মজাদার স্যান্ডউইচ তৈরি

in hive-129948 •  3 days ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে স্যান্ডউইচ এর রেসিপি শেয়ার করবো। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আমার ছেলের বাসায় বানানো স্যান্ডউইচ খাওয়ার ইচ্ছা জেগেছে। বাসায় স্যান্ডউইচ মেকার নেই। তাই ভাবলাম একটা স্যান্ডউইচ মেকার কিনে নেই। থাকলে সকালে স্কুলের টিকিনে স্যান্ডউইচ বানিয়ে দেয়া যাবে। সেদিন rfl এ গেলাম কিন্তু স্যান্ডউইচ মেকার পেলাম না। ছেলের খুব মন খারাপ হয়েছে। পরে অন্য দোকান খুঁজে স্যান্ডউইচ মেকার কিনলাম। তারপর এই স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিলাম। খেতে কিন্তু বেশ মজাই হয়েছিল। সবাই মজা করে খেয়েছে। আশা করি রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।


IMG20240722193723.jpg




ব্রেড
মাংস
গাজর
শসা
আদা বাটা
রসুন বাটা
লবন
টমেটো সস
চিলি সস
মেয়োনিজ
মোজারেলা চিজ
বাটার


IMG_20241104_183629.jpg



প্রথমে মাংসগুলো চুলায় দিয়ে আদা বাটা, রসুন বাটা এবং মরিচের গুড়া দিয়েছি।


IMG20240722185818.jpgIMG20240722185852.jpg

তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে বসিয়েছি।


IMG20240722185930.jpgIMG20240722190126.jpg

অনেকক্ষণ জ্বাল দিয়ে মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে পানি শুকিয়ে আসলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি। তারপর মাংসগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে নিয়েছি।


IMG20240722190756.jpgIMG20240722191416.jpg

গাজর এবং শসাগুলোকে মিহি করে কেটে নিয়েছি।


IMG20240722190831.jpgIMG20240722190451.jpg

একটি বাটিতে গাজর শসা নিয়ে তার মধ্যে টমেটো ও চিলি সস দিয়েছি।


IMG20240722190836.jpgIMG20240722191021.jpg

তারপর মেয়োনিজ এবং মাংসগুলো দিয়েছি।


IMG20240722191125.jpgIMG20240722191432.jpg

সবকিছু ভালো হতো মিশিয়ে নিয়েছি। একটি ব্রেড নিয়ে তার উপরে মাখানো মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240722191533.jpgIMG20240722191648.jpg

তারপর উপর দিয়ে মোজারেলা চিজ দিয়েছি। তার উপরে আবার একটু সস দিয়েছি।


IMG20240722191957.jpgIMG20240722192146.jpg

আরো একটি ব্রেড দিয়ে ঢেকে উপরে একটু বাটার মাখিয়ে স্যান্ডউইচ মেকারে দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240722192212.jpgIMG20240722193243.jpg


IMG20240722193715.jpg


এভাবে আমার স্যান্ডউইচ তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG_3359.png

IMG_3360.png

IMG_3361.png

IMG_3358.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপু আপনি অনেক সুন্দর করে স্যান্ডুইজ তৈরি করেছেন। সচারাচর এগুলো খাওয়া হয় না। তবে খেতে খুব ভালো লাগে। আর আপনার তৈরি স্যান্ডুইজ টি অনেক লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

বেশ মজাদার ও সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। আপনার চমৎকার এই রেসিপি দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। অসাধারণ ছিল আপনার তৈরি করা ইউনিক রেসিপি।

নতুন স্যান্ডউইচ মেকার কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। স্যান্ডউইচ মেকার দিয়ে কোন স্যান্ডউইচ তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার আজকের এই রেসিপি পোস্ট দেখে ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। বাচ্চাদের টিফিনের জন্য এই খাবারগুলো বেশ ভালো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।

নরমালি রেস্টুরেন্ট এ গেলে মাঝে মাঝে স্যান্ড উইচ খাওয়া হয়। তবে বাসায় বানানো স্যান্ডউইচ হেলদি রেস্টুরেন্ট এর থেকে। আপনার ছেলে মেবি পরে খুশি হয়েছে স্যান্ডউইচ পেয়ে। আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখিয়েছেন।

স্যান্ডউইচ মেকারে স্যান্ডউইচ বানালে খেতে বেশ মজা লাগে। এর কারন উপরে ক্রিস্পি হয় আর ভিতরে নরম থাকে।তাই খেতে বেশ মজা লাগে। আপনি মেয়োনিজ ও চিজ দিয়ে বানিয়েছেন বিধায় খেতে বেশ মজা হবে। আর দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে।

এত মজাদার স্যান্ডউইচ দেখেই তো আমার অনেক লোভ লাগলো। স্যান্ডউইচ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনি অনেক মজাদার ভাবে এটা তৈরি করেছেন। আপনার ছেলে নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছিল এই স্যান্ডউইচ। আরএফএল থেকে স্যান্ডউইচ মেকার না পেলেও অন্য দোকান থেকে কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো।

অনেক মজাদার স্যান্ডউইচ রেসিপি তৈরি করেছেন তো আপনি। দেখেইতো জিভে জল চলে আসলো। মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এই ধরনের খাবার গুলো বিকেল বেলায় বেশি মজা করে খাওয়া যায়। আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপি টা আমার খাওয়া হয়েছে অনেকবার। এটা কিন্তু আমার মজা লাগে খেতে। মজার মজার রেসিপি দেখলে ইচ্ছে করে খেয়ে ফেলি।