি সুস্বাদু। বাজার থেকে চামড়া ছাড়িয়ে কখনো বাইমা মাছ কেনা হয়নি যাই হোক বাইম মাছের রেসিপিটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক লোভনীয় হবে। মজাদার রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

বাইম মাছের চামড়া ছাড়িয়ে নিলে মাংসের মতো লাগে। তাছাড়া আলু বেগুন দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলেই খেতে ইচ্ছে করে। আমিও কোনো কিছু রান্না করতে গেলে আগে আলু বেগুনের কথা মনে পড়ে। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আলু বেগুন দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি করেছেন। অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে তা রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

আপু আপনি অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।বাইম মাছ আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে এই ভাবে রান্না করলে সেটা খেতে আরো বেশি মজা লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্না টি দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

আপু রেসিপিটি কিন্তু দারুন হয়েছে। আপনি বেশ সুন্দর করে আপনার তৈরি করা রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমার তো মনে হয় আপনার শেয়ার করা রেসিপিটি দিয়ে কম পক্ষে দু তিন প্লেট ভাত অনায়াসে খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

অনেকদিন হয়েছে বাইম মাছ খাওয়া হয় না। আপনি তো দেখছি আলু বেগুন দিয়ে খুব মজাদার ভাবে বাইম মাছের রেসিপি তৈরি করে নিলেন। আপনার রেসিপিটা দেখেই তো অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। বুঝতেই পারছি এটা খেতে দারুন লেগেছিল। অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছিল নিশ্চয়ই।

আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের অনেক সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এর আগে কোনদিন বাইম মাছের রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।

বাইম মাছ আমাদের বাসায় তেমন একটা আনা হয় না। তাই এই মাছ অনেক কম খাওয়া হয়। তবে আমার কাছে মাছটা বেশ সুস্বাদু লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। রেসিপির কালার টা বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

বাইম মাছ চামড়া ফেলে দিয়ে তারপর রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। ফুলকপি আর টমেটোর কম্বিনেশনে কিন্তু খেতে দারুণ লাগে আপু ট্রাই করতে পারেন একদিন।

আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার ও সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন পরিবেশনটা অসাধারণ হয়েছে।

গতকাল আমি মামার বাসায় এই বাইম মাছের রেসিপি খেয়েছি। আর এই রেসিপি খেতে মজাদার হয়েছিল। আসলে এই রিসিটের পরিবেশনটা আমার কাছে ভালো লেগেছে, তাই আপনার রেসিপি দেখতে ভালো লাগলো।

আপু আপনি অনেক সময় নিয়ে যত্ন সহকারে আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। এই বাইম মাছ আমার খুবই পছন্দনীয় একটি মাছ। শীতের সকালে এই বাইম মাছ গুলো জমাট বেঁধে থাকতো যা দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো। তাছাড়া আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে বাইম মাছের রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বাইম মাছ টা দেখে মনে হচ্ছে বেশ বড় ছিল। বাইম মাছ আমার বেশ পছন্দের। বাইম মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টা বেশ চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।