ছুটির দিনের ঘুরাঘুরি

in hive-129948 •  14 days ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। গত দুইদিন থেকে শরীর খুব খারাপ যাচ্ছে। মঙ্গলবার থাইরয়েডের টেস্টের রিপোর্ট এনে দেখি থাইরয়েড অনেক বেড়ে গিয়েছে। ডাক্তারের কাছে গেলাম ডাক্তার প্রেসার মাপার পরে দেখে প্রেসার অনেক বেশি। কিন্তু আমার শরীরের কোন প্রবলেম হচ্ছিল না। তারপর ডাক্তার দেখিয়ে ঔষুধ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। পরের দিন বেশ ভালোই ছিলাম। বৃহস্পতিবার সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছি। বাসা থেকে বের হব তার আগে কেমন যেন শরীর খারাপ লাগছিল। তাই হাজবেন্ডকে বললাম প্রেসার মাপার জন্য। প্রেসার মাপার পর দেখলাম যে প্রেসার অনেক বেশি। তাই আর স্কুলে যাওয়া হয়নি। সেদিন সারাদিন খুব খারাপ গিয়েছে শরীর। এদিক দিয়ে কাজের খালা সাত দিনের ছুটি নিয়েছে। এখনো আসেনি। বাসার কাজ করতে করতে এরকম খারাপ অবস্থা। যদিও দুইদিন অন্য লোক এনে কাজ করিয়ে নিয়েছি। শুক্রবার আর বাসায় রান্না করিনি। আমার হাজবেন্ড রান্না করতে দিল না এই শরীর খারাপ অবস্থায়। দুপুরবেলা বাইরে খেতে চলে গিয়েছিলাম পূর্বাচলের ঐদিকে ভর্তা ভাত খাওয়ার জন্য। যেহেতু শরীর খারাপ ফাস্টফুড টাইপের খাবার খাওয়া যাবে না।



IMG_3365.jpeg


IMG_3367.jpeg


পূর্বাচলে এর আগে একবার গিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে বাংলা খাবার খেয়েছিলাম। খুবই মজা ছিল খাবারগুলো। তাই ভাবলাম যে সেই রেস্টুরেন্টে যাই খাওয়ার জন্য। যাওয়ার পর শুনলাম যে তাদের আজকে বুকিং আছে। বাইরের লোকদের খাবার দেওয়া যাবে না। তাই সেখান থেকে চলে এসে পাশের একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম। সেখানেও দেখলাম যে প্রচণ্ড রকম ভিড়। শুক্রবার এজন্য আমার হাজব্যান্ড বাইরে কোথাও যেতে চায় না। যেখানেই যাওয়া যায় সেখানেই লোকজনের জন্য শান্তি পাওয়া যায় না। পরে কি আর করবো। এদিক দিয়ে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বাচ্চারা ক্ষুধার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছে। পড়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম লোকজনের খাওয়া শেষ হওয়ার জন্য। বিয়ে বাড়ির মত অবস্থা। কারো খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন বসে পড়ছিল। আমরাও ওয়েটারকে বলে রাখলাম যে ফাঁকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আমাদেরকে একটি সিট দেয়।


IMG_3372.jpeg


IMG_3369.jpeg


পূর্বাচলের ওদিকে রেস্টুরেন্ট গুলো খুব ভালো লাগে দেখতে। একেবারে গ্রামীণ পরিবেশের মতো সাজিয়ে রাখা। ছোট ছোট দোতলা ঘর গুলোর কারণে আরো বেশি ভালো লাগে। এখানে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট সন্ধ্যার পরে খুলে। দিনের বেলা খুব একটা রেস্টুরেন্ট খোলা পাওয়া যায় না। অল্প যেগুলো রেস্টুরেন্ট খোলা থাকে সেগুলোতে অনেক ভিড় থাকে। এই রেস্টুরেন্টটিতে হোন্ডা কোম্পানির একটি প্রোগ্রাম হচ্ছিলো। অনেক লোকজন এসেছিল। তারা রেস্টুরেন্টের একটি সাইড বুক করে নিয়েছিল। এজন্য রেস্টুরেন্টিতে আরো অনেক বেশি ভিড় লেগেছিল।


IMG_3366.jpeg


IMG_3373.jpeg


অবশেষে আমরা বসার জায়গা পেলাম এবং খাবার অর্ডার দিলাম। বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম ও কম হয়ে গিয়েছিল। আমরা শুরুতে ভর্তা অর্ডার দিলাম। তারা ভর্তা ভাত দিয়ে গেল। এগুলো দিয়ে খাওয়া শুরু করেছিলাম। পরে হাঁসের মাংস, শুটকি এগুলো নিয়ে এসেছিল। এগুলোর ছবি অবশ্য তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম এত ক্ষুধা লেগেছিল।


IMG_3376.jpeg


IMG_3377.jpeg


IMG_3378.jpeg


এদিকের রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো খুবই মজা। খাওয়া দাওয়া শেষ করে পরে আমরা অন্য আরেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তে অন্য আরেকদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।


এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
PhoneI Phone 15 Pro Max
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG_3393.png

IMG_3394.png

IMG_3395.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আসলে ঘোরাঘুরি করতে আমাদের সবার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু সময়ের অভাবে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করা হয় না, আপনি ছুটির দিনে ঘোরাঘুরি করেছেন, এবং রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া সময়ের অভাবে সবসময় ঘোরাঘুরি করা হয় না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

ছুটির দিনে ঘুরাঘুরি করতে কার না ভালো লাগে তবে আপনি অসুস্থ ছিলেন জেনে অনেক খারাপ লাগলো।আশা করি আপু আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। পূর্বাচল এ গিয়ে রেস্টুরেন্টে গরম গরম ভর্তা ভাত খেয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

অসুস্থ অবস্থায় অবশ্য ঘুরতে তেমন একটা ভালো লাগছিল না। এজন্য তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

শরীর খারাপ হলে কোন কিছুই করতে ভালো লাগে না। যেহেতু প্রেসার বেশি তাই সাবধানে থাকবেন আপু। আর নিয়মিত ওষুধ খাবেন ও খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হবেন।আশাকরি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। তবে বাহিরে মাঝে মাঝে খেলে বেশ ভালই লাগে। বাহিরে বেশ মজা করে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। বাহিরের খাবার যখন বাড়ির মতো হয় তখন খেতে বেশ ভালো লাগে। ঘুরতে যাওয়া ও খাওয়ার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

ঠিক বলেছেন আপু শরীর খারাপ হলে আসলে কোন কিছু করতেই ভালো লাগে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

মাঝেমধ্যে এভাবে ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি ছুটির দিনে ঘুরাঘুরি করেছেন এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা সত্যি খুব ভালো ছিল। মজার মজার খাবার খেয়েছেন এটা দেখে তো আরো বেশি ভালো লেগেছে। খাওয়া দাওয়া করার পর আবার অন্য একটা জায়গায় গিয়েছিলেন, এটা শুনে তো আরো ভালো লাগলো। আশা করছি সেই মুহূর্ত তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।

সময় পেলে এরকম ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি বেশ ভালো লাগে তখন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

পূর্বাচলের দিকে খুব একটা যাওয়া হয়নি। এই রেস্টুরেন্ট টা বেশ সুন্দর দেখছি। একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত। সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন আপনি আপু। দেখে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

সময় পেলে ওই দিকটা গিয়ে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। খুব ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।