এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  10 months ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। এই গ্রুপে জয়েন হওয়ার পর থেকে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করে। সেরকম বিভিন্ন সময়কার কিছু ফটোগ্রাফি গ্যালারিতে রয়ে যায়। গ্যালারি ঘাটলে এই ধরনের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি দেখা যায়। সেখান থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। বেশিরভাগই মূলত ডেকোরেশন এর ফটোগ্রাফি। বর্তমান সময়ে ডেকোরেশন যেন যে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন দোকান, রেস্টুরেন্টগুলোতে ডেকোরেশন ধুম পড়ে যায়। রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো হোক বা না হোক ডেকোরেশন কিন্তু চমৎকার হতেই হবে। এরকম একটা ট্রেডিশন চলে এসেছে। রেস্টুরেন্টের মালিকদেরই দোষ দিয়ে লাভ কি। আমরাই তো বিভিন্ন ডেকোরেশন করা রেস্টুরেন্ট গুলোতেই আগে যাই। সেজন্যই তারা এরকম ব্যবস্থা করে। তাছাড়া বিভিন্ন শপিংমল গুলোর একই অবস্থা। শপিংমল সুন্দর ডেকোরেশন করা থাকে। সেই সাথে শপিংমলের ভেতরের দোকানগুলোতে আলাদাভাবে আবার ডেকোরেশন করা থাকে। অবশ্য দেখতে বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক আশা করি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।


IMG_9690.HEIC


IMG_9694.HEIC


উপরের এই ঝাড়বাতিটির ফটোগ্রাফি করে করেছিলাম কোন একটি কাপড়ের দোকান থেকে। মূলত যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরে কোন একটি দোকানের হবে মনে হয়। খুব সম্ভবত সেইলর দোকানের ডেকোরেশন। তাছাড়া নিচের ডেকরেশন গুলো একই জায়গার। দোকানের ভিতরে এত সুন্দর ডেকোরেশন করে রাখে যে দেখতেই ভালো লাগে। অবশ্য এই ব্রান্ডের বেশ নাম রয়েছে। এখানকার জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে বেশ হাই।


IMG_9692.HEIC


IMG_9693.HEIC


IMG_9691.HEIC


এই জিনিসগুলো মেটালের তৈরি। এই ফুলগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দেখতে। তাছাড়া উপরের ঝাড়বাতি গুলোও খুব চমৎকার ছিল। নিচের ডেকোরেশন লারিবের শোরুমের বাইরে করা। মূলত এখানে দাঁড়িয়ে সবাই ফটোগ্রাফি করে। সে জন্য এরকম ডেকোরেশন করে রেখেছে। এ ডেকোরেশন অবশ্য লারিবের সব শোরুমের সামনেই করা দেখলাম।


IMG_9436.HEIC


IMG_9437.HEIC


উপরের লাইটটা যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরের। মূলত এরকম লাইট গুলোর নিচে বিভিন্ন শোরুমের নাম লেখা থাকে। আর নিচের ছবিটির জিপি হাউজের। ছবিটি তোলার কারণ ছিল যে তখন রাত প্রায় দশটা এগারোটা হবে। ওই সময় দেখলাম সবগুলো লাইট জ্বলছে। তার মানে লোকজন তখনও কাজ করে যাচ্ছে।


IMG20231231200832.jpg


IMG_8206.HEIC


উপরের ছবিটি গ্রামীণফোনের ভেতরের ছবি। নিচের বসুন্ধরা আবাসিকের ভেতরে কালার কন্ঠের অফিস। কোনো এক অনুষ্ঠানের সময় এরকম লাইটিং করে রেখেছিল। খুব ভালো লাগছিল দেখতে।


IMG20240309191957.jpg

যাইহোক এই ছিল আমার এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

বর্তমান ডেকোরেশন হলো,দোকান ঘর,কাপড়ের শোরুম,রেস্টুরেন্ট সহ প্রতিটা ক্ষেত্রে একটা আকর্ষণীয় জিনিস।কেননা বর্তমান মানুষ ভিতরে যেমনই হোক বাইরে একদম চাকচিক্য করে রাখতে হবে এটাই আগে ভাবে।আসলেই এতে তাদের কোনো দোষ আমাদের কাজ কর্মের নিরিখেই তারা এমনটা করে থাকে।যাইহোক আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলিও একদম চাকচিক্য হয়েছে আপু।একদম অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া যেখানে চাকচিক্য বেশি লোকজন সেখানেই যায়। এজন্য এরকম ব্যবস্থা করে সবাই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার তোলা ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্যের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশি ভালো লেগেছে আমার। তবে আপনার সব কয়টি ফটোগ্রাফি সম্পর্কে যথার্থভাবে জানতে পেরেছি আপনার দেওয়া বর্ণনা গুলো পড়ে। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপনের মাধ্যমে ফটোগ্রাফির পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে।

আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ঠিকি বলেছেন আপু রেস্তোরাঁ গুলো অনেকটা মাকাল ফলের মতো।বাইরে ফিটফাট কিন্তু ভেতরে সদর ঘাট অবস্থা। ডেকোরেশন দিয়ে মানুষকে ভুলিয়ে দেয়।ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আমি তো রেস্টুরেন্টের খাবার ভালো না হলে যতই চাকচিক্য থাক সেখানে যাই না। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আমারও এখন এটা অভ‍্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। বাইরে বের হয়ে চোখে একটু আকর্ষণীয় কিছু পড়লেই সেটার ফটোগ্রাফি করে ফেলি। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল আপু। এগুলোর সবই প্রায় যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে করা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

এই ব্লগে সবারই মনে হয় এখন এরকম অবস্থা। ভালো কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো। প্রথম দিকে শেয়ার করা ঝাড়বাতি গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। কালেরকন্ঠের অফিসের ডেকোরেশন টাও দারুন ছিল। ভালো লাগলো প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

ঝাড়বাতিগুলো দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। এই জন্য ফটোগ্রাফি করা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

সত্যি আপু দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি ডেকোরেশন এর ফটোগ্রাফি গুলো। একদম ঠিক বলছেন বিয়ের বাড়ি থেকে শুরু করেই সমস্ত কাজকর্মে এখন ডেকোরেশন এর কাজ কারবার বেশি। কারণ ডেকোরেশন এর মাধ্যমে একটি অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য অনেক গুণ বেড়ে যায়। একটি রেস্টুরেন্টের কোয়ালিটি অনেক বেড়ে যায় সুন্দর ডেকোরেশনের মাধ্যমে। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন। সেই ফটোগ্রাফি গুলো আপনি আজকে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো দেখে।

ঠিক বলেছেন আপু ডেকোরেশন উপরে রেস্টুরেন্টের কোয়ালিটি অনেকটা নির্ভর করে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন এই কমিউনিটিতে জয়েন হওয়ার পর থেকে এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো যেন আমরা অনেক বেশি তুলে থাকি । আর এগুলো জমা হতে হতে একেবারে পেছনের দিকে চলে যায় ফোন ঘাটতে ঘাটতে অনেক ছবি পাওয়া যায় । আর এটাও ঠিক এখনকার রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাবারের মান যায় হোক না কেন ডেকোরেশনটা একেবারে পারফেক্ট হতে হবে । কারণ আগে রূপধারী পরে গুনবিচারি এজন্য ডেকোরেশনটা ওরা সুন্দরভাবে করে থাকে । আমরাও তো দেখে দেখে সুন্দর রেস্টুরেন্ট গুলোতে যেয়ে থাকি ।যমুনা ফিউচার পার্কের ভিতরে লাইটটা কিন্তু ভালো লাগছে বসুন্ধরা আবাসিকের ভিতরে ছবিটাও সুন্দর হয়েছে ।

এখন গ্যালারি খুঁজলে এরকম বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি পাওয়া যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপু আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন এখন আমরা অনেক বেশি ডেকোরেশনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি ।যেকোনো জায়গায় গেলে আমরা আগে সেখানকার ডেকোরেশন পর্যবেক্ষণ করি ।যার কারণে দোকানদার গণ এখন ডেকোরেশনের উপর অনেক বেশি জোর দিয়েছে। যাই হোক ডেকোরেশন গুলো কিন্তু চমৎকার ছিল ।লাইটিং গুলো দেখতেও বেশ ভালো লাগছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

আমার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।