পিঙ্ক সিটিতে খাওয়াদাওয়া ও ফটোগ্রাফি শেষ পর্ব

in hive-129948 •  8 days ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এর আগে আপনাদের সঙ্গে ওয়ান ডিস পার্টির আয়োজন শেয়ার করেছিলাম। তখন একদিনে সবগুলো খাবারের শেয়ার করতে পারিনি। তাই আজকে আবার চলে আসলাম বাকি খাবার গুলো শেয়ার করার জন্য। আমরা অনেকগুলো ফ্যামিলি গিয়েছিলাম। সবাই একটি করে আইটেম আনার কারণে খাবারের পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ১৫/১৬ ধরনের আইটেম তৈরি হয়ে গিয়েছিল সব মিলিয়ে। এত কিছু তো একবারে খাওয়া সম্ভব নয়। সব একটু একটু করে টেস্ট করতে গেলেও অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যাচ্ছিলো। এজন্য সবাই সবগুলো খাবার টেস্ট করতে পারেনি। আমি অবশ্য সব ধরনের ভর্তা একটু করে নিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েক রকমের ভর্তা দিয়ে খাওয়ার পরে দেখলাম যে খাওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ভর্তাগুলো আবার অন্য আরেকজনকে দিয়ে দিয়েছিলাম খেতে না পেরে।



IMG_2897.jpeg


IMG_2898.jpeg


আমরা বাচ্চাদেরকে খাবার দিয়ে দিয়েছিলাম। কারণ খেতে খেতে প্রায় সাড়ে তিনটা চারটা বেজে গিয়েছিল। বাচ্চাদের অনেক ক্ষুধা লেগেছিল। তাই ভাবলাম যে আগে বাচ্চাদেরকে খাইয়ে দেই। পরে আমরা আরাম করে খাবো। এখানে দেখতে পাচ্ছেন যে খাসির মাংসের টিকিয়া। এ গুলো একজন বানিয়ে নিয়ে এসেছিল। খুবই মজা হয়েছিল খেতে। আমরা তো শুরুতে গিয়ে এমনিতেই এই টিকিয়াগুলো নিয়ে খেয়ে ফেলছিলাম।


IMG_2892.jpeg


IMG_2893.jpeg


এগুলো মুরগির মাংস। এই মুরগির মাংসগুলো অবশ্য আমি রান্না করে নিয়ে যায়নি। অন্য আরেক ভাবি রান্না করে নিয়ে এসেছিল। আমার মুরগির মাংসগুলো যে কই গিয়েছিল কে জানে। সবগুলো মিলে গিয়েছিল। এত খাবারের মাঝে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। নিচের খাবারটি শুটকি ভর্তা। খুবই ঝাল হয়েছিল এই শুটকি ভর্তা। শুটকিতে যত বেশি ঝাল দেয়া যায় খেতে তত বেশি ভালো লাগে। কালারটা এত বেশি লোভনীয় লেগেছিল দেখেই খাওয়ার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। অবশ্য পরে ঝাল খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।


IMG_2894.jpeg


IMG_2895.jpeg


উপরের এগুলো কচু ভর্তা। ইলিশ মাছ দিয়ে এই কচু ভর্তা। ইলিশ মাছ দিয়ে কচু ভর্তা অন্যরকম মজা লাগে খেতে। আর নিচের পোলাওগুলো যে বাসায় গিয়েছিলাম সেই ভাবী রান্না করেছিল। একবারে পোলাও রান্না করে শেষ করতে পারেনি। পরে আবার রান্না করতে হয়েছে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি আইটেম ছিল। সেগুলোর ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাছাড়া অন্য আরেক ভাবি আচার নিয়ে এসেছিল। জলপাইয়ের আচার। খাওয়া শেষে একটু আচার হলে বেশ জমে যায় খাওয়া।


IMG_2896.jpeg


IMG_2903.jpeg


খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিকালের দিকে দেখলাম যে ভাবি এরকম কেক বের করলো। কেকটি উপরে লেগে কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাতে কি যায় আসে। বাচ্চারা খুব মজা করে কেক কেটেছে। কেকটি খেতেও বেশ মজাদার ছিল। বাটারফ্লাই শেপের ছিল কেকটি।

খাওয়া দাওয়া শেষে বাসায় ফেরার পালা। কিন্তু ওখানে নিজেদের গাড়ি ছাড়া যাওয়া আসা খুব মুশকিল। আমরা যাওয়ার সময় অন্য একটা ভাবির গাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফেরার সময় চিন্তা করছিলাম কিভাবে যাব। তাই ওর বাবাকে ডেকে নিয়েছিলাম যেন আমাদেরকে গিয়ে নিয়ে আসে। পরে ওর বাবা গিয়ে আমাদেরকে নিয়ে এসেছিল। বেশ সুন্দর একটা দিন কাটিয়েছিলাম সেদিন।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
PhoneI Phone 15 Pro Max
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG_3134.png

IMG_3135.png

IMG_3136.png

Super Walk এর স্ক্রিনশট নেই, সেটাও কিন্তু টাস্কের অন্তর্ভুক্ত। তাই Super Walk এর টাস্ক কমপ্লিট করার অনুরোধ করা হলো।

  ·  7 days ago (edited)

আমার supar walk এ 0 step থাকে । কোনো স্টেপ উঠে না। তাই দেই নি।

IMG_3146.png

এই বিষয়ের সমস্যাগুলোর জন্য টিকেট কেটে সুমনভাইকে মেনশন দিতে পারেন, তাহলে আশা করছি সমাধান পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ

Ok.
ধন্যবাদ

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

পিংক সিটিতে খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন, যেগুলো দেখে আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। প্রজাপতি শেপের কেকটা অনেক সুন্দর ছিল। বোঝাই যাচ্ছে খেতেও দারুন লেগেছিল। বাচ্চারা কেক খেতে একটু বেশি ভালোবাসে।

খাবারগুলো এত লোভনীয় ছিল যে ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারেনি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

পিঙ্ক সিটিতে খাওয়া দাওয়া ও ফটোগ্রাফি খুবই দারুন ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্ৰাফি গুলো দেখে তো লোভনীয় লাগছে। খাবার গুলো দেখে আমার জিভে জল চলে এল। প্রজাপতি কেকের খাবারটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে

সবগুলো খাবারই মজা ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।

আপনার আগের দিনের ব্লক দিয়ে আমি পড়েছিলাম যেখানে আপনি পিংক সিটিতে আপনার সন্তানের বন্ধুর বাড়িতে অন্যান্য বাচ্চাদের মায়ের আমি লিখেছিলেন এবং পটলাক লাঞ্চ করেছিলেন। আজ সেই পটলাক লাঞ্চ এর মেনু গুলো দেখে অত্যন্ত লোভনীয় লাগছে। কত রকমের ভর্তা মাংস ডিম ভাত। পটলাক লাঞ্চে আসলেই এটা হয় যত বেশি মেম্বার তত বেশি আইটেম ।

পটলাক কি আপু বুঝলাম না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা আমার কাছে তো অনেক দারুন লেগেছে। পিঙ্ক সিটিতে ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন তাহলে। এরকম মুহূর্ত গুলো আমার কাছে অনেক বেশি দারুন লাগে। তেমনি এই মুহূর্তটাও অসম্ভব ভালো লেগেছে।

আমার খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

অসাধারণ আপু আপনি সমস্ত স্টুডেন্টের মায়েদের সাথে পিঙ্ক সিটিতে খাওয়াদাওয়ার খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন এবং সময় নিয়ে যত্নের সাথে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার মোবাইলে ক্যাপচার করে পরবর্তীতে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। তবে প্রজাপতি আকৃতির কেকের ফটোগ্রাফিটা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। সচরাচর এই আকৃতির কেক দেখিনি। যাইহোক আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পিঙ্ক সিটিতে খাওয়াদাওয়া ও ফটোগ্রাফি শেষ পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বাচ্চাদের জন্য কেম ছিল তাই প্রজাপতির আকৃতির করা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপু আপনার পিঙ্ক সিটিতে খাওয়াদাওয়া ও ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। খাবারের মান অনেক ভালো দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ দেশীয় খাবার। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

পিঙ্ক সিটিতে খাওয়া-দাওয়া এবং ফটোগ্রাফির শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷ এই পোস্ট শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি একেবারে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ একই সাথে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার মাধ্যমে একেবারে নতুন এবং ভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷

আমার পোস্টটি দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।